শেষের পাতা
সোমবার লোকসভায় পেশ হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল
কলকাতা প্রতিনিধি
৭ ডিসেম্বর ২০১৯, শনিবার, ৯:১৮ পূর্বাহ্ন
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে লোকসভায় প্রবল বিতণ্ডা তৈরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বেশির ভাগ বিরোধীদল এই বিলের প্রতিবাদে মুখর হয়েছে। ধর্মীয় ভিত্তিতে আনা এই বিলকে সংবিধান বিরোধী আখ্যাও দিয়েছেন তারা।
গত বুধবারই ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বিলটিতে অনুমোদন দিয়েছে। বৃহস্পতিবার লোকসভার বিষয় উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়েছে, বিলটি আগামী সোমবার লোকসভায় পেশ করবে সরকার।
বিষয় উপদেষ্টা কমিটির সদস্য তৃণমূল সংসদ সদস্য সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আলোচনা শুরু হবে মঙ্গলবার থেকে। আলোচনার জন্য সময় ধার্য করা হয়েছে ৪ ঘণ্টা। বিজেপি শিবিরের মতে, উভয়কক্ষেই বিল পাস করাতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে এই বিল সংবিধান সম্মত কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য করা হচ্ছে, এই যুক্তি দেখিয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে গেছেন অসমের বিশিষ্টজনরা। তাদের অভিযোগ, বিলটি অসাংবিধানিক।
একটি জনস্বার্থ মামলায় নাগরিকত্ব আইন সংশোধন বিরোধী মঞ্চের পক্ষ থেকে হীরেন গোঁহাইনরা শীর্ষ আদালতে দাবি করেছেন, বিলটি সংবিধানের পরিপন্থি। কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেছেন, ‘স্বাধীনতার সময়ে গান্ধী, নেহরু, মৌলানা আজাদ বা অম্বেদকরেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, ধর্ম কখনোই নাগরিকত্ব পাওয়ার মাপকাঠি হতে পারে না। নাগরিকত্বে বিলে ঠিক উল্টোটা হচ্ছে। সেই কারণে আমার মতে বিলটি মৌলিকভাবেই অসাংবিধানিক।’
বিরোধী নেতাদের বক্তব্য, নাগরিক বিলে কোথাও সরাসরি বলা না হলেও পরোক্ষভাবে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে, প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা শরণার্থীরা যদি মুসলিম হন, তা হলে এ দেশের নাগরিকত্ব পাবেন না। মিয়ানমারের নিপীড়িত রোহিঙ্গা, কিংবা বাংলাদেশের শিয়া অথবা পাকিস্তান থেকে আসা আহমদিয়াদের এ দেশে আশ্রয় দেয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। যদিও সরকারের যুক্তি, প্রতিবেশী মুসলিম রাষ্ট্রগুলোয় নির্যাতনের শিকার হচ্ছে সংখ্যালঘু সমাজ। তারা প্রাণ বাঁচাতে ভারতে শরণার্থী হিসাবে আশ্রয় নিয়েছেন। তাই তাদের নাগরিকত্ব দেয়া হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একাধিকবার বলেছেন, ‘প্রতিবেশী দেশে সংখ্যালঘু সমাজ তো আর ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হচ্ছে না। হচ্ছে সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু, শিখ, পার্সি, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টানরা। তাদের আশ্রয় দেবে কে?’ রোহিঙ্গাদের কেন ভারত আশ্রয় দেবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতারা।
গত বুধবারই ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বিলটিতে অনুমোদন দিয়েছে। বৃহস্পতিবার লোকসভার বিষয় উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়েছে, বিলটি আগামী সোমবার লোকসভায় পেশ করবে সরকার।
বিষয় উপদেষ্টা কমিটির সদস্য তৃণমূল সংসদ সদস্য সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আলোচনা শুরু হবে মঙ্গলবার থেকে। আলোচনার জন্য সময় ধার্য করা হয়েছে ৪ ঘণ্টা। বিজেপি শিবিরের মতে, উভয়কক্ষেই বিল পাস করাতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে এই বিল সংবিধান সম্মত কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য করা হচ্ছে, এই যুক্তি দেখিয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে গেছেন অসমের বিশিষ্টজনরা। তাদের অভিযোগ, বিলটি অসাংবিধানিক।
একটি জনস্বার্থ মামলায় নাগরিকত্ব আইন সংশোধন বিরোধী মঞ্চের পক্ষ থেকে হীরেন গোঁহাইনরা শীর্ষ আদালতে দাবি করেছেন, বিলটি সংবিধানের পরিপন্থি। কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেছেন, ‘স্বাধীনতার সময়ে গান্ধী, নেহরু, মৌলানা আজাদ বা অম্বেদকরেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, ধর্ম কখনোই নাগরিকত্ব পাওয়ার মাপকাঠি হতে পারে না। নাগরিকত্বে বিলে ঠিক উল্টোটা হচ্ছে। সেই কারণে আমার মতে বিলটি মৌলিকভাবেই অসাংবিধানিক।’
বিরোধী নেতাদের বক্তব্য, নাগরিক বিলে কোথাও সরাসরি বলা না হলেও পরোক্ষভাবে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে, প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা শরণার্থীরা যদি মুসলিম হন, তা হলে এ দেশের নাগরিকত্ব পাবেন না। মিয়ানমারের নিপীড়িত রোহিঙ্গা, কিংবা বাংলাদেশের শিয়া অথবা পাকিস্তান থেকে আসা আহমদিয়াদের এ দেশে আশ্রয় দেয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। যদিও সরকারের যুক্তি, প্রতিবেশী মুসলিম রাষ্ট্রগুলোয় নির্যাতনের শিকার হচ্ছে সংখ্যালঘু সমাজ। তারা প্রাণ বাঁচাতে ভারতে শরণার্থী হিসাবে আশ্রয় নিয়েছেন। তাই তাদের নাগরিকত্ব দেয়া হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একাধিকবার বলেছেন, ‘প্রতিবেশী দেশে সংখ্যালঘু সমাজ তো আর ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হচ্ছে না। হচ্ছে সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু, শিখ, পার্সি, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টানরা। তাদের আশ্রয় দেবে কে?’ রোহিঙ্গাদের কেন ভারত আশ্রয় দেবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতারা।