অনলাইন

রুম্পাকে ধর্ষণের আলামত মেলেনি

স্টাফ রিপোর্টার

১৪ ডিসেম্বর ২০১৯, শনিবার, ১:৩৭ পূর্বাহ্ন

রুম্পার শরীরে ধর্ষণের কোন আলামত মেলেনি। আগামীকাল পুলিশের কাছে প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। আজ শনিবার বেলা ১২টার দিকে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন সম্পর্কে এসব কথা বলেন, ফরেনসিক মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ।

ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। উপর থেকে পড়ে রুম্পার মৃত্যু হয়েছে। ধর্ষণ হয়েছে কিনা সে বিষয়ে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে দেয়া হয়েছিলো।

তিনি বলেন, প্রাথমিক রিপোর্ট আমাদের হাতে এসেছে। সেখানে ধর্ষণের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। বাকি দু’টো পরীক্ষার রিপোর্ট এটা এখনো আসেনি। রিপোর্ট আসলে পুর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিয়ে দেবো।

উল্লেখ্য, গত ৪ঠা ডিসেম্বর রাত পৌনে ১১টার দিকে সিদ্ধেশ্বরীর সার্কুলার রোডের ৬৪/৪ নম্বর বাসার নিচে অজ্ঞাত মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা হত্যার আলামত সংগ্রহ করেন। সুরতহালে পুলিশ গুরুতর কিছু ইনজুরি পায়। সংগৃহীত আলামত ফরেনসিকে পাঠায়।

ওই ঘটনার পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা করে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে।

ময়নাতদন্ত শেষে ঢামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ড. সোহেল মাহমুদ জানান, নিহত তরুণীর হাত, পা, কোমরসহ শরীরের কয়েক জায়গায় ভাঙা ছিল। মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে স্পষ্ট হবে। আর ভবন থেকে পড়ে মারা যাবার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি না? তা জানতে আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর সে বিষয়েও নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এরপর ৫ই ডিসেম্বর রাতে রমনার ওসি নিহতের পরিচয় নিশ্চিতের তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘নিহতের নাম রুবাইয়াত শারমিন রুম্পা। তার বাবার নাম রোকন উদ্দিন। তিনি হবিগঞ্জ এলাকায় পুলিশ ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত। রুম্পার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায় হলেও রাজধানীর মালিবাগের শান্তিবাগ এলাকায় থাকতেন’।

এদিকে রুম্পার ‘অস্বাভাবিক মৃত্যু’কে হত্যাকণ্ড আখ্যা দিয়ে এর বিচার চেয়ে কয়েক দফা বিক্ষোভ করেছেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।

এরই মধ্যে রুম্পার কথিত প্রেমিক আবদুর রহমান সৈকতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরপর তাকে রিমান্ডেও নেয়া হয়।

প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, রুম্পা-সৈকতের সম্পর্কের ইতি টানতে চেয়েছিলেন সৈকত। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে বিরোধ তৈরি হলে সৈকত তার সহযোগীদের নিয়ে রুম্পাকে সিদ্ধেশ্বরীর সেই বাসার ছাদে নিয়ে যান। এক পর্যায়ে তাকে ওই ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status