শেষের পাতা
সম্পাদকের বিরুদ্ধে পরোয়ানার সঙ্গে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সম্পর্ক নেই
স্টাফ রিপোর্টার
২০ জানুয়ারি ২০২০, সোমবার, ৯:২৯ পূর্বাহ্ন
প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে তা ফৌজদারি অপরাধের মামলার কারণে। এটির সঙ্গে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কোনো সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত কোন সংবাদ বা বক্তব্যের জন্য এই মামলা হয়নি। ফৌজদারী অপরাধের জন্যই এই মামলা হয়েছে। প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বিষয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ দেশের ৪৭ বিশিষ্টজনের বিবৃতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই ৪৭ জন বিশিষ্টজন ছাড়াও দেশে আরো হাজার হাজার বিশিষ্টজন রয়েছেন। তবে অবহেলাজনিত কোন মৃত্যুর জন্য বা মৃত্যু হওয়ার পর তা যদি লুকানোর অপচেষ্টা হয় অথবা পোস্টমর্টেম ছাড়া দাফন করা হয়, তবে তা নিশ্চয়ই অপরাধের সামিল। তিনি বলেন, যারা অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে প্ররোচনার অভিযোগ রয়েছে।
তবে এসব অভিযোগের সত্য-মিথ্যা সব তদন্তে বেরিয়ে আসবে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, যেসব বিশিষ্টজন বিবৃতি দিয়েছেন তারা আরো একটি বিবৃতি দেবেন এ ধরনের ঘটনা এবং এর সঙ্গে জড়িতদের যেন সঠিক বিচার হয়। তিনি বলেন এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সাথে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কোন সম্পর্ক নেই। এই মামলা হয়েছে ফৌজদারী অপরাধের কারণে। আর এজন্য আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এটি সম্পূর্ণ আদালতের বিষয়। তিনি বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্যও তারা বিবৃতি দিয়েছিল। কিন্তু ফিলিস্তিনে যখন পাখির মতো নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হয়, তখন তারা কোন বিবৃতি দেয় না।
কারণ তাদের বিবৃতি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাহলে ওই সংগঠনের গ্রহণযোগ্যতা বর্তমানে কোথায় তা নিয়ে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে। সমপ্রতি তার ভারত সফর প্রসঙ্গে বলেন, দুই দেশের শ্রোতাদের বাংলাদেশ বেতার এবং আকাশবাণী রেডিও শোনার সুযোগ করে দিতে আমি এবং ভারতের তথ্যমন্ত্রী প্রকাশক জাভাদেকার যৌথভাবে ১৪ই জানুয়ারি প্রসার ভারতী এবং বাংলাদেশ বেতারের মধ্যে সমপ্রচার কার্যক্রম শুরু করেছি। বাংলাদেশ বেতার এখন ভারত জুড়ে শোনা যাচ্ছে, আর আকাশবাণীও এখন বাংলাদেশে শোনা যাবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেছিলেন, উভয় দেশের শ্রোতারা, বিশেষত ত্রিপুরা এবং পশ্চিমবঙ্গের জনগণ বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠানগুলো টেরেস্ট্রিয়ালি শুনতে সক্ষম হবেন এবং ভারতের অন্যান্য জায়গায় ডিটিএইচ (ডাইরেক্ট টু হোম) ব্যবহারের মাধ্যমে শোনা যাবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক তৈরির বিষয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) এবং ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (এনএফডিসি) এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। আমি নয়া দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্করের সঙ্গেও সাক্ষাত করেছি এবং এ সময় আমরা প্রতিবেশী দুই দেশের বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। বৈঠকে আমরা দুটি দেশের জনগণের মাঝে যোগাযোগ বাড়াতে বাংলাদেশের আখাউড়া এবং ভারতের আগরতলায় রেলপথ সীমান্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুত সমাপ্তির বিষয়ে আলোচনা করেছি। তিনি বলেন, সেদিন রাতেই আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও দেখা করেছি। কথোপকথনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আমাদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
তবে এসব অভিযোগের সত্য-মিথ্যা সব তদন্তে বেরিয়ে আসবে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, যেসব বিশিষ্টজন বিবৃতি দিয়েছেন তারা আরো একটি বিবৃতি দেবেন এ ধরনের ঘটনা এবং এর সঙ্গে জড়িতদের যেন সঠিক বিচার হয়। তিনি বলেন এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সাথে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কোন সম্পর্ক নেই। এই মামলা হয়েছে ফৌজদারী অপরাধের কারণে। আর এজন্য আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এটি সম্পূর্ণ আদালতের বিষয়। তিনি বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্যও তারা বিবৃতি দিয়েছিল। কিন্তু ফিলিস্তিনে যখন পাখির মতো নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হয়, তখন তারা কোন বিবৃতি দেয় না।
কারণ তাদের বিবৃতি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাহলে ওই সংগঠনের গ্রহণযোগ্যতা বর্তমানে কোথায় তা নিয়ে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে। সমপ্রতি তার ভারত সফর প্রসঙ্গে বলেন, দুই দেশের শ্রোতাদের বাংলাদেশ বেতার এবং আকাশবাণী রেডিও শোনার সুযোগ করে দিতে আমি এবং ভারতের তথ্যমন্ত্রী প্রকাশক জাভাদেকার যৌথভাবে ১৪ই জানুয়ারি প্রসার ভারতী এবং বাংলাদেশ বেতারের মধ্যে সমপ্রচার কার্যক্রম শুরু করেছি। বাংলাদেশ বেতার এখন ভারত জুড়ে শোনা যাচ্ছে, আর আকাশবাণীও এখন বাংলাদেশে শোনা যাবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেছিলেন, উভয় দেশের শ্রোতারা, বিশেষত ত্রিপুরা এবং পশ্চিমবঙ্গের জনগণ বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠানগুলো টেরেস্ট্রিয়ালি শুনতে সক্ষম হবেন এবং ভারতের অন্যান্য জায়গায় ডিটিএইচ (ডাইরেক্ট টু হোম) ব্যবহারের মাধ্যমে শোনা যাবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক তৈরির বিষয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) এবং ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (এনএফডিসি) এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। আমি নয়া দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্করের সঙ্গেও সাক্ষাত করেছি এবং এ সময় আমরা প্রতিবেশী দুই দেশের বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। বৈঠকে আমরা দুটি দেশের জনগণের মাঝে যোগাযোগ বাড়াতে বাংলাদেশের আখাউড়া এবং ভারতের আগরতলায় রেলপথ সীমান্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুত সমাপ্তির বিষয়ে আলোচনা করেছি। তিনি বলেন, সেদিন রাতেই আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও দেখা করেছি। কথোপকথনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আমাদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।