শেষের পাতা

এনু-রুপন রিমান্ডে

স্টাফ রিপোর্টার

১৫ জানুয়ারি ২০২০, বুধবার, ৯:০২ পূর্বাহ্ন

মুদ্রা পাচার মামলায় ক্যাসিনো কারবারি ও গেণ্ডারিয়া আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা এনামুল হক ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়ার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের সহযোগী শেখ সানি মোস্তফাকে তিনদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী গতকাল সিআইডি’র করা আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। সূত্রাপুর থানার মুদ্রাপাচার মামলায় রুপনের ১০ দিনের রিমাণ্ড আবেদন করে সিআইডি। আর গেণ্ডারিয়া থানার মুদ্রা পাচার মামলায় এনামুল ও তার সহযোগী শেখ সানি মোস্তফারও ১০ দিনের রিমাণ্ড আবেদন করা হয়। রিমাণ্ড আবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াড জোনের পরিদর্শক মেহেদী মাকসুদ বলেছেন, ক্যাসিনো কাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের অর্থের উৎস ও গচ্ছিত অর্থ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ, ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনো পরিচালনা সংক্রান্ত এবং মামলা ব্যাপক তদন্তের স্বার্থে তাদের রিমাণ্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা এসময় রিমাণ্ডের বিরোধীতা করে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের রিমাণ্ডে নিয়ে জিজ্ঞসাবাদের আদেশ দেন। এর আগে সোমবার ভোরে কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যার একটি ১০ তলা বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৪০ লাখ টাকা, ১২টি মোবাইল ফোন, বাড়ির দলিলপত্র এবং ব্যাংকের কাগজপত্রসহ এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডির একটি টিম।
এনামুল হক গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও  ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের পরিচালক ছিলেন। রুপন ভূঁইয়া গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত বছরের ১৮ই সেপ্টেম্বর র‌্যাব ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানে মাঠে নামে। ওইদিনই মতিঝিলের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবসহ আরও বেশ কয়েকটি ক্লাবে অভিযান চালিয়ে ক্যাসিনো সরঞ্জামি, নগদ টাকা, মদ উদ্ধার করে র‌্যাব। তারপর একে একে গ্রেপ্তার করা হয় ক্যাসিনো হোতাদের। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে র‌্যাব জানতে পারে ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে ক্যাসিনোতে এনামুল হক ও রুপন ভূঁইয়ার সম্পৃক্ততা রয়েছে। ২৪ সেপ্টেম্বর এনু ও রুপনের গেণ্ডারিয়ার বাসা, তাদের কর্মচারীর বাসা ও এনুর এক বন্ধুর বাসায় অভিযান চালিয়ে ৫টি সিন্দুকে নগদ ৫ কোটি টাকা, আট কেজি সোনা ও ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ওই সময় এনু ও রুপন পলাতক থাকায় তাদের আটক করতে পারেনি র‌্যাব। অভিযান ?শুরুর পর তারা কক্সবাজারে পালিয়ে যান। সেখান থেকে মিয়ানমার অথবা মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করেন। পালাতে না পেরে তারা কেরাণীগঞ্জে চলে আসেন। ওই সময় র‌্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো এনু ও রুপনের এত টাকার উৎস অবৈধ ক্যাসিনো। নগদ টাকা রাখতে বেশি জায়গার প্রয়োজন তাই তারা সোনা কিনে রাখতেন। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনা, অবৈধ অস্ত্র ও অর্থ পাচারসহ মোট সাতটি মামলা করা হয়েছিলো। যার মধ্যে চারটি মামলার তদন্ত করছিলো সিআইডি। গ্রেপ্তারের পর সিআইডি জানিয়েছে, তাদের কাছে থেকে ২২টি বাড়ি ও জমির দলিল, ৫টি গাড়ির কাগজ এবং ৯১টি ব্যাংক হিসাবে ১৯ কোটি টাকার কাগজপত্র পেয়েছে। এবং তাদের ব্যাংক হিসাবগুলো জব্দ করা হয়েছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status