বাংলারজমিন
সোনাইমুড়ীতে স্বামী ভাসুরের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা
স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
১৫ জানুয়ারি ২০২০, বুধবার, ৮:৫৬ পূর্বাহ্ন
সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষীরহাটে পালিয়ে বিয়ে করার ১ মাসের মাথায় স্বামীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ, লুটপাট, ধর্ষণের মামলা করেছেন আয়েশা আক্তার নামক এক নারী। সোনাইমুড়ী থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ স্থানীয় চাষীরহাট বাজারের সোলাইমান (৩২) নামে এক জুয়েলারী ব্যবসায়ীকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। আয়েশা আক্তারকে শারীরিক পরিক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলায় আসামিরা হচ্ছে- স্বামী মোরশেদ আলম, ভাসুর মো. আজাদ হোসেন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মহসিন। জানা যায়, উপজেলার ১ নম্বর জয়াগ ইউনিয়নের ভাওরকোর্ট গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে ও চাষীরহাটের স্থানীয় ব্যবসায়ী মোরশেদ আলমের সাথে আয়শা আক্তারের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং তারা একাধিক বার একে অপরের হাত ধরে কয়েক দিনের জন্য উধাও হয়ে যায়। সর্বশেষ গত বছরের ৯ই অক্টোবর আয়েশা আক্তার স্বামী অজি উল্যাকে তালাক দেয় এবং মোরশেদ আলমের সাথে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দেন মোহর ধার্য করে লক্ষ্মীপুর আদালতে নোটারি পাবলিক এর মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের এক মাসের মাথায় আয়েশা আক্তার পিতার বাড়িতে বেড়াতে এসে পূর্ব স্বামীর সাথে পুনঃসখ্যতা গড়ে উঠে। উভয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তারা থানায় এসে লুটপাট, ধর্ষণ, অপহরণে অভিযোগ এনে ৪ জনকে আসামি করে একটি এজাহার দায়ের করলে পুলিশ এটি নিয়মিত মামলা করে এবং সোলায়মানকে গ্রেপ্তার করে।
সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুস সামাদ মানবজমিনকে জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইমদাদ হোসেনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে। এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত বাকি ৩ আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।
সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুস সামাদ মানবজমিনকে জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইমদাদ হোসেনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে। এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত বাকি ৩ আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।