শিক্ষাঙ্গন
শুভ জন্মদিন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইমরান শুভ্র, ইবি প্রতিনিধি
২২ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, ১২:১৪ অপরাহ্ন
প্রতিষ্ঠার পর কেটেছে ৪টি দশক। কালের স্রোতে এখন পূর্ন যৌবনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। আজ শুক্রবার ৪১ বছরে পদাপর্ণ করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হিসেবে খ্যাত এটি। প্রায়ত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরে শুরু হয় এর পথচলা। নানা প্রতিকূলতা আর বাধা পেরিয়ে আজকের ইবি দেশের শিক্ষাঙ্গনে অন্যতম জায়গা করে নিয়েছে। ১৯৭৯ সালের ২২শে নভেম্বর। কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলার সংযোগস্থলে এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হয়। দুই শহর থেকে যথাক্রমে ২৪ ও ২২ কি. মি. দূরে শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে প্রতিষ্ঠা ফলক স্থাপন করেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তবে দুই দফায় স্থান পরিবর্তন করে এই ক্যাম্পাস। ১৯৮৩ সালের ১৮জুলাই এক অধ্যাদেশে শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুর থেকে গাজীপুরের বোর্ড বাজারে স্থানান্তর হয় ক্যাম্পাস। জাতীয় সংসদে ১৯৮০ সালের ২৭শে ডিসেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৮০(৩৭) পাস হলে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যাবলী পরিচালনায় স্বায়ত্বশাসন প্রদান করা হয়। পরে ১৯৮১ সালে ১লা জানুয়ারি প্রথম ভিসি হিসেবে ড. এ এন এম মমতাজ উদ্দিন চৌধুরীকে নিযুক্ত করা হয়। ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে তিনটি বিভাগে আটজন শিক্ষক ও ৩০০ শিক্ষার্থী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৮৯ সালের ৩রা জানুয়ারি তৎকালীন মন্ত্রিসভার সিন্ধান্ত অনুযায়ী ১৪ই ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ১৯৯০ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়টি গাজীপুর থেকে পুণরায় শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে ফিরে আসে। এর পর থেকে গুটিগুটি পায়ে এগুতে থাকে শিক্ষা কার্যক্রম। বর্তমানে ৮টি অনুষদভূক্ত ৩৪ বিভাগ রয়েছে। রয়েছে ৪১২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা, ১৪ হাজার ৪৫৪ ছাত্র-ছাত্রী এবং ৮১৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। পূর্নাঙ্গ আবাসিক ক্যাম্পাস হবার কথা থাকলেও ৪১ বছরে মাত্র ২৭ শতাংশ শিক্ষার্থী আবাসিক সুবিধা পায়। শিক্ষক-কর্মকতাদের আবাসন আছে মাত্র ৫ শতাংশ। বর্তমানে ছাত্রদের ৫টি ও ছাত্রীদের ৩টি আবাসিক হল রয়েছে। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য রয়েছে ১০টি ভবন।
এছাড়া মেডিক্যাল, জিমনেশিয়াম, লাইব্রেরি আছে একটি করে। প্রায় ১৮ হাজারের এই বৃহৎ পরিবারকে পরিবহন নির্ভর হয়েই দিন কাটাতে হয়। নিজস্ব ও ভাড়া করা গাড়িতেই ভরসা তাদের। বিগত ৪০ বছরে মাত্র ৪টি সমাবর্তন পেয়েছে ইবি। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৭ই জানুয়ারি হয় ৪র্থ সমাবর্তন। ১৬ বছর পরে এতে অংশ নেয় প্রায় ১৮ হাজার গ্রাজুয়েট। প্রতিষ্ঠা থেকে বর্তমানে১২ জন ভিসি ইবির হাল ধরেছেন। এদের ১১জনকেই নানা অভিযোগে আন্দোলনের মুখে পদ ছাড়তে হয়েছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে রয়েছে ইবির সরব অবস্থান। কালের স্রোতে ইবির ৪১ তম জন্মদিন আজ। দিবস উদযাপন করতে গত এক সপ্তাহ ধরে নানা প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহল। সাজানো হয়েছে পুরো ক্যাম্পাস। প্রতিবারের মত এবারও শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বর্তমান ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, আমরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানে দেখতে চাই। আশা করছি, বিশ্ববিদ্যালয়টি শ্রেণীকক্ষ, শিক্ষা ও গবেষাণায় আন্তর্জাতিক মাত্রা পাবে। ক্যাম্পাসকে সম্পূর্ণ আবাসিক হিসেবে গড়ে তুলতে ৫৩৮ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প চলমান রয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ৮৫ শতাংশ আবাসন ব্যবস্থা হবে। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।
এছাড়া মেডিক্যাল, জিমনেশিয়াম, লাইব্রেরি আছে একটি করে। প্রায় ১৮ হাজারের এই বৃহৎ পরিবারকে পরিবহন নির্ভর হয়েই দিন কাটাতে হয়। নিজস্ব ও ভাড়া করা গাড়িতেই ভরসা তাদের। বিগত ৪০ বছরে মাত্র ৪টি সমাবর্তন পেয়েছে ইবি। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৭ই জানুয়ারি হয় ৪র্থ সমাবর্তন। ১৬ বছর পরে এতে অংশ নেয় প্রায় ১৮ হাজার গ্রাজুয়েট। প্রতিষ্ঠা থেকে বর্তমানে১২ জন ভিসি ইবির হাল ধরেছেন। এদের ১১জনকেই নানা অভিযোগে আন্দোলনের মুখে পদ ছাড়তে হয়েছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে রয়েছে ইবির সরব অবস্থান। কালের স্রোতে ইবির ৪১ তম জন্মদিন আজ। দিবস উদযাপন করতে গত এক সপ্তাহ ধরে নানা প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহল। সাজানো হয়েছে পুরো ক্যাম্পাস। প্রতিবারের মত এবারও শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বর্তমান ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, আমরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানে দেখতে চাই। আশা করছি, বিশ্ববিদ্যালয়টি শ্রেণীকক্ষ, শিক্ষা ও গবেষাণায় আন্তর্জাতিক মাত্রা পাবে। ক্যাম্পাসকে সম্পূর্ণ আবাসিক হিসেবে গড়ে তুলতে ৫৩৮ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প চলমান রয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ৮৫ শতাংশ আবাসন ব্যবস্থা হবে। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।