বাংলারজমিন

হারপিক পানে এমপি পুত্রের আত্মহত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে

২৪ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, ৮:৫০ পূর্বাহ্ন

হারপিক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করা খুলনা-৫ আসনের (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) সংসদ সদস্য ও সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ছোট ছেলে জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-২ অভিজিৎ চন্দ্র চন্দ (৩৫) মারা গেছেন। বুধবার সকালের দিকে ডুমুরিয়াস্থ নিজ বাসভবনে তিনি হারপিক পান করেন। তাকে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে বিকালে এয়ার এম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেয়া হয়। সেখানে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ৯টার দিকে অভিজিৎ চন্দ্র মারা যান। অভিজিতের বড় ভাই বিশ্বজিৎ চন্দ্র চন্দ জানান, অভিজিৎকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে রাত ৯টার দিকে মারা যান। পরে তাকে খুলনা আনা হয় এবং সৎকার করা হয়। পরিবারের সদস্য ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে অভিজিৎ চন্দ্র চন্দ সবার অগোচরে হারপিক পান করেন। তিনি বমি করতে থাকলে তাকে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। অভিজিৎ চন্দ্র চন্দ বেশ কিছুদিন যাবৎ মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তাকে বেশ কয়েকমাস যাবৎ ঢাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা করানো হচ্ছিল। ভারতে নিয়েও তাকে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়। খুমেক হাসপাতাল সূত্র মতে, বুধবার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটে অভিজিৎ চন্দ্র চন্দকে হাসপাতালে ভর্তি দেখানো হয়। তাকে প্রথমে মেডিসিন-৫ এ ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে অবস্থা অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় বেলা ২টা ৩৪ মিনিটে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার এম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেয়া হয়।
মেডিসিন ইউনিট-৫ এর সহকারী রেজিস্ট্রার খালেদ মাহমুদ বলেন, হারপিক পান করার কারণে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রথমে তাকে ওয়ার্ডে রাখলে পরবর্তীতে আইসিইউতে নেয়া হয়। তিনি আশঙ্কামুক্ত নন, রক্তচাপ কমে গিয়েছিল। তবে কি কারণে হারপিক পান করেছিলেন তার পরিবার থেকে কিছু বলেননি।
পরিবারের সদস্যরা জানান, বুধবার সকালে অভিজিৎ চন্দ্র চন্দ সবার অগোচরে হারপিক পান করেন। তিনি বমি করতে থাকলে তাকে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। অভিজিৎ চন্দ্র চন্দ বেশ কিছুদিন যাবৎ মানসিকভাবে খুবই অসুস্থ ছিলেন। তাকে বেশ কয়েকমাস যাবৎ ঢাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা করানো হচ্ছিল।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, হারপিক পান করলে তাকে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়। তবে, পরিবারের ইচ্ছা অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য বিকালে তাকে এয়ার এম্বুলেন্সে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
অভিজিৎ চন্দ্র চন্দের পিতা সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি বলেন, সে মানসিকভাবে বেশ কিছুদিন অসুস্থ ছিল। তাকে ঢাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে নিয়মিত চিকিৎসা করানো হচ্ছিল। এমন অবস্থায় সে হারপিক পান করেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে এয়ার এম্বুলেন্সে করে ঢাকায় আনা হয়। এখানে সে রাতে মারা যায়।
উল্লেখ্য, এর আগেও নারায়ণ চন্দ্র চন্দ’র মেয়ে জয়ন্তী রানী চন্দ ওরফে বেবি অস্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেন। এরপর তার জামাতা বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজিএম প্রভাষ কুমার দত্ত দুর্বৃত্তদের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান। সব মিলিয়ে তার ছোট ছেলের আত্মহত্যা চেষ্টার খবর ছড়িয়ে পড়ায় খুলনায় নানা গুঞ্জন শুরু হয়।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status