শেষের পাতা
কোটা সংক্রান্ত পরিপত্র সংশোধনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
স্টাফ রিপোর্টার
২১ জানুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার, ১০:১২ পূর্বাহ্ন
নন-ক্যাডার ৮ম ও এর উপরের গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি থাকবে না। গতকাল নন-ক্যাডার ৮ম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা বণ্টন পদ্ধতি সংক্রান্ত পরিপত্র সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া আকাশ পথে ভ্রমণ দুর্ঘটনা বা লাগেজ হারিয়ে গেলে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধি করে আকাশপথে পরিবহণ (মন্টিল কনভেনশন) আইন, ২০২০-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এই অনুমোদনের কথা জানান। ৮ম গ্রেড থেকে এর ওপরের অর্থাৎ ১ম গ্রেড পর্যন্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো কোটা থাকবে না। কোটা বাতিলের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রের স্পষ্টকরণের জন্য বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) প্রস্তাব পাঠালে সেই প্রস্তাব অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই প্রস্তাবটি উপস্থাপন করে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয় থেকে গত বছরের ৩রা ফেব্রুয়ারি নন ক্যাডার ৮ম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে নাকি আগের কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে এ বিষয়টি স্পষ্টকরণের জন্য অনুরোধ করা হয়। তিনি বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৪ঠা অক্টোবর সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে পরিপত্র জারি করে। সেখানে বলা হয়, ৯ম গ্রেড (আগের প্রথম শ্রেণী) এবং ১০ম থেকে ১৩ম গ্রেডের (আগের দ্বিতীয় শ্রেণী) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করা হবে। ৯ম গ্রেড এবং ১০ম থেকে ১৩ম গ্রেডের (আগের দ্বিতীয় শ্রেণী) পদে সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো। তিনি আরো বলেন, পরিপত্রে ৯ম গ্রেড (আগের প্রথম শ্রেণী) এবং ১০ম থেকে ১৩ম গ্রেডের (আগের দ্বিতীয় শ্রেণী) পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলেও আগের ১ম শ্রেণীভুক্ত ৮ম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা বণ্টন পদ্ধতি কী হবে সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা নেই। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন ৯ম গ্রেড এবং ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেড ছাড়াও ৮ম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডের কোনো কোনো পদে সরাসরি নিয়োগ দিয়ে থাকে। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫’ এ শ্রেণীর পরিবর্তে গ্রেড উল্লেখ করা হয়েছে এবং আগের ১ম শ্রেণীর পদ বলতে ৯ম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডের পদকে বুঝানো হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে ‘৯ম গ্রেড’ এর স্থলে ‘৯ম ও তদূর্ধ্ব গ্রেড’ উল্লেখ করে পরিপত্রটির সংশোধন প্রয়োজন বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত দিয়েছে যে, ৯ম থেকে যত ওপরের দিকের যাক সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো কোটা পদ্ধতি থাকবে না।
এদিকে, আকাশ পথে ভ্রমণ দুর্ঘটনা বা লাগেজ হারিয়ে গেলে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বাড়িয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে। সচিব বলেন, আকাশ পথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন) আইন ২০২০ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন। এ আইনের ফলে আকাশ পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু, আঘাত এবং লাগেজ হারিয়ে গলে যাত্রীদের ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বাড়বে। দুর্ঘটনায় আগে মৃত্যু/আঘাত পেলে ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৬০০ টাকা পেতো। এখন তা বৃদ্ধি করে এক কোটি ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৩৩৪ টাকা করা হয়েছে। ফ্লাইট বিলম্বের কারণে আগে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২০ মার্কিন ডলার দিতে হতো যাত্রীকে, এখন পাবেন ৫ হাজার ৭৩৪ ডলার, লাগেজ বিনষ্ট/হারিয়ে গেলে আগে ২০ মার্কিন ডলার দিতে হতো প্রতি কেজিতে, এখন দিতে হবে এক হাজার ৩৮১ মার্কিন ডলার প্রতি কেজিতে এবং কার্গো বিনষ্ট/হারালে আগে ২০ মার্কিন ডলার দিতে হতো প্রতি কেজিতে, এখন দিতে হবে ২৪ মার্কিন ডলার প্রতি কেজিতে।
বৈঠকে আরো আইনের খসড়ার অনুমোদন হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০২০-এর খসড়ার, আয়োডিনযুক্ত লবণ আইন ২০২০ এর খসড়ার, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন, ২০২০- এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। এছাড়া ৬ই এপ্রিল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবসের পাশাপাশি জাতীয় ক্রীড়া দিবস উদযাপনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
ব্রিফিংয়ে জানান, ২০১৯ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভায় নেয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ছিল ৭৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়ে ২০১৯ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯টি মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। এতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ৯৭টি। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়েছে ৭৩টি। ২৪টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এ সময়ে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৭৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আরো জানান, গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মন্ত্রিসভা বৈঠকে দুটি নীতি বা কর্মকৌশল এবং পাঁচটি চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) অনুমোদিত হয়েছে। এ সময়ে সংসদে আইন পাস হয়েছে তিনটি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয় থেকে গত বছরের ৩রা ফেব্রুয়ারি নন ক্যাডার ৮ম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে নাকি আগের কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে এ বিষয়টি স্পষ্টকরণের জন্য অনুরোধ করা হয়। তিনি বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৪ঠা অক্টোবর সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে পরিপত্র জারি করে। সেখানে বলা হয়, ৯ম গ্রেড (আগের প্রথম শ্রেণী) এবং ১০ম থেকে ১৩ম গ্রেডের (আগের দ্বিতীয় শ্রেণী) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করা হবে। ৯ম গ্রেড এবং ১০ম থেকে ১৩ম গ্রেডের (আগের দ্বিতীয় শ্রেণী) পদে সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো। তিনি আরো বলেন, পরিপত্রে ৯ম গ্রেড (আগের প্রথম শ্রেণী) এবং ১০ম থেকে ১৩ম গ্রেডের (আগের দ্বিতীয় শ্রেণী) পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলেও আগের ১ম শ্রেণীভুক্ত ৮ম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা বণ্টন পদ্ধতি কী হবে সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা নেই। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন ৯ম গ্রেড এবং ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেড ছাড়াও ৮ম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডের কোনো কোনো পদে সরাসরি নিয়োগ দিয়ে থাকে। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫’ এ শ্রেণীর পরিবর্তে গ্রেড উল্লেখ করা হয়েছে এবং আগের ১ম শ্রেণীর পদ বলতে ৯ম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডের পদকে বুঝানো হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে ‘৯ম গ্রেড’ এর স্থলে ‘৯ম ও তদূর্ধ্ব গ্রেড’ উল্লেখ করে পরিপত্রটির সংশোধন প্রয়োজন বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত দিয়েছে যে, ৯ম থেকে যত ওপরের দিকের যাক সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো কোটা পদ্ধতি থাকবে না।
এদিকে, আকাশ পথে ভ্রমণ দুর্ঘটনা বা লাগেজ হারিয়ে গেলে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বাড়িয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে। সচিব বলেন, আকাশ পথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন) আইন ২০২০ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন। এ আইনের ফলে আকাশ পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু, আঘাত এবং লাগেজ হারিয়ে গলে যাত্রীদের ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বাড়বে। দুর্ঘটনায় আগে মৃত্যু/আঘাত পেলে ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৬০০ টাকা পেতো। এখন তা বৃদ্ধি করে এক কোটি ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৩৩৪ টাকা করা হয়েছে। ফ্লাইট বিলম্বের কারণে আগে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২০ মার্কিন ডলার দিতে হতো যাত্রীকে, এখন পাবেন ৫ হাজার ৭৩৪ ডলার, লাগেজ বিনষ্ট/হারিয়ে গেলে আগে ২০ মার্কিন ডলার দিতে হতো প্রতি কেজিতে, এখন দিতে হবে এক হাজার ৩৮১ মার্কিন ডলার প্রতি কেজিতে এবং কার্গো বিনষ্ট/হারালে আগে ২০ মার্কিন ডলার দিতে হতো প্রতি কেজিতে, এখন দিতে হবে ২৪ মার্কিন ডলার প্রতি কেজিতে।
বৈঠকে আরো আইনের খসড়ার অনুমোদন হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন, ২০২০-এর খসড়ার, আয়োডিনযুক্ত লবণ আইন ২০২০ এর খসড়ার, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন, ২০২০- এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। এছাড়া ৬ই এপ্রিল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবসের পাশাপাশি জাতীয় ক্রীড়া দিবস উদযাপনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
ব্রিফিংয়ে জানান, ২০১৯ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভায় নেয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ছিল ৭৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়ে ২০১৯ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯টি মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। এতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ৯৭টি। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়েছে ৭৩টি। ২৪টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এ সময়ে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৭৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আরো জানান, গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মন্ত্রিসভা বৈঠকে দুটি নীতি বা কর্মকৌশল এবং পাঁচটি চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) অনুমোদিত হয়েছে। এ সময়ে সংসদে আইন পাস হয়েছে তিনটি।