দেশ বিদেশ

কাশ্মীরে ‘ডি-রেডিক্যালাইজেশন ক্যাম্প’-এর কথা বলে বিতর্কে বিপিন রাওয়াত

মানবজমিন ডেস্ক

১৯ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, ৮:৩৪ পূর্বাহ্ন

কাশ্মীরিদের মধ্যে উগ্র মতাদর্শের বিস্তার রোধে তাদেরকে ‘ডি- রেডিক্যালাইজেশন ক্যামপ’ বা উগ্রতা দূরীকরণে বিশেষ শিবিরে স্থানান্তরিত করার কথা বলেছেন ভারতের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার বিপিন রাওয়াত। কিন্তু তার এমন মন্তব্য দেশটিতে সৃষ্টি করেছে বড় ধরনের বিতর্কের। উদ্বেগ জানিয়েছেন দেশটির মানবাধিকার কর্মীরা। তারা এমন প্রস্তাবকে তুলনা করছেন চীনের শিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিমদের মধ্যে উগ্রতা দূরীকরণে পুনঃশিক্ষণ শিবিরগুলোর সঙ্গে।
গত বৃহসপতিবার ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত ওই মন্তব্য করেন। তার ওই মন্তব্যের পর অধিকারকর্মী এবং কাশ্মীরি বুদ্ধিজীবীরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বলেন, জেনারেলের ভাষায় স্পষ্ট হয়ে গেল যে সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায়েও কাশ্মীরিদের কীভাবে দেখা হয়। তার এই মন্তব্য কাশ্মীর ইস্যুকে বিপজ্জনক রাস্তায় ঠেলে দিতে পারে। ইতিহাসবিদ সিদ্দিক ওয়াহিদ বলেন, এটি বিস্ময়কর যে তার পর্যায়ের একজন এমন কথা বলবেন। এটি আমাকে চীনের উইঘুর শিবিরের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। আমার মনে হয় না বিপিন রাওয়াত তার কথার গুরুত্ব বুঝে ওই মন্তব্য করেছেন।
জেনারেল রাওয়াতের ওই মন্তব্যকে অপ্রত্যাশিত দাবি করে কাশ্মীরি বুদ্ধিজীবীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, দেশটির বর্তমান নরেন্দ্র মোদির সরকারের সময় এমন সব কিছুই সম্ভব হয়ে উঠছে যা কয়েক বছর পূর্বেও চিন্তা করা যেতো না।
কীভাবে সন্ত্রাসবাদকে মোকাবিলা করতে হবে এমন এক প্রশ্নের জবাবে সেদিন বিপিন রাওয়াত বলেন, কাশ্মীরে মাত্র ১০ থেকে ১২ বছরের মধ্যেই একটা ছেলে বা মেয়ে উগ্রবাদী হয়ে ওঠে। তাদেরকে হয়তো ধীরে ধীরে উগ্রবাদ থেকে সরিয়ে আনা সম্ভব। কিন্তু সেখানে অনেকেই আছেন যারা পুরোপুরি উগ্রবাদী হয়ে উঠেছে। তাদেরকে অবশ্যই আলাদা করে ফেলতে হবে। এবং সম্ভব হলে ডি- রেডিক্যালাইজেশন শিবিরে নিয়ে যেতে হবে। এরপরই তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ভারতে ডি-রেডিক্যালাইজেশন ক্যামপ স্থাপিত হচ্ছে।
তার ওই মন্তব্য শুক্রবার ভারতজুড়ে গণমাধ্যমগুলোর প্রথম পাতার শিরোনামে পরিণত হয়। শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করেন মুম্বইয়ের এমন একজন অধিকারকর্মী সকেত গোখালে জানান, এই প্রথম তিনি ভারতের মধ্যে এ ধরনের ডি-রেডিক্যালাইজেশন ক্যামেপর কথা শুনেছেন। ডি-রেডিক্যালাইজেশনের জন্য আলাদা প্রকল্প আছে কিন্তু তা একটি ক্যামেপর থেকে অনেক আলাদা। সিদ্দিক ওয়াহিদও এই ক্যামপ শব্দটা নিয়ে আতঙ্ক জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা কি এমন একটি ক্যামেপর বিষয়ে কথা বলছি যেখানে মানুষদের নিয়ে তাদের পরিচয় মুছে দেয়া হবে এবং নতুন করে তাকে পরিচিত হতে হবে?
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status