প্রথম পাতা

ক্র্যাচের বাসস

৫ ডিসেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:৪৭ পূর্বাহ্ন

দৈনিক বাংলা ও বাংলাদেশ টাইমস বন্ধ করে দেয়ার পরে বাসস বন্ধ হওয়া ছিল স্বাভাবিক পরিণতি। কিন্তু তা ঘটেনি। প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া পিটিআই বা এসোসিয়েট প্রেস অব পাকিস্তান এপিপি টিকে আছে। বাসস থাকবে না কেন। কিন্তু পিটিআই ও এপিপির সঙ্গে বাসসের তুলনা করলে কী দাঁড়ায়। অভিজ্ঞরা বলেছেন, সার্বিক বিচারে ওই দুটির তুলনায় প্রায় ১৫ কোটি টাকার দায়দেনা মাথায় থাকা বাসসের অবস্থাই শোচনীয়।

পাঁচ বছর আগে ঢাকার একটি দৈনিক শিরোনাম করেছিল সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা ‘বাসস ডুবতে বসেছে’। কিন্তু না ডুবলেও সংকটে পড়েছে সংস্থাটি। কেন এই সংকট? এর বিশ্লেষণ করেছেন আমাদের স্টাফ রিপোর্টার মোহাম্মদ ওমর ফারুক

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)। অতিমাত্রায় স্বজনপ্রীতি, দলবাজি, প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত নিয়োগ, পছন্দমতো পদোন্নতি, অবসরের পর চাকরিচ্যুত, স্বেচ্ছাচারিতাসহ হরিলুটের অভিযোগ রয়েছে সংস্থাটির বিরুদ্ধে। ক্রাচের কর্নেল নামে একটি নাটক আছে। বাসস হয়েছে ক্রাচের বাসস। ক্রাচ ছাড়া সে আর এক কদমও চলতে পারে না। তার মানে নিজের আয়-উপার্জন বলতে কিছুই নেই। তাই সর্বদা তার দরকার বিশেষ বরাদ্দ।
বর্তমানে তার মাথায় প্রায় ১৫ কোটি টাকার ঋণের বোঝা। তার রোজগার বলতে বাসসের ভবন ভাড়া। গুটিকয়েক গ্রাহক তাকে কতটাকা দেয়, দেশে অসংখ্য গণমাধ্যম থাকলেও বিটিভি, বাংলাদেশ বেতার, তথ্য অধিদপ্তরসহ কিছুসংখ্যক গণমাধ্যম তাদের গ্রাহক।

এদিকে বছরে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েও আর্থিক, প্রশাসনিক ও পেশাগত অনিয়মে ক্রমশ ধসে যাচ্ছে সংস্থাটি। গত অর্থ বছরে তথ্য মন্ত্রণালয় বাসসকে টিকাতে সাড়ে ১৪ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ চায়। কিন্তু এই বিধিবহির্ভূত প্রস্তাবে অর্থ মন্ত্রণালয় নীরব থাকে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, অনিয়ম ও বিধিবহির্ভূত নিয়োগের বিপরীতে বেতন-ভাতা শোধ করতে গিয়ে আর্থিকভাবে দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে সংস্থাটি। বার্ষিক দেড় কোটি টাকার নিজস্ব আয় নিম্নমুখী। পর্যাপ্ত সেবা না দিতে পারায়, গ্রাহক সংখ্যাও কমছে তাদের। সার্ভিস চার্জের বকেয়াও বাড়ছে দিনকে দিন। নিজস্ব আয়ের বড় উৎস রাজধানীর মতিঝিলস্থ ভবনের ভাড়া বার্ষিক ৯০ লাখ টাকা থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৬০ লাখে।

অভিযোগ রয়েছে, নিয়মের বাইরে গিয়ে জনবল কাঠামো বহির্ভূত ও প্রয়োজন অতিরিক্ত লোক নিয়োগ, মর্জিমাফিক ঢালাও পদোন্নতি, গণহারে বৈষম্যমূলক গ্রেড উন্নয়ন, দলবাজি ও প্রশাসনিক স্থবিরতায় বাসসের সংকট গভীরতর হচ্ছে। কেউ বলছেন, ভুতুড়ে কাণ্ড। কারণ কেউ ১৩ বছরে পান ৫টি গ্রেড, কারো ২৫ বছরে জোটে একটি।

সর্বজ্যেষ্ঠদের ডিঙ্গিয়ে কনিষ্ঠরা বাগিয়ে নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো। পরিচালনা বোর্ড সাক্ষী গোপাল। জানা যায়, বর্তমানে বাসস’র অনুমোদিত জনবল ১৬৫। কিন্তু খণ্ডকালীন কর্মী ও ৭২ জন জেলা প্রতিনিধিসহ কর্মরত রয়েছেন প্রায় ২৯৫ জন।
১৬৫ বনাম ২০৭: বাসস’র ১৬৫টি স্থায়ী পদের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত আছেন ২০৭ জন। গত ছয় বছরে ৩১ জন অবসর গ্রহণের পরও স্থায়ী পদে অতিরিক্ত ৪২ জন। সমন্বিত জনবল কাঠামোর অনুমোদন না দিয়ে ১৯৯৮ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি সংস্থার বাংলা সার্ভিস চালু করা হয়। অনিয়মিত নিয়োগ বাতিল ও সংস্থায় আর্থিক ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে তদানীন্তন তথ্য সচিব ড. আকমল হোসেন হাজির হন ৮১তম বোর্ড সভায়। এর আগে তারা পরপর দুটি চিঠিতে বাসসকে সতর্ক করে। চিঠিতে বলা হয়, বাসসে বেআইনি নিয়োগের বিপরীতে বেতন-ভাতা প্রদান সরকারি তহবিল তছরুপের শামিল। এক ধরনের ফৌজদারি অপরাধ। তথ্য সচিব বলেন, বাংলা সার্ভিসে যত লোক নিয়োগ দেয়া হয়েছে তা সবই অনিয়মতান্ত্রিক ও অবৈধ। তিনি দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেন। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ৩৪ জন সাংবাদিক-কর্মচারীর চাকরিচ্যুতি ঘটে। এরপর ৩৯টি নতুন জনবলের সৃজন ঘটে, আরো ৬০ জনের নিয়োগ ঘটে। সমপ্রতি ৩৫ জনের নতুন জনবলের অনুমোদন ঘটেছে। যথারীতি ধরাধরি ও তদবির শুরু হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ‘নিজেদের লোক’রা এগিয়ে।

সাবেক এমডির ক্ষোভ: পাওনা টাকা না পাওয়া নিয়ে সাবেক এমডি আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমরা ত্রিশজনের মতো রয়েছি, যাদেরকে গায়ের জোরে পাওনা টাকা দিচ্ছে না। এটা খুব দুঃখজনক। অথচ আমাদের ফান্ডের টাকা খরচ করে ফেলেছে প্রতিষ্ঠানটি। যদিও এই ফান্ডের টাকা খরচ করার কোনো নিয়ম নেই।’
বাসসের আরেক কর্মী সাবেক বার্তাসম্পাদক আবুল কালাম মানিক বলেন, ‘আমরা কয়েক বছর ধরে বার বার বলে আসলেও আমাকে পাওনা টাকা এখনো পরিশোধ করছে না। নানান অজুহাত দিয়ে এসব টাকা তারা আটকিয়ে রেখেছে।’
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে বাসস’র কোনো পরিচালনা বোর্ড নেই। পূর্ববর্তী বোর্ডের মেয়াদও শেষ। যদিও ওই বোর্ডেও ছিল নানান সমস্যা। তৎকালীন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী এবং প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রেস সচিব ও বাসসের এমডি আবুল কালাম আজাদের মধ্যে বিরোধের জের ধরে নিষ্ক্রিয় ছিল বোর্ড।
নতুন পরিচালনা বোর্ড গঠনে আগ্রহ নেই মন্ত্রণালয়ের। এদিকে সংস্থার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মারা গেলে তখন থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই প্রশাসনিক পদটি শূন্য। বোর্ডের অনুমতি ছাড়াই অতি সমপ্রতি সংস্থার প্রধান বার্তা সম্পাদক আনিসুর রহমানকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে ব্যবস্থাপনা সম্পাদক পদে। অভিযোগ রয়েছে, তার প্রধান বার্তা সম্পাদক পদটিও বোর্ড অনুমোদিত নয়। বর্তমানে তিনি একসঙ্গে ব্যবস্থাপনা সম্পাদক-প্রধান বার্তা সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

২০১০ সালে বোর্ডের অনুমোদন না থাকার অভিযোগে ২ জনকে, জনবল কাঠামো বহির্ভূত পদের জন্য ১ জনকে এবং অতিরিক্ত বয়সের কারণে ১ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। অথচ বিগত ১০ বছরে নিয়োগপ্রাপ্ত সাংবাদিক কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এই তিনটি অপরিহার্য শর্ত পূরণ না করার অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োগকালে ইচ্ছেমতো পদ ও গ্রেড নির্ধারণ করা হয়। বাসস চাকরিবিধি অনুসারে বার্ষিক জ্যেষ্ঠতা তালিকা প্রণয়ন ও প্রকাশ বাধ্যতামূলক। কিন্তু সংস্থায় এ ধরনের কোনো চর্চা নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দলীয় বিবেচনায় হচ্ছে পদোন্নতি ও দায়িত্ব বণ্টন। সংস্থার সর্বজ্যেষ্ঠ অনেক সংবাদকর্মী কাজ করছেন কনিষ্ঠদের তত্ত্বাবধানে। হতাশ হয়ে সবাই অবসরের প্রহর গুনছেন। অন্যদিকে কনিষ্ঠরা গুরুত্বপূর্ণ পদ, উচ্চতর গ্রেড বাগিয়ে নিতে তদবির আর দলবাজিতে ব্যস্ত।
৯৬-২০০১ আওয়ামী লীগ সরকার আমলের তথ্য মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠির সুযোগ নিয়েই ২০০২ সালে চাকরিচ্যুতির ঘটনা ঘটে। সরকারের হস্তক্ষেপেই বাসস ২০০৯ সালে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে ২০ জন চাকরিচ্যুত সাংবাদিক-কর্মচারী সংস্থায় পুনরায় ফিরে আসে। এতে সরকারের ৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা খরচ হয়। অভিযোগ রয়েছে, এরপরের সময়গুলোতে এ ধরনের অবৈধ নিয়োগ চলে আসছে।

সংসদীয় কমিটি: ২০০৯ সালে সংসদীয় তদন্ত কমিটির এক রিপোর্টে বলা হয়, বাসস’র বেশিরভাগ সাংবাদিক অদক্ষ। অনেকেই কাজ না করেই বেতন নেন। এই অবস্থায় বর্তমানে কর্মরত আছেন ৩১ জন বিশেষ গ্রেডপ্রাপ্ত সাংবাদিক। এদের বেশিরভগই কর্মজীবনের অর্ধেক পথ অতিক্রম করার আগেই বেতন গ্রেডের সর্বোচ্চ শিখরে আরোহণ করেছেন। সংস্থার প্রচলিত নিয়মে ২৫ বছরের অব্যাহত চাকরির আগে বিশেষ গ্রেড অর্জন অসম্ভব। অথচ এদের অনেকেই ১২-১৫ বছরের চাকরি শেষে বিশেষ গ্রেড পেয়েছেন। তিনজন বিশেষ গ্রেড সাংবাদিক আছেন যারা ১৯৯৭-১৯৯৮ সময়ে নিম্নগ্রেডভুক্ত অসাংবাদিক পদে যোগদান করে ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে দলীয় আনুগত্যের কারণে তাদের এ উন্নতি।

কেস স্টাডি-১: সচিবের পদমর্যাদাপ্রাপ্ত বর্তমান এমডির আমলে নিয়োগ হয়েছে ২১ জনের। এর মধ্যে ‘দুই ভাগ্নে’ আলোচিত।
ওই বাস্তবতায় সাবেক এমডি হোসাইনুজ্জামান চৌধুরীর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল হয়ে গেছে। অবসরপ্রাপ্ত প্রায় ৩০ জন সংবাদকর্মী পাওনা না পেয়ে বেজার, কেউ কেউ মারা গেছেন। নিরীক্ষা বন্ধের এক যুগপূর্তি উদযাপন করছে বাসস। উল্লিখিত হ-য-ব-র-ল অবস্থার মধ্যে বাসস নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নে রেকর্ড স্থাপন করেছে। এতে মাসিক বেতন ঘাটতি দাঁড়াবে প্রায় ৩২ লাখ টাকায়। বোর্ড অথবা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই ব্যাংক থেকে উচ্চ সুদে ২ কোটি টাকার ওডি নিয়ে বাস্তবায়ন করা হয় নতুন বেতন কাঠামো।
কেস স্টাডি-২: ২০১০ সালে ‘অতিরিক্ত বয়সের’ কারণে সাব-এডিটর আবুল বাসেদ মিয়াকে বরখাস্ত করার অভিযোগ ওঠে প্রতিষ্ঠানটির বিরু দ্ধে। এখানেই থেমে থাকেনি সংস্থাটির অনিয়ম। জানা যায়, গণহারে বেতন বৃদ্ধির এক লঙ্কাকাণ্ড ঘটে সংস্থার ১৩১তম বোর্ড সভায়। প্রায় ৬৯জন সাংবাদিককে নজিরবিহীন আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হয়। বোর্ড সভা এদের প্রত্যেককে দুটো করে গ্রেড প্রদান করে। তদানীন্তন এমডি’র মনগড়া বক্তব্য আমলে নিয়ে এবং ৮ বছর আগে ১০৯তম বোর্ড সভার একটি সিদ্ধান্তকে অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করে এই গণ বেতন বৃদ্ধির ঘটনা সংঘটিত হয়। সংস্থায় প্রচলিত নীতিমালা লংঘন করে এবং বোর্ড কর্তৃক গঠিত প্রশাসনিক সাব-কমিটির সুপারিশ ছাড়াই গ্রেড উন্নয়ন প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। এতে সংস্থাটি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অথচ বাসসের বিভিন্ন নথি ঘেঁটে জানা যায়, সাংবাদিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা চালু রাখতে মাঝেমধ্যেই ভবিষ্য তহবিল (প্রভিডেন্ট ফান্ড) থেকে টাকা তোলা হচ্ছে। আবার এই তহবিলে নিয়মিত টাকা জমা রাখাও সম্ভব হচ্ছে না।

উপসংহার: অদ্ভুত উটের পিঠে চলছে বাসস। বোর্ড না থাকায় এমডির নির্দেশনায় চলছে সংস্থাটি। বাসসের কর্মীরা বলছেন, এটা সম্পূর্ণ অবৈধ। আওয়ামী লীগ সভাপতিম-লীর সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন বাসস পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন ৩ বছর মেয়াদে (২০০৯-২০১৩)। এ সময় তিনি তার চেম্বারের দুই কর্মচারীকে ঢুকিয়ে দেন এই সংস্থায়। শুধু তাই নয়, দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি করেছেন নানান অনিয়ম। অভিযোগ রয়েছে ,ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রকল্প ফান্ড থেকে দেড় কোটি টাকা নিয়ে বাসস কর্মচারীদের বেতন দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, তিন বছর মেয়াদি ৩৫ কোটি টাকা প্রকল্পের প্রথম পর্বে ২ কোটি টাকা ব্যয়ে অবকাঠামো নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ঠিকাদারের চূড়ান্ত বিল পুরোপুরি পরিশোধ করার পথে। অথচ এরইমধ্যে নির্মিত ভবনের আস্তরনে ধস শুরু হয়েছে। দেয়ালের রঙ উঠে যাচ্ছে। বৈদ্যুতিক লাইন ঠিকমতো কাজ করছে না। নিম্নমানের কাঁচামাল ও বৈদ্যুতিক সামগ্রী ব্যবহারের কারণে চূড়ান্ত বিল পরিশোধের আগেই চেহারা পাল্টে যাচ্ছে অবকাঠামোর। এতে সংস্থায় গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করেন প্রকল্প তহবিল ব্যবহারে সচ্ছতার দারুণ অভাব রয়েছে। রাষ্ট্রীয় এই সংবাদ সংস্থার এসব অনিয়মের ব্যাপারে দুদকের রয়েছে একাধিক অভিযোগ। এদিকে এসব অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত করার জন্য গত মাসে টিআইবি অনুরোধ করে দুদককে ।

এসব বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব প্রেস (২) নাসরিন পারভীন এই প্রতিবেদকে বলেন, ‘বাসসের পরিচালনা বোর্ডের জন্য আমরা মন্ত্রণালয় থেকে সুপারিশ করেছি। কিন্তু এরপরও পরিচালনা বোর্ড কেন করা হলো না- তা আমার জানা নেই। অবসরপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের পাওনার ব্যাপারে তিনি বলেন, তারা বিষয়টি নিয়ে আবেদন করেছিল। তাদের আবেদন করার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বাসসকে এটা পাঠিয়েছিলাম। এবং আমার তাদের কাছে জবাব চেয়েছিলাম এবং তারা জবাব দিয়েছিল। সেটা আমার ফাইলে উঠাবো তার পর মাননীয় মন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিবেন সেটাই। আর বাসসের নিজস্ব আয় নিম্নমুখী হওয়া এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপারে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। তবে তারা আমাদের অবগত করতে পারে।’
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status