দেশ বিদেশ

নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের কাছে নালিশ করাও এক ধরনের আচরণবিধি লঙ্ঘন: তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার

২৮ জানুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার, ৯:০৮ পূর্বাহ্ন

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের কাছে নালিশ করাও এক ধরনের নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন। গতকাল হাছান মাহমুদ সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, যে কোন নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের কাছে নালিশ উপস্থাপন করা এবং নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা নিয়ে ছোট খাটো যে ঘটনা গুলো হচ্ছে, সেগুলো বিদেশিদের কাছে উপস্থাপন করাও তো এক প্রকার নির্বাচনী আচরন বিধি লঙ্ঘন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইভিএম নিয়ে বিএনপি হাইকোর্টে গিয়েছিল। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে তারা হাইকোর্টে গিয়েছিল ইভিএম’র বিরুদ্ধে। হাইকোর্ট তাদের পক্ষে রায় দেয়নি। সর্বোচ্চ আদালতে তাদের অবেদন রিজেক্ট করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, যেখানে হাইকোর্ট তাদের পক্ষে রায় দেয়নি, আবার সেই একই নালিশ বিদেশিদের কাছে গিয়ে উপস্থাপন করা তো আদালত অবমাননার শামিল এবং যে কোন নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের কাছে অভিযোগ করা এটিও তো আচরন বিধি লংঘন।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির কোন অভিযোগ থাকলে তা ভোটার ও জনগণের কাছে উপস্থাপন করবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদুতের কাছে উপস্থাপন করা অনেকেই মনে করেন এটিও এক প্রকার আদালত আবমাননার শামিল।

হাছান মাহমুদ বলেন, এই অধুনকি প্রযুক্তি দিয়ে কেন ভোট গ্রহণের বিরোধীতা করছে বিএনপি, তা আমার কাছে বোধগম্য নয়। তবে বিএনপি সব সময়ে অধুনিক প্রযুক্তির বিরোধীতা করে। কারণ তারা প্রযুক্তিকে ভয় পায়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন বিনামূল্যে সাবমেরিন ক্যাবল বাংলাদেশকে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তখনকার সরকার প্রধান খালেদা জিয়া সাবমেরিন ক্যাবল সুবিধা গ্রহণ করেননি। কারণ তিনি ভেবে ছিলেন যে দেশের অভ্যন্তরীণ গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যাবে। কিন্তু পরবর্তিতে আওয়ামী লীগের সরকারের সময় কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করে সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে সংযুক্ত হয়।

তিনি বলেন, ইভিএম’র ক্ষেত্রেও বিএনপির মানসিকতা একই রকম। দেশে এক সময়ে হাত তুলে ভোট হত। পরবর্তিতে ব্যালোটের মাধ্যমে ভোট নেয়া শুরু হয়। ইভিএম ইতিপূর্বে বিভিন্ন নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়েছে। স্থানীয় নির্বাচন ও সংস্‌দ নির্বাচনের ইভিএম ব্যবহার হয়েছে। এতে দেখা গেছে কেন্দ্র দখল, ব্যালটে সিল মারার তেমন কোন অভিযোগ আসেনি। কিন্তু তারপরও তারা ইভিএম নিয়ে অভিযোগ করছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনে তারা পরাজিত হবে, তা বুঝতে পেরে আগে থেকেই নির্বাচনকে বিতর্কিত করার পথ তৈরি করার চেষ্টা করছে।

আরেক এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনার পদটি একটি সাংবিধানিক পদ। যেমন হাইকোর্টের বিচারপতি, সেগুলোও সাংবিধানিক পদ। হাইকোর্টের কোন বিচারপতি যেমন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় জনগণের সামনে উপস্থাপন করেন না এবং সেটি নিয়মও নয়। সাংবিধানিক পদে থেকে সেটি করা সমিচীন নয়। এটি একান্তই অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাই সাংবিধানিক পদে থেকে নিজেদের কর্মপরিবেশ নিয়ে নিজেদের ফোরামের কথা বাইরে না বলাই ভালো। সেটি জনসমুখে বিশেষ করে গণমাধ্যমের সামনে বলা, সেটি তার সাংবিধানিক পদের বর খেলাপ কিনা সে বিষয়ে অনেকেই প্রশ্নে তুলেছেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status