দেশ বিদেশ
অনৈতিক কাজের টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে মিরপুরে জোড়া খুন
স্টাফ রিপোর্টার
৫ ডিসেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
বাসা ভাড়া নিয়ে অনৈতিক ব্যবসা করতেন মিরপুরের বাসিন্দা রহিমা বেগম (৬০)। বাসায় বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের অবাধ যাতায়াত ছিল। তার এই কাজে খদ্দের সংগ্রহ করে দিতেন ইউসুফ (২৩) ও রমজান (২২) নামের দুই যুবক। অনৈতিক ব্যবসা থেকে যা আয় হতো সেখান থেকে একটা ভাগ পেত ওই দুই যুবক। কিন্তু কিছুদিন থেকে টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে রহিমার সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব চলছিলো। এরই জেরে ইউসুফ ও রমজান রহিমা বেগম ও গৃহকর্মী সুমি আক্তার (২০) কে হত্যা করে। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবির) প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই বের হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মিরপুর মডেল থানা পুলিশ মিরপুর-২ নম্বর সেকশনের ভাড়া বাড়ি থেকে গৃহকত্রী রহিমা বেগম ও গৃহকর্মী সুমি আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ডিবির একটি টিম ইউসুফ ও রমজানকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ থেকে ডিবি এসব তথ্য জানতে পেরেছে।
ডিবিসূত্র জানায়, অনেকদিন ধরে ওই বাসায় অনৈতিক ব্যবসা চলতো। ফ্ল্যাট বাসায় এমন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আশেপাশের বাসিন্দারা টের পেতেন না। গোপনীয়তার মধ্যে দিয়ে তারা এই কর্মকাণ্ড চালাতেন। ইউসুফ ও রমজান খদ্দের সংগ্রহ করে আনতো। রহিমা বেগম তাদের চাহিদা মত টাকা দিতেন না। তারা টাকার ভাগ আরো বেশি চাইত। ঘটনার দিনও এ নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ ঝগড়াঝাটি হয়েছে। এক পর্যায়ে প্রথমে গৃহকর্মী সুমিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে রমজান ও ইউসুফ। পরে একই কায়দায় রহিমা বেগমকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় লঞ্চে বরিশালে পালিয়ে যাওয়ার সময় সদরঘাট থেকে রমজান ও ইউসুফকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি-পশ্চিম) পল্লবী জোনের সিনিয়র এসি শাহাদাত হোসেন সুমন জানান, অনৈতিক টাকার ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রেপ্তারকৃতরা। তাদের আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে আজ আদালতে পাঠানো হবে। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকান্ডের অন্য কোনো কারণ আছে কিনা সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এদিকে গতকাল সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহত রহিমা ও সুমির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক কে এম মাইনুদ্দিন বলেন, শ্বাসরোধ করেই দুজনকে হত্যা করা হয়েছে। এরমধ্যে গৃহকর্মী সুমিকে গলা, নাক ও মুখ চেপে শ্বাসরোধ করা হয়েছে। আর বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হলেও তার মাথায়, কাঁধে ও হাতে আঘাতের চিহৃ পাওয়া গেছে।
জোড়া খুনের ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতেই নিহত রহিমা বেগমের মেয়ে রাশিদা বেগম অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সৈয়দ আকতার হোসেন জানান, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড মনে হওয়ায় মামলাটি নেয়া হয়েছিলো। রহিমা বেগম মারা যাওয়ার খবরটি তার পালক পুত্র সোহেলই প্রথম ফোন করে রহিমা বেগমের মেয়ে রাশিদাকে জানায়। মঙ্গলবার রাতেই সোহেলকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কিন্তু সোহেলকে হেফাজতে নিলেও সংশ্লিষ্টতা না থাকায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।
ডিবিসূত্র জানায়, অনেকদিন ধরে ওই বাসায় অনৈতিক ব্যবসা চলতো। ফ্ল্যাট বাসায় এমন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আশেপাশের বাসিন্দারা টের পেতেন না। গোপনীয়তার মধ্যে দিয়ে তারা এই কর্মকাণ্ড চালাতেন। ইউসুফ ও রমজান খদ্দের সংগ্রহ করে আনতো। রহিমা বেগম তাদের চাহিদা মত টাকা দিতেন না। তারা টাকার ভাগ আরো বেশি চাইত। ঘটনার দিনও এ নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ ঝগড়াঝাটি হয়েছে। এক পর্যায়ে প্রথমে গৃহকর্মী সুমিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে রমজান ও ইউসুফ। পরে একই কায়দায় রহিমা বেগমকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় লঞ্চে বরিশালে পালিয়ে যাওয়ার সময় সদরঘাট থেকে রমজান ও ইউসুফকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি-পশ্চিম) পল্লবী জোনের সিনিয়র এসি শাহাদাত হোসেন সুমন জানান, অনৈতিক টাকার ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রেপ্তারকৃতরা। তাদের আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে আজ আদালতে পাঠানো হবে। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকান্ডের অন্য কোনো কারণ আছে কিনা সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এদিকে গতকাল সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহত রহিমা ও সুমির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক কে এম মাইনুদ্দিন বলেন, শ্বাসরোধ করেই দুজনকে হত্যা করা হয়েছে। এরমধ্যে গৃহকর্মী সুমিকে গলা, নাক ও মুখ চেপে শ্বাসরোধ করা হয়েছে। আর বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হলেও তার মাথায়, কাঁধে ও হাতে আঘাতের চিহৃ পাওয়া গেছে।
জোড়া খুনের ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতেই নিহত রহিমা বেগমের মেয়ে রাশিদা বেগম অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সৈয়দ আকতার হোসেন জানান, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড মনে হওয়ায় মামলাটি নেয়া হয়েছিলো। রহিমা বেগম মারা যাওয়ার খবরটি তার পালক পুত্র সোহেলই প্রথম ফোন করে রহিমা বেগমের মেয়ে রাশিদাকে জানায়। মঙ্গলবার রাতেই সোহেলকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কিন্তু সোহেলকে হেফাজতে নিলেও সংশ্লিষ্টতা না থাকায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।