এক্সক্লুসিভ

জিজ্ঞাসাবাদে যা বলেছেন এনু-রুপন

স্টাফ রিপোর্টার

১৮ জানুয়ারি ২০২০, শনিবার, ৭:১৭ পূর্বাহ্ন

শুধুমাত্র ক্যাসিনো কাণ্ড নয়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বড় বড় প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করে অর্থ হাতিয়েছেন পুরান ঢাকার আওয়ামী লীগের সাবেক দুই নেতা এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়া। সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে ইতিমধ্যে এ বিষয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন তারা। তাদের এ অবৈধ আয়ের কিছু অংশ উপহার হিসেবে পৌঁছাতো ক্ষমতাবানদের কাছে। পেছন থেকে তাদের কারা শক্তি যোগাতেন এমন ব্যক্তিদের বিষয়ে জানার চেষ্টা করছে সিআইডি। এ বিষয়ে সিআইডির এক সূত্র জানায়, তারা দুই ভাই এলাকাতে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে বিলাসবহুল গাড়িবহর নিয়ে চলাফেরা করতো। রাজনৈতিক পদ, প্রভাব, টাকা ইত্যাদি থাকার কারণে এলাকার বিভিন্ন স্থানে তারা চাঁদাবাজি করতো। ফুটপাতে, বিভিন্ন কন্সট্রাকশনসহ চাঁদাবাজির যে ক্ষেত্রগুলো আছে এসকল স্থান থেকে তারা নিজেদের সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে চাঁদাবাজি করতো। রিমাণ্ডে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে এনু ও রুপন এসব কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া তারা যে ক্যাসিনো নিয়ন্ত্রণ করতো সেখান থেকে তারা প্রচুর পরিমানে অর্থ উপার্জন করেছে। ক্যাসিনো এবং চাঁদাবাজির টাকা দিয়েই এই বিপুল অর্থ সম্পদ তারা করেছে। এসব কাজের কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদের রাজনৈতিক সেল্টার ছিল। তবে তাদের সেল্টারদাতাদের নাম এখনও তারা বলেনি। এছাড়া ক্যাসিনো পরিচালনায় তাদের নেপালি কাউন্টার পার্ট কারা এবং তারা এ দেশে কতদিন ছিল সে বিষয়গুলো সম্পর্কে তথ্য বের করার চেষ্টা চলছে। তারা যেহেতু রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী এবং টাকা পয়সা আছে, ফলে তারা কথা বলার ক্ষেত্রে অনেক সতর্ক। জিজ্ঞাসাবাদে অনেক সতর্কভাবেই কথাবার্তা বলছে তারা। বিভিন্ন কৌশল তারা গ্রহণ করছে। চুপ থাকার চেষ্টা করছে। তাদের কৌশল ভেদ করে কিভাবে প্রকৃত তথ্য বের করা যায় সে বিষয়ে তৎপর সিআইডি। ইতোমধ্যে তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত স্বর্ণালংকারও জব্দ করা হয়েছে। সিআইডি সূত্র বলেছে, তাদের আরো কোনো অর্থ-সম্পদ আছে কি না সে বিষয়ে ক্রস চেক করছি। আমরা বিভিন্ন সংস্থা বিশেষ করে রিহ্যাব (আবাসন), জেলা রেজিস্টার অফিস, ট্যাক্স অফিস, বিআরটিএ অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থায় ইতোমধ্যে চিঠি পাঠিয়েছি। এ সংক্রান্ত চিঠি আসলে জিজ্ঞাসাবাদের তথ্যানুযায়ী আমরা মিলিয়ে দেখবো যে তাদের নামে আরো কোনো লুকায়িত সম্পদ আছে কি না।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর এনু ও রুপন এবং তাদের দুই কর্মচারীর বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। সেখান থেকে পাঁচ কোটি টাকা এবং সাড়ে সাত কেজি সোনা ও ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে সূত্রাপুর ও গেণ্ডারিয়া থানায় তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর গত সোমবার কেরানীগঞ্জের একটি ভাড়া বাড়ি থেকে দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়। অর্থপাচার আইনের মামলায় আদালত তাদের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status