বিশ্বজমিন

আজ মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণা করতে পারেন ট্রাম্প

মানবজমিন ডেস্ক

২৭ জানুয়ারি ২০২০, সোমবার, ৩:২৭ পূর্বাহ্ন

আজ সোমবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও আসন্ন নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী বেনি গান্টজের সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজে ওই বৈঠকের আগে বহুল প্রতিক্ষীত মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণা করার কথা ট্রাম্পের। কিন্তু তার নেতৃত্বে যেকোনো শান্তি পরিকল্পনা আগেভাগেই প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিন। এখন থেকে কমপক্ষে দুই বছর আগে ট্রাম্প প্রশাসন ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘাত সমাধান নিয়ে একটি খসড়া শুরু করে। কিন্তু এ বিষয়ের প্রস্তাবনা প্রকাশ বহুবার বিলম্বিত করা হয়। এমন অবস্থায় সামনেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ট্রাম্প ও বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এ বছর ৩রা নভেম্বর। আর ইসরাইলে নির্বাচন ২রা মার্চ। তার আগে ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসনের বিচার কাজ চলছে। অন্যদিকে দুর্নীতির মামলায় পার্লামেন্টের কাছে দায়মুক্তি চেয়েছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

যুক্তরাষ্ট্র এর আগে বেশ কয়েকবার এই পরিকল্পনা প্রকাশ করার জন্য চেষ্টা করে। কিন্তু গত বছর দু’বার জাতীয় নির্বাচন হয় ইসরাইলে। এতে সেখানে রাজনৈতিক সঙ্কট দেখা দেয়। নেতানিয়াহু সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠনে ব্যর্থ হন। ফলে এক অনিশ্চয়তা গ্রাস করে ইসরাইলকে। প্রশ্ন দেখা দেয়, কে এই শান্তি পরিকল্পনায় মধ্যস্থতার দায়িত্ব পালন করবেন। এমন অনিশ্চয়তায় বার বারই যুক্তরাষ্ট্রের ওই পরিকল্পনা স্থগিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড স্টেট ইন্সটিটিউট অব পিস-এর ইসরাইল-প্যালিস্টাইন কনফ্লিক্ট প্রোগ্রামের পরিচালক লুসি কুর্টজার ইলেনবোগেন বলেন, এই পরিকল্পনা প্রকাশ করার জন্য মার্কিন প্রশাসন বেশ কয়েকবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। এখন তা প্রস্তত হয়ে আছে। এখন মনে হচ্ছে ইসরাইলে জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত ধৈর্য্য ফুরিয়ে যাচ্ছে মার্কিন প্রশাসনের।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এমন অবস্থায় হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ইসরাইলের দুই নেতা নেতানিয়াহু ও বেনি গান্টজকে। ফলে এক্ষেত্রে মার্কিন প্রশাসন আশা করে থাকতে পারে, যিনিই ইসরাইলে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হোন, তাকেই তারা কাছে পাবে। ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এই শান্তি পরিকল্পনা আগেভাইে প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিন। তাদের অভিযোগ এই শান্তি পরিকল্পনা ইসরাইলকে সুবিধা দেয়ার জন্য, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতা নেয়ার পর এমনই আরও অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

গত তিন বছরে ট্রাম্প প্রশাসন বিতর্কিতভাবে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তেল আবিব থেকে তাদের দূতাবাসকে সরিয়ে নিয়েছেন সেখানে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘের এজেন্সিকে অর্থ দেয়া। ফিলিস্তিনকে দেয়া শত শত মিলিয়ন ডলারের সহায়তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এসব পদক্ষেপের কারণে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সব রকম আলোচনা বন্ধ করে দিয়েছে ফিলিস্তিন। দেশটির প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের একজন মুখপাত্র এ সপ্তাহে বলেছেন, ট্রাম্প নেতৃত্বাধীন যেকোনো উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করবে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের মহাসচিব সায়েব এরেকাত বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের অধিকারকে উপেক্ষা করে যেকোন প্রস্তাব ইতিহাসে এই শতাব্দীর প্রতারণা হিসেবে রেকর্ড হয়ে থাকবে। তবে ট্রাম্প বলেছেন, তার প্রশাসন এ বিষয়ে ফিলিস্তিনের সঙ্গ সংক্ষিপ আলোচনা করেছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status