দেশ বিদেশ
চট্টগ্রামে ভাতের হোটেলে অনলাইন জুয়া
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, রবিবার, ৮:১৩ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রামের বিভিন্ন ক্লাবে জুয়া-ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের পর এবার ভাতের হোটেলে গোপনে চলছে অনলাইন জুয়া। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে ওই হোটেলে অভিযান চালিয়ে ১৬ জুঁয়াড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে জুয়ার হিসেব ও লেনদেনের একটি রেজিস্টার, ৭টি মোবাইল ও নগদ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার জুঁয়াড়িরা হলেন-আমজাদ হোসেন রোবেল (২৯), মোহাম্মদ ইদ্রিস (৪০), শাহ আলম (৩১), মো. শিপু (৩২), ইমাম আলী মিঠু (৩০), ওসমান (৩৭), নয়ন (৩০), রানা (২৬), বেলাল উদ্দিন (২৭), বিপ্লব চৌধুরী (৩২), রায়হান ইসলাম (৩১), ফারুক (২৫), সানি (২৩), নজরুল ইসলাম (৩০), রাজু বনিক (২০), আব্দুল ওয়াহেদ (২৬)। বৃহসপতিবার সন্ধ্যায় নগরীর কোতোয়ালী থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার শাহ মোহাম্মদ আব্দুর রউফ। তিনি জানান, তিন ধাপ বিশিষ্ট এই চক্রের দুটি ধাপে জড়িত জুয়াড়িদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা গেলেও চক্রের মূল নিয়ন্ত্রণকারীদের বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য পায়নি পুলিশ। আড়ালে থাকা এই চক্রের সদস্যদের চিহ্নিত করতে কাজ চলছে।
তিনি জানান, নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন রিয়াজউদ্দিন বাজারের ইদ্রিসের ভাতের হোটেলে বিট-৩৬৫ নামের একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে জুয়া খেলারত অবস্থায় ১৬ জুঁয়াড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়। অনলাইনে জুয়া খেলার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচারেও ভূমিকা রাখছে চক্রটি।
অভিযানে অংশ নেওয়া কোতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সজল দাশ জানান, প্রাথমিকভাবে বিট-৩৬৫ নামে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই জুয়াখেলার প্রমাণ পেয়েছেন তারা। এর বাইরে আরও কয়েকটি অ্যাপস এবং সফটওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছে। সাধারণ জুয়াড়িদের এই ওয়েবসাইটে সরাসরি প্রবেশাধিকার নেই। এজেন্ট যারা আছে তাদের পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে প্রবেশ করতে হয়। এজেন্টরা বাংলাদেশি টাকা নিয়ে ডলারে রূপান্তর করে খেলার সুযোগ দেয়।
টাকা ডলারে রূপান্তর করায় বিদেশে পাচারের ধারণাও করা হচ্ছে। তাছাড়া যে ওয়েবসাইট দিয়ে জুয়া খেলা হচ্ছে এর ডোমেইন বিদেশের। এ কারণে ডলারের বিনিময়ে খেলা হচ্ছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি। যদি বিদেশি ডোমেইন হয়, তাহলে কয়েক কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু না।
তিনি জানান, মূলত তিনটি ধাপে এই জুয়া পরিচালিত হয়। এরমধ্যে প্রথম ধাপটি হচ্ছে ইদ্রিসের ভাতের হোটেল। জুঁয়াড়িরা ইদ্রিস ও শাহ আলমের মাধ্যমে খেলায় অংশ নেয়। এর পরের ধাপে অবস্থান ওসমানের। এই ওসমানই মূলত খেলোয়াড়দের সাথে বিট ৩৬৫ নামক ওয়েবসাইটের সংযোগ ঘটায়। বাজির টাকা লেনদেন হয় ওয়েবসাইটে রাখা ডলারের মাধ্যমে। তবে এখানে টাকা ও ডলার কনভার্ট এবং জুয়ার মূল নিয়ন্ত্রণকারী সমপূর্ণ আড়ালে থেকে এই ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে।
তিনি বলেন, বিদেশে অবস্থান করা অনেক প্রবাসী ইমো ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে দেশে অবস্থান করা জুয়াড়িদের সাথে বাজি ধরে। হেরে গেলে তারা বিকাশে টাকা দেয় জুয়াড়িদের। আর যদি জিতে যায় তাহলে জুয়াড়িরা সেই টাকা প্রবাসীদের স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দেয়।
কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, তরুণ-যুবক থেকে বিভিন্ন বয়সী লোকজন না বুঝে এই অনলাইন জুঁয়ায় জড়িয়ে পড়ছে। জুঁয়া খেলে কেউ অনেক টাকা ইনকাম করতে পেরেছে এমন নয়, বরং লাখ লাখ টাকা হারাচ্ছে। এরপরও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জুঁয়ায় জড়িয়ে পড়ছে। চট্টগ্রাম শহরের অন্তঃত ১০টি পয়েন্টে গত তিন মাস ধরে এই জুয়া চলছে।
ভারতের আইপিএল, বাংলাদেশের বিপিএলের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার বিগব্যাশ নিয়েও জুয়া খেলেছে তারা। মূলত টেলিভিশনে লাইভ দেখানো ফুটবল এবং ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে চলে এসব জুয়া। গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছে বলে জানান ওসি মহসিন।
তিনি জানান, নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন রিয়াজউদ্দিন বাজারের ইদ্রিসের ভাতের হোটেলে বিট-৩৬৫ নামের একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে জুয়া খেলারত অবস্থায় ১৬ জুঁয়াড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়। অনলাইনে জুয়া খেলার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচারেও ভূমিকা রাখছে চক্রটি।
অভিযানে অংশ নেওয়া কোতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সজল দাশ জানান, প্রাথমিকভাবে বিট-৩৬৫ নামে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই জুয়াখেলার প্রমাণ পেয়েছেন তারা। এর বাইরে আরও কয়েকটি অ্যাপস এবং সফটওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছে। সাধারণ জুয়াড়িদের এই ওয়েবসাইটে সরাসরি প্রবেশাধিকার নেই। এজেন্ট যারা আছে তাদের পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে প্রবেশ করতে হয়। এজেন্টরা বাংলাদেশি টাকা নিয়ে ডলারে রূপান্তর করে খেলার সুযোগ দেয়।
টাকা ডলারে রূপান্তর করায় বিদেশে পাচারের ধারণাও করা হচ্ছে। তাছাড়া যে ওয়েবসাইট দিয়ে জুয়া খেলা হচ্ছে এর ডোমেইন বিদেশের। এ কারণে ডলারের বিনিময়ে খেলা হচ্ছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি। যদি বিদেশি ডোমেইন হয়, তাহলে কয়েক কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু না।
তিনি জানান, মূলত তিনটি ধাপে এই জুয়া পরিচালিত হয়। এরমধ্যে প্রথম ধাপটি হচ্ছে ইদ্রিসের ভাতের হোটেল। জুঁয়াড়িরা ইদ্রিস ও শাহ আলমের মাধ্যমে খেলায় অংশ নেয়। এর পরের ধাপে অবস্থান ওসমানের। এই ওসমানই মূলত খেলোয়াড়দের সাথে বিট ৩৬৫ নামক ওয়েবসাইটের সংযোগ ঘটায়। বাজির টাকা লেনদেন হয় ওয়েবসাইটে রাখা ডলারের মাধ্যমে। তবে এখানে টাকা ও ডলার কনভার্ট এবং জুয়ার মূল নিয়ন্ত্রণকারী সমপূর্ণ আড়ালে থেকে এই ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে।
তিনি বলেন, বিদেশে অবস্থান করা অনেক প্রবাসী ইমো ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে দেশে অবস্থান করা জুয়াড়িদের সাথে বাজি ধরে। হেরে গেলে তারা বিকাশে টাকা দেয় জুয়াড়িদের। আর যদি জিতে যায় তাহলে জুয়াড়িরা সেই টাকা প্রবাসীদের স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দেয়।
কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, তরুণ-যুবক থেকে বিভিন্ন বয়সী লোকজন না বুঝে এই অনলাইন জুঁয়ায় জড়িয়ে পড়ছে। জুঁয়া খেলে কেউ অনেক টাকা ইনকাম করতে পেরেছে এমন নয়, বরং লাখ লাখ টাকা হারাচ্ছে। এরপরও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জুঁয়ায় জড়িয়ে পড়ছে। চট্টগ্রাম শহরের অন্তঃত ১০টি পয়েন্টে গত তিন মাস ধরে এই জুয়া চলছে।
ভারতের আইপিএল, বাংলাদেশের বিপিএলের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার বিগব্যাশ নিয়েও জুয়া খেলেছে তারা। মূলত টেলিভিশনে লাইভ দেখানো ফুটবল এবং ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে চলে এসব জুয়া। গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছে বলে জানান ওসি মহসিন।