বাংলারজমিন
কুষ্টিয়ায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার, ৯:২২ পূর্বাহ্ন
কুষ্টিয়ায় বাড়িতে আটকে রেখে ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত চাচা স্বাধীন (৪৫) ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে নুরুল ইসলাম (৫৫) ও তার স্ত্রী বেদেনা খাতুন (৪৫)কে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রেজাউল করিম শুনানি শেষে তাদের কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। এ ঘটনায় রোববার ওই ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। অভিযুক্ত স্বাধীন সদর উপজেলার লাহিনীপাড়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। মামলা সূত্রে জানা যায়, অন্যান্য দিনের মতো রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় কুষ্টিয়া শহরতলীর বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয় ওই ছাত্রী। পথিমধ্যে পূর্ব পরিচিত সম্পর্কে চাচা স্বাধীন ওই ছাত্রীকে খাতা-কলম কিনে দেয়ার কথা বলে। এসময় বিশেষ কাজের কথা বলে শহরের পূর্ব থানাপাড়াস্থ কুতুব উদ্দিন আহম্মেদ সড়কের ডিম বিক্রেতা নুরুল ইসলামের বাড়ির একটি কক্ষে তাকে নিয়ে প্রবেশ করে। কক্ষে প্রবেশের পর বাইরে থেকে দরজা আটকে দেয় বাড়ির মালিক নুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী বেদেনা খাতুন। এসময় স্বাধীন ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ঘণ্টাখানিক পর কক্ষের দরজা খুলে দিলে ওই ছাত্রী দৌড়ে বাড়ি গিয়ে তার পরিবারকে জানায়।
পরে পরিবারের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে ওই ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করে। কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা জানান, স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এদিকে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর মেডিকেল চেকআপ সম্পন্ন হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার।
পরে পরিবারের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে ওই ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করে। কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা জানান, স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এদিকে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর মেডিকেল চেকআপ সম্পন্ন হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার।