বাংলারজমিন
বাগমারায় জাবের বাহিনীর প্রধানসহ ৫ সহযোগী গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে
২২ জানুয়ারি ২০২০, বুধবার, ৮:২৬ পূর্বাহ্ন
রাজশাহীর বাগমারার আলোচিত ‘জাবের বাহিনীর’ প্রধানকে তার ৫ সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে অভিযান চালিয়ে উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জাবের বাহিনীর প্রধান জাবের আলী, তার সহযোগী জিয়াউর রহমান, শ্রী নারায়ণ চন্দ্র সাহা, জাফর আলী, শামসুদ্দিন ও মোজাম্মেল হক। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতেখায়ের আলম জানান, বাগমারা উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের মন্দিয়াল গ্রামের জাবের আলী কয়েকটি গ্রামের মধ্যম বয়সী ছেলেদের নিয়ে একটি ঠেঙ্গারা বাহিনী গঠন করে নাম দেন জাবের বাহিনী। এ বাহিনীর মাধ্যমে এলাকার কয়েকটি গ্রামে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। তার অত্যাচারে এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে বাগমারা থানা ও রাজশাহীর আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের পরপরই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তার বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে ওই সকল ব্যক্তিদের পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তার হাত থেকে এলাকার মা বোনরা রক্ষা পায় না বলে এলাকার লোকজন অভিযোগ করেন।
এলকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ‘জাবের বাহিনী’র বিরুদ্ধে নারীর স্তন কেটে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগী ওই নারী উপজেলার বীরকয়া গ্রামের। তার ডান স্তন কেটে দেয় জাবের বাহিনীর সদস্যরা। ওই নির্যাতনের প্রতিবাদ করেছিলেন বীরকয়া গ্রামের মোবারক হোসেন (৪৫)। এর ফলে গত ৩ ডিসেম্বর মোবারক হোসেনকে পেটায় জাবের বাহিনী। তিনি এখন পঙ্গু জীবন-যাপন করছেন।
এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যমে জাবের বাহিনী নিয়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের পরে নড়েচড়ে বসে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। জাবের ও তাদের বাহিনীর সদস্যদের খোঁজে শুরু হয় পুলিশের অভিযান। পুলিশের অভিযানে বাহিনীর প্রধান জাবের আলী এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ ওই বাহিনীর ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, উপজেলার হলুদঘর এলাকার জালাল উদ্দীন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে জাবের আলীসহ তার বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এরআগে গত ১৯শে ডিসেম্বর পুলিশ জাবের বাহিনীর প্রধান জাবেরকে উপজেলার যতিনগঞ্জ বাজার থেকে গ্রেপ্তার করেছিল। ওই সময় দুই পুলিশকে পিটিয়ে হ্যান্ডকাপসহ পালিয়ে যায় জাবের আলী। পরে মঙ্গলবার ভোরে পুলিশ পুনরায় তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতেখায়ের আলম জানান, বাগমারা উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের মন্দিয়াল গ্রামের জাবের আলী কয়েকটি গ্রামের মধ্যম বয়সী ছেলেদের নিয়ে একটি ঠেঙ্গারা বাহিনী গঠন করে নাম দেন জাবের বাহিনী। এ বাহিনীর মাধ্যমে এলাকার কয়েকটি গ্রামে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। তার অত্যাচারে এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে বাগমারা থানা ও রাজশাহীর আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের পরপরই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তার বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে ওই সকল ব্যক্তিদের পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তার হাত থেকে এলাকার মা বোনরা রক্ষা পায় না বলে এলাকার লোকজন অভিযোগ করেন।
এলকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ‘জাবের বাহিনী’র বিরুদ্ধে নারীর স্তন কেটে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগী ওই নারী উপজেলার বীরকয়া গ্রামের। তার ডান স্তন কেটে দেয় জাবের বাহিনীর সদস্যরা। ওই নির্যাতনের প্রতিবাদ করেছিলেন বীরকয়া গ্রামের মোবারক হোসেন (৪৫)। এর ফলে গত ৩ ডিসেম্বর মোবারক হোসেনকে পেটায় জাবের বাহিনী। তিনি এখন পঙ্গু জীবন-যাপন করছেন।
এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যমে জাবের বাহিনী নিয়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের পরে নড়েচড়ে বসে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। জাবের ও তাদের বাহিনীর সদস্যদের খোঁজে শুরু হয় পুলিশের অভিযান। পুলিশের অভিযানে বাহিনীর প্রধান জাবের আলী এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ ওই বাহিনীর ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, উপজেলার হলুদঘর এলাকার জালাল উদ্দীন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে জাবের আলীসহ তার বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এরআগে গত ১৯শে ডিসেম্বর পুলিশ জাবের বাহিনীর প্রধান জাবেরকে উপজেলার যতিনগঞ্জ বাজার থেকে গ্রেপ্তার করেছিল। ওই সময় দুই পুলিশকে পিটিয়ে হ্যান্ডকাপসহ পালিয়ে যায় জাবের আলী। পরে মঙ্গলবার ভোরে পুলিশ পুনরায় তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।