শেষের পাতা

দক্ষিণখানে তিন লাশ

চিরকুট ঘিরেই তদন্ত

স্টাফ রিপোর্টার

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, সোমবার, ৯:৪৮ পূর্বাহ্ন

ছবির তিনজন এখন শুধুই স্মৃতি

‘বাচ্চাদের মেরে ফেললাম, আমার লাশ রেললাইনে পাওয়া যাবে’। ১২ই ফেব্রুয়ারিতে লেখা ওই চিরকুটে নিজেকে ‘নিকৃষ্ট লোক’ হিসেবে তুলে ধরে দুই সন্তান ও স্ত্রী হত্যার কথা স্বীকার করা হয়েছে।’ ঢাকার দক্ষিণখানের বাসা থেকে মা ও দুই শিশু সন্তানের লাশ উদ্ধারের পর বাসায় তল্লাশি চালিয়ে একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, ওই হাতের লেখাটি গৃহকর্তা ও নিহত দুই শিশুর বাবা বিটিসিএলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রকিব উদ্দিন ভূঁইয়ার হতে পারে। বিষয়টি তারা তদন্ত করছে। রকিবের অন্যান্য লেখা দেখে তারা মিলানোর চেষ্টা করছেন। ঘটনার পর থেকে তিনি নিখোঁজ। তাকে ধরতে পুলিশ ও গোয়েন্দারা সাড়াশি অভিযান চালাচ্ছে। এছাড়াও দেশের কোনস্থানে রেলে কাটা পড়ে কেউ নিহত হয়েছেন কী-না তাও খোঁজ রাখছে দক্ষিণখান ও ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তার করা গেলে হত্যা রহস্য উদঘাটন হবে। মামলার তদন্তকারী সূত্রে জানা গেছে, জুয়া ও মাদকাসক্ত হয়ে কোটি টাকার বেশি ঋণ করে ফেলেছিলেন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) উত্তরা কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পলাতক রকিব। এছাড়াও অনলাইন ক্যাসিনোতে মগ্ন ছিল  তিনি।

অনলাইন জুয়ার নেশায় লাখ লাখ টাকা খুঁইয়েছেন। এ কারণে সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত। পুলিশের ধারণা পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী মুন্নি রহমান ও দুই সন্তানকে হত্যার পর গা ঢাকা দিয়েছেন রাকিব। তাকে ধরতে মোবাইলের কললিস্ট পরীক্ষা করছেন গোয়েন্দারা।  

শুক্রবার রাজধানীর দক্ষিণখানের প্রেমবাগান রোডের পাঁচতলা বাড়ির চারতলার একটি ফ্ল্যাট থেকে মা মুন্নি, ১২ বছরের ছেলে ফোরকান উদ্দিন ও তিন বছরের মেয়ে লাইবার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। তিন-চার দিন আগে তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের ধারণা।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তের অন্যতম সমন্বয়কারী পুলিশের উত্তরা বিভাগের এসি হাফিজুর রহমান মানবজমিনকে জানান,  প্রাথমিকভাবে ডায়েরির লেখাটি মুন্নির স্বামী রাকিব উদ্দিনের বলে মনে হয়েছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। মুন্নির স্বামীকে ধরার জন্য বিভিন্নস্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। তাকে গ্রেপ্তার করলেই কী কারণে মুন্নি ও তার দুই সন্তান খুন হয়েছেন তা জানা যাবে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পর মুঠোফোনের কললিস্টে পলাতক রকিব বুধবার বিকালে তার এক সহকর্মীকে জানিয়েছিলেন যে বৃহস্পতিবার তিনি অফিসে যাবেন না। সেটাই ছিল তার ফোনে শেষ কথা বলা। এরপর থেকে ফোনটি বন্ধ। তার ওই ফোনের সর্বশেষ অবস্থান ছিল নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর এলাকায়। সেখানে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে পায়নি পুলিশ।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status