এক্সক্লুসিভ
জাপার প্রার্থী বাবলুসহ দু’জনের মনোনয়ন বাতিল
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
১৬ ডিসেম্বর ২০১৯, সোমবার, ৮:৫৪ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলুসহ দু’জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে জেলা আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নিার্বচনের মনোনয়নপত্র যাচাই বাচাইয়ের শেষ দিনে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। ঋণখেলাপির দায়ে জাতীয় পার্টির সাবেক এই সংসদ সদস্য জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলুর মনোনয়নপত্র বাতিল এবং ত্রুটিপূর্ণ মনোনয়নপত্র দাখিলের কারণে গণফ্রন্ট্রের উত্তম কুমার চৌধুরী চূড়ান্ত মনোনয়ন পাননি বলে জানান চট্টগ্রাম জেলা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান। তিনি জানান, জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু এক ব্যক্তির ব্যাংক ঋণের জিম্মায় ছিলেন। নির্দিষ্ট সময়ে ওই ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হন। নির্বাচন আইনে বলা হয়েছে, যদি কেউ ব্যক্তিগত লোন নিয়ে থাকেন অথবা ব্যক্তিগত লোন নেয়ার ক্ষেত্রে জিম্মায় থাকেন তাহলে তাকে মানোনয়নপত্র জমাদানের ৭ দিন পূর্বে সেই লোন পরিশোধ করতে হবে। এক্ষেত্রে জনৈক ব্যক্তিটি লোন পরিশোধ করেছেন একদিন পূর্বে। যা নির্বাচনী আইনের লঙ্ঘন।
এ কারণে জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলুর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তবে যাচাই-বাচাইয়ের দিন থেকে পরবর্তী ৩দিনের মধ্যে এ বিষয়ে আপিল করার সুযোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম জমা দেন জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু। বাবলুর হলফনামার তথ্য অনুযায়ী তার বার্ষিক আয় ১১ লাখ ৮৮ হাজার ৬১৫ টাকা।
অন্যান্য আয় আছে ৮২ হাজার ৫০০ টাকা। বাবলু নগদ ২৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকার মালিক। তাঁর ব্যাংক আমানত ১০ লাখ টাকা। আশিক গার্মেন্টসের ৩ হাজার শেয়ার বাবদ ৩ লাখ আর গাড়ি বাবদ ৫৭ লাখ টাকার অস্থাবর সমপত্তির উল্লেখ রয়েছে তার হলফনামায়। এছাড়া তার স্থাবর সমপত্তির মধ্যে ১১ কাঠা জমি রয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৬৯ লাখ ৭ হাজার ও ২টি ফ্ল্যাট, যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী বাবলুর কোন ঋণ নেই। এছাড়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় গণফ্রন্ট প্রার্থী উত্তম কুমারের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
হাসানুজ্জামান জানান, এই উপনির্বাচনে ৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। দু‘জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় ৬ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। এরা হলেন- চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) চেয়ারম্যান এস এম আবুল কালাম আজাদ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ আহমদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ এমদাদুল হক, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবু সুফিয়ান ও ন্যাপের বাপন দাশগুপ্ত। চট্টগ্রাম-৮ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন জাসদের কার্যকরী সভাপতি মইনউদ্দীন খান বাদল। গত ৭ই নভেম্বর ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।
এ কারণে জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলুর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তবে যাচাই-বাচাইয়ের দিন থেকে পরবর্তী ৩দিনের মধ্যে এ বিষয়ে আপিল করার সুযোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম জমা দেন জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু। বাবলুর হলফনামার তথ্য অনুযায়ী তার বার্ষিক আয় ১১ লাখ ৮৮ হাজার ৬১৫ টাকা।
অন্যান্য আয় আছে ৮২ হাজার ৫০০ টাকা। বাবলু নগদ ২৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকার মালিক। তাঁর ব্যাংক আমানত ১০ লাখ টাকা। আশিক গার্মেন্টসের ৩ হাজার শেয়ার বাবদ ৩ লাখ আর গাড়ি বাবদ ৫৭ লাখ টাকার অস্থাবর সমপত্তির উল্লেখ রয়েছে তার হলফনামায়। এছাড়া তার স্থাবর সমপত্তির মধ্যে ১১ কাঠা জমি রয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৬৯ লাখ ৭ হাজার ও ২টি ফ্ল্যাট, যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী বাবলুর কোন ঋণ নেই। এছাড়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় গণফ্রন্ট প্রার্থী উত্তম কুমারের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
হাসানুজ্জামান জানান, এই উপনির্বাচনে ৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। দু‘জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় ৬ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। এরা হলেন- চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) চেয়ারম্যান এস এম আবুল কালাম আজাদ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ আহমদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ এমদাদুল হক, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবু সুফিয়ান ও ন্যাপের বাপন দাশগুপ্ত। চট্টগ্রাম-৮ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন জাসদের কার্যকরী সভাপতি মইনউদ্দীন খান বাদল। গত ৭ই নভেম্বর ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।