প্রথম পাতা
ডাউকি সীমান্তে যাতায়াত বন্ধ
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
১৪ ডিসেম্বর ২০১৯, শনিবার, ৮:৫৭ পূর্বাহ্ন
আসামের পর উত্তাল ভারতের খাসিয়া রাজ্য মেঘালয়ও। সিলেটের পার্শ্ববতী ভারতের এ দু’টি রাজ্যজুড়ে চলছে কারফিউ। বিক্ষোভ, আগুন, গোলাগুলির কারণে অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে সীমান্তের ওপারে। এ নিয়ে সিলেটের সীমান্ত এলাকায়ও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। এই অবস্থায় গতকাল থেকে মেঘালয় রাজ্যে প্রবেশপথ ডাউকি শুল্ক স্টেশন দিয়ে পর্যটক যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। সকালে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন থেকে যাওয়া শতাধিক পর্যটককে তারা ফিরিয়ে দেয়। দুপুরে ডাউকি ইমিগ্রেশনের এক কর্মকর্তারা বাংলাদেশের তামাবিল ইমিগ্রেশনে এসে মেঘালয়ের পরিস্থিতি অবগত করে আপাতত পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান। এরপর থেকে নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে তামাবিল ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারাও পর্যটকদের ভারত যাওয়ার অনুমতি বন্ধ রেখেছেন। সিলেটের সঙ্গে ভারতের আসাম ও মেঘালয় রাজ্যের সীমান্ত। ভারতের নাগরিত্বে বিলকে কেন্দ্র করে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তিনটি রাজ্যে তীব্র অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর মধ্যে গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে কারফিউ চলছে আসামের রাজধানী গোয়াহাটিতে। বৃহস্পতিবার কারফিউ ভঙ্গ করে এনআরসি বিরোধী জনতা বিক্ষোভ করলে গুলি বর্ষণ হয়। এতে ৩ বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এরপর থেকে গোয়াহাটি ও ডিব্রুগড় এলাকায় সেনা মোতায়েন করা হয়। আসামের এই বিক্ষোভের ঢেউ বৃহস্পতিবার বিকেলে এসে লাগে ভারতের খাসিয়া রাজ্য মেঘালয়েও। শিলং টাইমস সূত্রে জানা গেছে- রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে উত্তেজনা বাড়ে। শিলংয়ের পুলিশ বাজারে কয়েকটি প্রাইভেট কারে আগুন দেয়া হয়। এ সময় পুলিশ বাজার এলাকায় বিক্ষোভও হয়। এই ঘটনায় পুলিশ বাজারের দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয়। পর্যটন এলাকা শিলংয়ের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যহত হলে শিলং শহর সহ কমপক্ষে ১০টি এলাকায় কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েন করা হয়। রাতেও শিলংয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে। পুলিশ গুলি ছুড়লেও হতাহতের খবর মিলেনি। এ ঘটনার পর থেকে শিলংয়ে ইন্টারনেট, মোবাইল সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। রাতের ঘটনার পর কারফিউ বহাল থাকায় গতকাল কার্যত অচল ছিলো মেঘালয় রাজ্য। গোটা রাজ্যে যানবাহন চলাচলও বন্ধ ছিলো। এদিকে- প্রতিদিনের মতো গতকাল সকাল থেকে সিলেটের তামাবিল স্থল বন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে ভারতে যাওয়া পর্যটকদের ছাড় দেয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে ভারতের মেঘালয়গামী পর্যটকরা গিয়ে আটকা পড়েন ডাউকি ইমিগ্রেশনে।
ওই ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তারা পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি দেননি। নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে দুপুরের মধ্যে তাদের বাংলাদেশের ইমিগ্রেশনে ফিরিয়ে দেয়া হয়। শতাধিক পর্যটক ভারত যেতে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে দুর্ভোগে পড়েন বলে জানান কয়েকজন পর্যটক। তারা বলেন- অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে শিলং বেড়ানোর জন্য যান। কিন্তু ডাউকিতেও কারফিউ জারি থাকার কারণে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তাদের প্রবেশে অনুমতি দেননি। এ কারণে তারা ফিরে আসতে বাধ্য হন। পরিবার-পরিজন নিয়ে আসা সাদ উদ্দিন নামের এক পর্যটক জানান- বাংলাদেশের কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনে কাজ সেরে তারা ডাউকি ইমিগ্রেশনে যান। সেখানে যাওয়ার পর তারা দেখেন রাস্তা ফাকা। কোনো যানবাহন নেই। এরপর ইমিগ্রেশনে গেলে তাদের দীর্ঘক্ষন বসিয়ে রাখা হয়। দুপুরে দিকে জানিয়ে দেয়া হয়- কারফিউ থাকার কারনে পর্যটকদের প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এই ঘোষণার পর তারা ফিরে আসেন বলে জানান তিনি। বাংলাদেশের তামাবিল স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা সৈয়দ মওদুদ আহমদ রুমি মানবজমিনকে জানিয়েছেন- ভারত পর্যটকদের ফিরিয়ে দেয়ার পর যথা নিয়মে আমারও তাদের ফিরিয়ে দিয়েছি। এরপর থেকে নিরাপত্তার কারনে আমরা পর্যটকদের মেঘালয়ে ঢুকতে দিচ্ছি না। গতকাল দুপুরে ডাউকি ইমিগ্রেশনের এক কর্মকর্তা তামাবিল ইমিগ্রেশনে আসেন। তিনি এসে মেঘালয়ের পরিস্থিতি জানিয়ে আপাতত পর্যটকদের প্রবেশ না দিতে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ জানান। এরপর থেকে তামাবিল থেকে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। ভারতের ডাউকি কাস্টমস অফিসের কাস্টমস কর্মকর্তা ডেকলিন রেনজাও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন- ‘কারফিউর কারণে শিলংয়ে হোটেল-দোকানপাট সব বন্ধ আছে।
পর্যটকদের দুর্ভোগ আর নিরাপত্তার কথা ভেবেই তাদের যেতে দিচ্ছি না। পরিস্থিতি শান্ত হলে আবার বাংলাদেশি পর্যটকরা যেতে পারবেন।’ সিলেট জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আনিসুর রহমান মানবজমিনকে জানিয়েছেন- ‘উত্তেজনার কারণে ভারতের অনুরোধে আমরাও তামাবিল দিয়ে পর্যটক ছাড়ছি না। তবে- সিলেটের জকিগঞ্জ ও শ্যাওলা দিয়ে পর্যটকরা যাতায়াত করছেন।’ এদিকে- কারফিউ জারির আগ পর্যন্ত সিলেটের অনেক পর্যটক শিলং ও গোয়াহাটিতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। কারফিউ জারির পর থেকে তারা ওখানেই আটকা পড়েছেন। ইন্টারনেট, মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার কারতে তারা সিলেটে সংযোগ স্থাপন করতে পারছেন না। এ কারণে তাদের নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন দেশের স্বজনরা। ডাউকি ও তামাবিলের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন- গতকাল পর্যন্ত পণ্য আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক ছিলো। কারফিউ থাকার কারণে আজ থেকে বন্ধ হয়ে যেতে পন্য আমদানি-রপ্তানিও।
এরপর থেকে গোয়াহাটি ও ডিব্রুগড় এলাকায় সেনা মোতায়েন করা হয়। আসামের এই বিক্ষোভের ঢেউ বৃহস্পতিবার বিকেলে এসে লাগে ভারতের খাসিয়া রাজ্য মেঘালয়েও। শিলং টাইমস সূত্রে জানা গেছে- রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে উত্তেজনা বাড়ে। শিলংয়ের পুলিশ বাজারে কয়েকটি প্রাইভেট কারে আগুন দেয়া হয়। এ সময় পুলিশ বাজার এলাকায় বিক্ষোভও হয়। এই ঘটনায় পুলিশ বাজারের দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয়। পর্যটন এলাকা শিলংয়ের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যহত হলে শিলং শহর সহ কমপক্ষে ১০টি এলাকায় কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েন করা হয়। রাতেও শিলংয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে। পুলিশ গুলি ছুড়লেও হতাহতের খবর মিলেনি। এ ঘটনার পর থেকে শিলংয়ে ইন্টারনেট, মোবাইল সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। রাতের ঘটনার পর কারফিউ বহাল থাকায় গতকাল কার্যত অচল ছিলো মেঘালয় রাজ্য। গোটা রাজ্যে যানবাহন চলাচলও বন্ধ ছিলো। এদিকে- প্রতিদিনের মতো গতকাল সকাল থেকে সিলেটের তামাবিল স্থল বন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে ভারতে যাওয়া পর্যটকদের ছাড় দেয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে ভারতের মেঘালয়গামী পর্যটকরা গিয়ে আটকা পড়েন ডাউকি ইমিগ্রেশনে।
ওই ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তারা পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি দেননি। নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে দুপুরের মধ্যে তাদের বাংলাদেশের ইমিগ্রেশনে ফিরিয়ে দেয়া হয়। শতাধিক পর্যটক ভারত যেতে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে দুর্ভোগে পড়েন বলে জানান কয়েকজন পর্যটক। তারা বলেন- অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে শিলং বেড়ানোর জন্য যান। কিন্তু ডাউকিতেও কারফিউ জারি থাকার কারণে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তাদের প্রবেশে অনুমতি দেননি। এ কারণে তারা ফিরে আসতে বাধ্য হন। পরিবার-পরিজন নিয়ে আসা সাদ উদ্দিন নামের এক পর্যটক জানান- বাংলাদেশের কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনে কাজ সেরে তারা ডাউকি ইমিগ্রেশনে যান। সেখানে যাওয়ার পর তারা দেখেন রাস্তা ফাকা। কোনো যানবাহন নেই। এরপর ইমিগ্রেশনে গেলে তাদের দীর্ঘক্ষন বসিয়ে রাখা হয়। দুপুরে দিকে জানিয়ে দেয়া হয়- কারফিউ থাকার কারনে পর্যটকদের প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এই ঘোষণার পর তারা ফিরে আসেন বলে জানান তিনি। বাংলাদেশের তামাবিল স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা সৈয়দ মওদুদ আহমদ রুমি মানবজমিনকে জানিয়েছেন- ভারত পর্যটকদের ফিরিয়ে দেয়ার পর যথা নিয়মে আমারও তাদের ফিরিয়ে দিয়েছি। এরপর থেকে নিরাপত্তার কারনে আমরা পর্যটকদের মেঘালয়ে ঢুকতে দিচ্ছি না। গতকাল দুপুরে ডাউকি ইমিগ্রেশনের এক কর্মকর্তা তামাবিল ইমিগ্রেশনে আসেন। তিনি এসে মেঘালয়ের পরিস্থিতি জানিয়ে আপাতত পর্যটকদের প্রবেশ না দিতে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ জানান। এরপর থেকে তামাবিল থেকে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। ভারতের ডাউকি কাস্টমস অফিসের কাস্টমস কর্মকর্তা ডেকলিন রেনজাও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন- ‘কারফিউর কারণে শিলংয়ে হোটেল-দোকানপাট সব বন্ধ আছে।
পর্যটকদের দুর্ভোগ আর নিরাপত্তার কথা ভেবেই তাদের যেতে দিচ্ছি না। পরিস্থিতি শান্ত হলে আবার বাংলাদেশি পর্যটকরা যেতে পারবেন।’ সিলেট জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আনিসুর রহমান মানবজমিনকে জানিয়েছেন- ‘উত্তেজনার কারণে ভারতের অনুরোধে আমরাও তামাবিল দিয়ে পর্যটক ছাড়ছি না। তবে- সিলেটের জকিগঞ্জ ও শ্যাওলা দিয়ে পর্যটকরা যাতায়াত করছেন।’ এদিকে- কারফিউ জারির আগ পর্যন্ত সিলেটের অনেক পর্যটক শিলং ও গোয়াহাটিতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। কারফিউ জারির পর থেকে তারা ওখানেই আটকা পড়েছেন। ইন্টারনেট, মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার কারতে তারা সিলেটে সংযোগ স্থাপন করতে পারছেন না। এ কারণে তাদের নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন দেশের স্বজনরা। ডাউকি ও তামাবিলের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন- গতকাল পর্যন্ত পণ্য আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক ছিলো। কারফিউ থাকার কারণে আজ থেকে বন্ধ হয়ে যেতে পন্য আমদানি-রপ্তানিও।