ভারত
এনআরসি ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়: বিজিবি প্রধান
কলকাতা প্রতিনিধি
৩০ ডিসেম্বর ২০১৯, সোমবার, ১১:৩২ পূর্বাহ্ন
ভারতের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়’। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাফিনুল ইসলাম একথা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ভারতে অনুপ্রবেশ রুখতে তারা সতর্ক নজর রাখবেন। গত বৃহস্পতিবার থেকে নয়াদিল্লিতে ডিজি পর্যায়ের ৪৯তম সমন্বয় বৈঠক শুরু হয়। রোববার এই বৈঠক শেষ হয়েছে। বৈঠক শেষে বিএসএফের প্রধান বিবেক জহরীর সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বিজিবির ডিজি শাফিনুল ইসলাম বলেছেন, ভারত সরকার এবং দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় অত্যন্ত ভাল এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ। গত অক্টোবরে বিএসএফের এক টিমের উপর বিজিবির গুলিতে এক বিএসএফ জওয়ানের মৃত্যুর ঘটনাকে দুই পক্ষই অপ্রত্যাশিত এবং অনাকাঙ্খিত বলে জানিয়েছেন। বিএসএফের ডিজি বিবেক জহরী সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, এই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এই ঘটনা থেকে আমরা শিক্ষা গ্রহণ করেছি। তিনি আরও বলেছেন, বিজিবি ঘটনা নিয়ে তদন্তের কথা তাকে জানিয়েছেন। ৫ দিনের ডিজি পর্যায়ের বৈঠকে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
আলোচনা হয়েছে আস্থাবর্ধক বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েও। সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেবার ব্যাপারে সিঙ্গেল ফেন্সিং ব্যবস্থা চালু করার ব্যাপারে বিএসএফ ও বিজিবি ঐক্যমতে পৌঁছেছে। সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যেই এই বেড়া তৈরি করা হবে। দুই সীমান্ত রক্ষী বাহিনী সীমান্তে সমস্ত ধরণের অবৈধ পারাপার বন্ধ করতে কড়া ব্যবস্থা নেবার ক্ষেত্রে একমত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। মেজর জেনারেল শাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের এক বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল এই সীমান্ত সমন্বয় বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। ভারতের পক্ষে বিএসএফের ডিজি বিবেক জহরীর নেতৃত্বে ১০ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। ৫ দিনের এই বৈঠকে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সীমান্ত সংক্রান্ত সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা শেষে আলোচনার বিষয়বস্তুকে লিখিতভাবে নিয়ে তাতে দুই পক্ষ স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সীমান্তে হত্যা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে। বিজিবি ভারতকে জানিয়েছে, ভারত থেকে নানা ধরণের মাদক ও অস্ত্রের প্রবেশ ঘটছে বাংলাদেশে। সীমান্তে মৃত্যুর বিষয়ে বিজিবি উদ্বেগের প্রসঙ্গে বিএসএফের ডিজি বলেছেন, বিএসএফ সীমান্তে কঠোরভাবে ‘নন লিথাল অস্ত্র নীতি’ বা প্রাণঘাতী অস্ত্রনীতি কঠোরভাবে কার্যকর করার পক্ষ নিয়ে চলছে। একমাত্র জওয়ানরা দুস্কৃতিদের দ্বারা ঘেরাও হয়ে পড়লে বা আক্রমণের শিকার হলে আত্মরক্ষার্থে গুলি চালানো হয় বলে ডিজি জানিয়েছেন। তবে সেক্ষেত্রে দুষ্কৃতিরা কোন দেশের নাগরিক তা দেখা হয় না। বৈঠকে সীমান্ত দিয়ে গরু থেকে শুরু করে মাদক, সোনা, জাল নোট এবং মানুষ পাচার বন্ধ করার ব্যাপারে দুই পক্ষ একমত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। সন্ত্রাসীদের আনাগোনা নিয়েও সতর্ক থাকার প্রযোজনীয়তার বিষয়ে বিএসএফ এবং বিজিবি একমত হয়েছেন। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে যৌথ সমন্বিত টহলের উপরও জোর দেওয়া হয়েছে। সীমান্তের পরিকাঠামো উন্নয়নের বিষয়েও দুই পক্ষ মত বিনিময় করেছেন বলে জানা গেছে। সীমান্তে ক্রাইম ফ্রি জোনের পরিধি আরও সম্প্রসারিত করার ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে।
আলোচনা হয়েছে আস্থাবর্ধক বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েও। সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেবার ব্যাপারে সিঙ্গেল ফেন্সিং ব্যবস্থা চালু করার ব্যাপারে বিএসএফ ও বিজিবি ঐক্যমতে পৌঁছেছে। সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যেই এই বেড়া তৈরি করা হবে। দুই সীমান্ত রক্ষী বাহিনী সীমান্তে সমস্ত ধরণের অবৈধ পারাপার বন্ধ করতে কড়া ব্যবস্থা নেবার ক্ষেত্রে একমত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। মেজর জেনারেল শাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের এক বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল এই সীমান্ত সমন্বয় বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। ভারতের পক্ষে বিএসএফের ডিজি বিবেক জহরীর নেতৃত্বে ১০ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। ৫ দিনের এই বৈঠকে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সীমান্ত সংক্রান্ত সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা শেষে আলোচনার বিষয়বস্তুকে লিখিতভাবে নিয়ে তাতে দুই পক্ষ স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সীমান্তে হত্যা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে। বিজিবি ভারতকে জানিয়েছে, ভারত থেকে নানা ধরণের মাদক ও অস্ত্রের প্রবেশ ঘটছে বাংলাদেশে। সীমান্তে মৃত্যুর বিষয়ে বিজিবি উদ্বেগের প্রসঙ্গে বিএসএফের ডিজি বলেছেন, বিএসএফ সীমান্তে কঠোরভাবে ‘নন লিথাল অস্ত্র নীতি’ বা প্রাণঘাতী অস্ত্রনীতি কঠোরভাবে কার্যকর করার পক্ষ নিয়ে চলছে। একমাত্র জওয়ানরা দুস্কৃতিদের দ্বারা ঘেরাও হয়ে পড়লে বা আক্রমণের শিকার হলে আত্মরক্ষার্থে গুলি চালানো হয় বলে ডিজি জানিয়েছেন। তবে সেক্ষেত্রে দুষ্কৃতিরা কোন দেশের নাগরিক তা দেখা হয় না। বৈঠকে সীমান্ত দিয়ে গরু থেকে শুরু করে মাদক, সোনা, জাল নোট এবং মানুষ পাচার বন্ধ করার ব্যাপারে দুই পক্ষ একমত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। সন্ত্রাসীদের আনাগোনা নিয়েও সতর্ক থাকার প্রযোজনীয়তার বিষয়ে বিএসএফ এবং বিজিবি একমত হয়েছেন। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে যৌথ সমন্বিত টহলের উপরও জোর দেওয়া হয়েছে। সীমান্তের পরিকাঠামো উন্নয়নের বিষয়েও দুই পক্ষ মত বিনিময় করেছেন বলে জানা গেছে। সীমান্তে ক্রাইম ফ্রি জোনের পরিধি আরও সম্প্রসারিত করার ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে।