দেশ বিদেশ

রোহিঙ্গা গণহত্যা

আইসিজে’র আদেশে যা বলা হয়েছে

মানবজমিন ডেস্ক

২৫ জানুয়ারি ২০২০, শনিবার, ৮:৩৭ পূর্বাহ্ন

২০১৯ সালের ১১ই নভেম্বর গাম্বিয়া প্রজাতন্ত্র জাতিসংঘের গণহত্যা প্রতিরোধ ও অপরাধের শাস্তি বিষয়ক সনদ লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে। গাম্বিয়া তাদের আবেদনে যুক্তি উপস্থান করেছে যে, মিয়ানমার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে। জনগোষ্ঠীটিকে একটি ‘বিশেষ জাতিগত, বর্ণগত ও ধর্মীয় গোষ্ঠী’ হিসেবে বর্ণনা করেছে গাম্বিয়া। এই জনগোষ্ঠীর বসবাস মূলত মিয়ানমারের রাখাইন অঙ্গরাজ্যে। গাম্বিয়া তাদের আবেদনে আদালতের কাছে মামলার চূড়ান্ত রায় প্রকাশ পর্যন্ত মিয়ানমারে বাসরত রোহিঙ্গা, তাদের সদস্য ও গাম্বিয়ার অধিকার রক্ষায় গণহত্যা সনদের আওতায় কিছু অন্তর্বর্তী পদক্ষেপ নিতে মিয়ানমারকে নির্দেশ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

অন্তর্বর্তী পদক্ষেপের নির্দেশ দেয়ার ক্ষেত্রে শর্ত: এটা বলে রাখা দরকার যে, আদালত কেবল তখনই অন্তর্বর্তী পদক্ষেপের নির্দেশ দেবে যখন আবেদনকারীর প্রস্তাবিত পদক্ষেপগুলো ‘প্রিমা ফ্যাসি’র (মিথ্যা প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত সত্য হিসেবে বিবেচিত প্রমাণ) ওপর ভিত্তি করে তৈরি, যাতে আদালতের বিচারিক এখতিয়ার বজায় থাকে। আদালতের নিজেকেও সন্তুষ্ট করতে হবে যে, যার অধিকার রক্ষার আবেদন করা হয়েছে তাকে সে অধিকার দেয়ার ন্যূনতম যুক্তিযুক্ততা রয়েছে এবং ওই অধিকারগুলো এবং অন্তর্বর্তী পদক্ষেপগুলোর মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। এ ছাড়া, অন্তর্বর্তী পদক্ষেপ নেয়ায় আদেশ প্রদানে আদালতের ক্ষমতা কেবল তখনই চর্চা করা হবে যখন অধিকারগুলো মামলার চূড়ান্ত রায়ের আগে অপূরণীয় ক্ষতির সত্য ও আসন্ন ঝুঁকিতে থাকবে।

প্রিমা ফ্যাসি বিচার: আদালত উল্লেখ করেন যে, গাম্বিয়া গণহত্যা সনদের নবম ধারায় তাদের বিচারিক এখতিয়ার পাওয়ার আবেদন জানিয়েছে। তাদের যুক্তি, এই ধারায় সনদের শর্ত পূরণ বা প্রয়োগ, ব্যাখ্যা নিয়ে সদস্যদের মধ্যে বিতর্ক থাকলে তাতে বিচারিক অধিকার পাওয়া যায়।

১. গণহত্যা সনদের নবম ধারা অনুসারে: ‘কোনো রাষ্ট্রের গণহত্যা বা তৃতীয় ধারায় বর্ণিত অন্যান্য কর্মকাণ্ডের জন্য রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতাসহ বিদ্যমান সনদের শর্ত পূরণ বা প্রয়োগ, ব্যাখা নিয়ে চুক্তিবদ্ধ দলগুলোর মধ্যে বিবাদ মীমাংসার জন্য জড়িত যেকোনো পক্ষ আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে আবেদন করতে পারে।’

মিয়ানমার দাবি করেছিল যে, গাম্বিয়ার সঙ্গে তাদের কোনো বিবাদ নেই। কেননা, দেশটি অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) এর হয়ে কাজ করছে। প্রারম্ভেই, মিয়ানমারের এই বিরোধিতা প্রত্যাখ্যান করেছেন আদালত। বলেন, গাম্বিয়া তাদের নামে এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছে। এ ছাড়া, গণহত্যা সনদের আওতায় তাদের অধিকার নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের বিবাদ রয়েছে বলে দাবি করেছে গাম্বিয়া। আদালত আরো বলেন, গাম্বিয়া আদালতে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে অন্যান্য রাষ্ট্র বা আন্তর্জাতিক সংগঠনের সাহায্য নিয়ে থাকতে পারে, কিন্তু তা সনদ নিয়ে দুই পক্ষের বিবাদ নিবারণ করে না।

মামলা দায়েরের সময় দুই পক্ষের মধ্যে কোনো বিবাদ ছিল কিনা সে প্রসঙ্গে আদালত বলেন, ২০১৯ সালের ৮ই আগস্ট, মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের স্বাধীন আন্তর্জাতিক তথ্য-অনুসন্ধানী মিশন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে নিশ্চিত করা হয় যে, মিয়ানমার গণহত্যা সনদের অধীনে রাষ্ট্রীয়ভাবে দায়বদ্ধ। প্রতিবেদনে গাম্বিয়া, বাংলাদেশ ও ওআইসির মামলা লড়ার চেষ্টাকে স্বাগত জানায় মিশন।
আদালত জানায়, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে উভয়

পক্ষের দেয়া বক্তব্য ও মিশনের প্রতিবেদনের প্রকাশ থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, রাখাইনে রোহিঙ্গা সংশ্লিষ্ট ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের ভিন্নমত রয়েছে।

আবেদনকারীর অভিযোগ করা কর্মকাণ্ডগুলো গণহত্যা সনদের আওতায় পড়ে কিনা সে বিষয়ে আদালতের মতামত হচ্ছে- গাম্বিয়ার দাবি মিয়ানমারের সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনী এবং তাদের নির্দেশে, নিয়ন্ত্রণে বা পরিচালনায় থাকা ব্যক্তি বা সত্তারা অন্যান্য অপরাধের পাশাপাশি হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ ও নানা ধরনের যৌন সহিংসতা, নির্যাতন, প্রহার, নির্মম আচরণ, খাদ্য, আশ্রয় ও জীবনযাপনের অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ না দেয়া বা ধ্বংস করে ফেলার জন্য দায়ী। এসব কিছুই করা হয়েছে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে। আদালত উল্লেখ করেন যে, গাম্বিয়ার করা গণহত্যা সনদ লঙ্ঘনের সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমার। তারা বিশেষ করে গণহত্যার ইচ্ছা না থাকার যুক্তি প্রদর্শন করেছে। আদালতের দৃষ্টিতে, গাম্বিয়ার অভিযোগ করা কর্মকাণ্ডগুলোর মধ্যে অন্তত কয়েকটি গণহত্যা সনদের আওতায় পড়ে। আদালত তাই গণহত্যা সনদের শর্ত পূরণ, প্রয়োগ ও ব্যাখ্যা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিদ্যমান বিবাদের ক্ষেত্রে উপরোল্লিখিত উপাদানগুলোকে এই পর্যায়ে প্রিমা ফ্যাসি প্রতিষ্ঠার জন্য পর্যাপ্ত ধরে নিয়েছে। এ ছাড়া আদালত সনদের অষ্টম ধারায় স্বাক্ষর না করায় গাম্বিয়ার মামলা করার অধিকার নেই বলে মিয়ানমার যে যুক্তি দেখিয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে। আদালত জানায়, প্রিমা ফ্যাসি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সনদের নবম ধারার আওতায় এই মামলা পরিচালনার এখতিয়ার রয়েছে তাদের।

২. গাম্বিয়ার অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন: আদালত এরপর গাম্বিয়ার মামলা করার অধিকার নেই বলে মিয়ানমার যে দাবি করেছে সেটি নিরীক্ষা করেন। মিয়ানমারের দাবি হচ্ছে, মিয়ানমারে সনদের লঙ্ঘনের অভিযোগগুলোয় গাম্বিয়া আক্রান্ত হয়নি। তাই তাদের এই মামলা করার অধিকার নেই। আদালত বলেন, গণহত্যা সনদের সকল সদস্য রাষ্ট্র গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধের নিশ্চয়তা দিয়েছে ও তেমন কর্মকাণ্ড হলে দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সকল পক্ষের অভিন্ন ইচ্ছা গণহত্যা সনদের প্রতি প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রাসঙ্গিক আনুগত্য প্রদর্শনের বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত। আদালত বলেন, কোনো সদস্য রাষ্ট্র অন্য কোনো সদস্য রাষ্ট্রকে সনদ রক্ষায় ব্যর্থতার জন্য দায়ী করতে পারে ও ওই ব্যর্থতার অবসান ঘটাতে পারে।  আদালত তাই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, মিয়ানমারের সঙ্গে গণহত্যা সনদ লঙ্ঘনের দ্বন্দ্ব মেটাতে গাম্বিয়ার মামলা দায়েরে অধিকার রয়েছে।

৩. যার অধিকার চাওয়া হয়েছে এবং অধিকার ও অনুরোধ করা পদক্ষেপগুলোর মধ্যে সম্পর্ক: গাম্বিয়ার দাবি করা অধিকারগুলোর যোগ্যতা ও যার জন্য তারা সুরক্ষা চাইছে তা যুক্তিযুক্ত কিনা, সে প্রশ্নের ব্যাপারে আদালত বলেন, গণহত্যা সনদের ধারাগুলো কোনো জাতীয়, জাতিগত, বর্ণগত বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে গণহত্যা বা সনদের তৃতীয় ধারায় বর্ণিত অপরাধ থেকে রক্ষার জন্য তৈরি। আদালতের দৃষ্টিতে, মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা গণহত্যা সনদের আওতায় একটি সুরক্ষিত গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচিত।

আদালত এরপর বলেন, শুনানিতে মিয়ানমার বলেছিল যে, ২০১৭ সালে রাখাইনে চালানো ‘নিধন অভিযানে’ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন ঘটে থাকতে পারে। এ ছাড়া, ২০১৮ সালের ২২শে ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ৭৩/২৬৪ প্রস্তাবনার কথাও উল্লেখ করেন আদালত। বলেন, পরের প্রস্তাবনাটিতে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার বাহিনীর নিয়মতান্ত্রিক ও বিস্তৃত অপরাধের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। একই সঙ্গে জাতিসংঘের তথ্য-অনুসন্ধানী মিশন নিশ্চিত করেছে যে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা পরিচালিত হওয়ার অভিযোগ বিশ্বাস করার পর্যাপ্ত কারণ রয়েছে। আদালতের দৃষ্টিতে, এসব তথ্য ও পরিস্থিতি গাম্বিয়ার দাবি করা অধিকার ও যাদের জন্য এ অধিকার চাওয়া হচ্ছে- মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে গণহত্যা ও তৃতীয় ধারায় বর্ণিত অন্যান্য অপরাধ থেকে সুরক্ষা প্রদানের জন্য পর্যাপ্ত। এ ছাড়া মিয়ানমারকে সনদের প্রতি আনুগত্য মানতে ও গণহত্যার শাস্তি দিতে গাম্বিয়ার অবস্থানও যুক্তিযুক্ত।

৪. অসংশোধনীয় ভুল ধারণার ঝুঁকি ও গুরুত্বতা: জেনোসাইড কনভেনশনের মূল মানদণ্ড অনুযায়ী আদালত মনে করে যে, মিয়ানমারে থাকা রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীকে হত্যা ও তাদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে থাকা সকল হুমকি থেকে রক্ষা করতে হবে। ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনে পাওয়া তথ্যের ওপর নজর দিয়ে আদালত জানিয়েছে, ২০১৬ সালের অক্টোবরের পর থেকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর এমন সব নির্যাতন চালানো হয়েছে যা তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন করেছে। এরমধ্যে রয়েছে গণহত্যা, নানা ধরনের যৌন নির্যাতনসহ ধর্ষণ, শারীরিক নির্যাতন, গ্রাম ধ্বংস ও বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া। আদালত মনে করে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের অবস্থা এখনো শোচনীয়। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে পরিচালিত হওয়া ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের তথ্য অনুযায়ী তারা এখনো গণহত্যার শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
মৌখিক কার্যক্রম পরিচালনার সময় আদালত মিয়ানমারের বিবৃতি শুনেছে। এতে বলা হয়েছে, দেশটি বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন ও মিয়ানমারে জাতিগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা স্থাপনে কাজ করছে। তবে আদালতের দৃষ্টিতে শুধুমাত্র এই পদক্ষেপগুলোই যথেষ্ট নয়।

৫. নিষ্পত্তি: উপরের আলোচনার ভিত্তিতে আদালত সিদ্ধান্ত জানাচ্ছে যে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে গণহত্যা থেকে রক্ষা করতে মিয়ানমারকে চারটি অন্তর্বর্তী নির্দেশ পালন করতে হবে। এর মধ্যে প্রথম হচ্ছে, জাতিসংঘের গণহত্যা প্রতিরোধ ও এর শাস্তি সম্পর্কিত সনদের ২য় ধারায় বর্ণিত সকল কর্মকাণ্ড থেকে মিয়ানমারে বাসকারী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে রক্ষার্থে দেশটিকে তাদের ক্ষমতায় সকল পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে সম্প্রদায়টির কোনো সদস্যকে হত্যা; তাদের শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি সাধন করা; ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের সম্পূর্ণ বা আংশিক শারীরিক ধ্বংসের জন্য তাদের জীবনযাপনের অবস্থার ওপর চাপ প্রয়োগ ও শিশু জন্মদানে সম্প্রদায়টির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ থেকে রোহিঙ্গাদের রক্ষা করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, মিয়ানমারকে তাদের সামরিক বাহিনী, সামরিক বাহিনী সমর্থিত, নির্দেশপ্রাপ্ত অন্য কোনো সশস্ত্র ইউনিট  ও বাহিনীটির নিয়ন্ত্রণে, নির্দেশনায় বা প্রভাবে থাকা কোনো প্রতিষ্ঠান যেন এখন থেকে দেশটিতে বাসরত রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে প্রথম নির্দেশে বর্ণিত কোনো কর্মকাণ্ড না চালাতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া, জনগোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে তারা যেন সরাসরি বা প্রকাশ্যে গণহত্যা চালানোর ষড়যন্ত্র, গণহত্যার উস্কানি ও চেষ্টা না করে তাও নিশ্চিত করতে হবে।

তৃতীয়ত, মিয়ানমারকে জাতিসংঘের গণহত্যা সনদের দ্বিতীয় ধারায় বর্ণিত সকল অভিযুক্ত কর্মকাণ্ডের প্রমাণ সংরক্ষণ করতে হবে ও সেগুলোকে ধ্বংস হওয়া থেকে রক্ষার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।
চতুর্থত, এই আদেশ কার্যকরের সময় থেকে পরবর্তী চার মাসের মধ্যে পদক্ষেপগুলোর বাস্তবায়ন সম্পর্কে মিয়ানমারকে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। এরপর থেকে প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর এই মামলার চূড়ান্ত রায় প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত একটি করে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status