অনলাইন
চাঁদাবাজি ও অপহরণের অভিযোগে
লক্ষ্মীপুরে ৪ পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
২৭ জানুয়ারি ২০২০, সোমবার, ৮:৫৫ পূর্বাহ্ন
চাঁদাবাজি ও অপহরণের অভিযোগে সদর থানার ৩পুলিশ কর্মকর্তা ও এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এক ভুক্তভোগী পরিবার। সোমবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে এ মামলা দায়ের করেন ভূক্তভোগী নুরুল আলম প্রকাশ নুরুর মা নুরজাহান বেগম। পরে আদালতের বিচারক রায়হান চেীধুরী মামলাটি আমলে নিয়ে নোয়াখালী পুলিশ ব্যুারো অফ ইনভিষ্টিগেশন(পিবিআই) কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নিদের্শ দেন বলে জানিয়েছেন মামলার বাদীর আইনজীবি আবদুল আহাদ শাকিল।
আসামীরা হচ্ছেন সদর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক মুহাম্মদ কাওসারুজ্জামান,এএসআই মঞ্জুরুল ইসলাম,এএসআই মহিউদ্দিন খন্দকার ওও কনস্টেবল কবির হোসেনসহ অজ্ঞাত আরো ৫জন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রায়পুর থানার একটি মামলায় ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই নুর আলমকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। উক্ত মামলায় মহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিনের আদেশ পেয়ে ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় লক্ষীপুর জেলা কারাগার থেকে বের হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় জেল হাজতে থেকে বের হওয়ার সময় সাদা পোশাকে ৩ জন লোক নুর আলমকে আটক করতে যায়
৫ জানুয়ারি তারা নুর আলমের শ্বাশুড়ি ফিরোজা বেগমের মোবাইল ফোনে কল করে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে নুর আলমকে হত্যা বা অস্ত্র মাদক মামলায় জড়িয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়। এসময় দাবি করা টাকা শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকার চা দোকানী আবুল হোসেনের কাছে দিয়ে আসতে বলে। ওইদিন দুপুরে ১৯ হাজার ৫০০ টাকা আবুল হোসেনের কাছে দিয়ে আসা হয়। কিন্তু দাবি করা পুরো টাকা না দেওয়ায় ওইদিনই ২৫ পিস ইয়াবা দিয়ে নুর আলমকে তারা গ্রেফতার দেখায়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ২১ জানুয়ারি নুর আলমের বিরুদ্ধে মাদক মামলাটি তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। এতে এসআই কাওসারুজ্জামান ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ওইদিনই আদালতের পুলিশ হেফাজতে নুর আলমকে তিনি ক্রস ফায়ারের হুমকি দেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই কাওসারুজ্জামান বলেন, অভিযোগটি সত্য নয়। মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে আমাদেরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
আসামীরা হচ্ছেন সদর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক মুহাম্মদ কাওসারুজ্জামান,এএসআই মঞ্জুরুল ইসলাম,এএসআই মহিউদ্দিন খন্দকার ওও কনস্টেবল কবির হোসেনসহ অজ্ঞাত আরো ৫জন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রায়পুর থানার একটি মামলায় ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই নুর আলমকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। উক্ত মামলায় মহামান্য হাইকোর্ট থেকে জামিনের আদেশ পেয়ে ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় লক্ষীপুর জেলা কারাগার থেকে বের হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় জেল হাজতে থেকে বের হওয়ার সময় সাদা পোশাকে ৩ জন লোক নুর আলমকে আটক করতে যায়
৫ জানুয়ারি তারা নুর আলমের শ্বাশুড়ি ফিরোজা বেগমের মোবাইল ফোনে কল করে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে নুর আলমকে হত্যা বা অস্ত্র মাদক মামলায় জড়িয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়। এসময় দাবি করা টাকা শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকার চা দোকানী আবুল হোসেনের কাছে দিয়ে আসতে বলে। ওইদিন দুপুরে ১৯ হাজার ৫০০ টাকা আবুল হোসেনের কাছে দিয়ে আসা হয়। কিন্তু দাবি করা পুরো টাকা না দেওয়ায় ওইদিনই ২৫ পিস ইয়াবা দিয়ে নুর আলমকে তারা গ্রেফতার দেখায়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ২১ জানুয়ারি নুর আলমের বিরুদ্ধে মাদক মামলাটি তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। এতে এসআই কাওসারুজ্জামান ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ওইদিনই আদালতের পুলিশ হেফাজতে নুর আলমকে তিনি ক্রস ফায়ারের হুমকি দেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই কাওসারুজ্জামান বলেন, অভিযোগটি সত্য নয়। মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে আমাদেরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।