বাংলারজমিন

অলি-গলিতে শক্তিশালী ‘মোবাইল বোমা’

মরিয়ম চম্পা

১৬ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার, ৭:৫৪ পূর্বাহ্ন

গ্যাস সিলিন্ডার নয়, যেন একেকটি শক্তিশালী ‘মোবাইল বোমা’। অরক্ষিত, অনিরাপদও। এ গ্যাস বোমা ঘুরে বেড়াচ্ছে রাজধানীসহ দেশের সর্বত্র। সম্প্রতি এ বোমা বিস্ফোরণে রাজধানীতে মৃত্যু হয়েছে সাত শিশুর। গত ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রামের মিরসরাইতে নিহত হয়েছে তিনজন। মে মাসে গাজীপুরে নিহত হয়েছে একই পরিবারের চারজন। শুধু তাই নয়, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চলতি বছরের শুরুতে চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডিতে প্রাণ হারান ৮১ জন। যে ঘটনা কাঁদিয়েছে গোটা দেশকে। এত প্রাণহানির পরও গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নেই কোন নীতিমালা। যত্রতত্র খেলনার মতো ব্যবহার হচ্ছে। গত ৩০শে অক্টোবর রাজধানীর মিরপুরে ভ্যানে করে বেলুন বিক্রি করছিলেন এক হকার। সিলিন্ডারের গ্যাসে বেলুন ফুলিয়ে বিক্রি করতেন। রূপনগর আবাসিক এলাকায় বেলুন বিক্রির সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে সাত শিশু নিহত হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে চট্টগ্রামের মিরসরাই নিজামপুর এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়েছেন। একটি মাইক্রোবাস সামনে থাকা চট্টগ্রামমুখী একটি কাভার্ডভ্যানের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসের সামনের অংশ কাভার্ডভ্যানের পেছনে আটকে যায়। এসময় কাভার্ডভ্যান মাইক্রোবাসটিকে টেনে নিজামপুর পর্যন্ত নিয়ে যায়। চলতি পথেই মাইক্রোবাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে এতে আগুন ধরে যায়। এতে মাইক্রোবাসের চালক ও দুই যাত্রী দগ্ধ হয়ে গাড়ির ভেতরেই মারা যান। মে মাসে গাজীপুর মহানগরীর ইসলামপুর এলাকায় গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশু-নারীসহ একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন। রাত ১০টার দিকে গাজীপুর ইসলামপুর এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।

পোশাক কারখানায় চাকরির সূত্রে পরিবারটি ইসলামপুরের একটি বাসায় ভাড়া থাকত। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিবার নিয়ে ইসলামপুরে টিনশেডের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন শাহ আলম। রাত ১০টার দিকে তাঁদের বাসায় রান্নার কাজ চলছিল। সে সময় প্রচন্ড শব্দে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এতে দুই সন্তানসহ দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান শাহ আলম-মনিরা দম্পতি। চলতি বছরের শুরুতে চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডিতে ৮১ জন মানুষের প্রাণহানির ঘটনা কেবল বাংলাদেশ নয়, কাঁদিয়েছে পুরো বিশ্বকে। একটি গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল। মেয়াদ উত্তীর্ণ ও মানহীন গ্যাস সিলিন্ডার পরিণত হয়েছে এক একটি মোবাইল বোমায়। নির্দিষ্ট সময়ে পূর্ণ পরীক্ষার নিয়ম থাকলেও তা মানছেন না মালিকরা। প্রায় পাঁচ লাখ সিএনজিচালিত যানবাহনের মধ্যে এ পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়েছে মাত্র ৯২ হাজার। যার মধ্যে ৮০ শতাংশ সিলিন্ডারই পুনঃপরীক্ষার বাইরে রয়েছে। দিন যত গড়াচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডারের বয়স বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ২০১৮ সালে ১৭৮, ২০১৭ সালে ৭৯, ২০১৬ সালে ১৩১ এবং ২০১৫ সালে ৮০টি দুর্ঘটনা ঘটে। এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জায়গায় গ্যাস সংক্রান্ত যত দুর্ঘটনা ঘটেছে বেশিরভাগই অসচেতনতার কারণে হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশ থেকে গড়ে প্রতি মাসে ৫০০ জন আগুনে পোড়া রোগী বার্ন ইউনিটে ভর্তি হচ্ছেন। এর মধ্যে ৪২ শতাংশই গ্যাসের আগুনে দগ্ধ। প্রতি মাসে আগুনে পোড়া প্রায় ১০০ রোগী মারা যাচ্ছেন। দগ্ধ বাকিরা সুস্থ হলেও দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। গত পাঁচ বছরে বোতলজাত করণ হয়েছে ১ কোটি ২৩ লাখ সিলিন্ডার। নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এসব সিলিন্ডার অনুমোদন ও ব্যবহার বিধি প্রচার করে বিষ্ফোরক পরিদপ্তর। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের তথ্যমতে, ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে চুলা থেকে সৃষ্ট দুর্ঘটনার সংখ্যা ২৩৮টি, আর গ্যাস লিকেজের জন্য ঘটেছে ৬৫০টি দুর্ঘটনা। এ দিকে সিলিন্ডার গ্যাস বাজারজাত ও মান নিয়ন্ত্রণে নেই সরকারি কোনো সুনির্দিষ্ট সংস্থা। নেই নজরদারি। ফলে বেড়েই চলছে গ্যাস ও সিলিন্ডার বিস্ফোরণজনিত দুর্ঘটনা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এলপিজি, সিএনজিসহ সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। তাই এখনই ব্যবস্থা না নিলে অপেক্ষা করছে ভয়ঙ্কর আগামী।

সরকারের রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রাইভেট কারসহ সিএনজিচালিত যানবাহনের সংখ্যা পাঁচ লাখেরও বেশি। প্রতিষ্ঠানটি সিএনজি কনভারশন সেন্টারগুলোর অনুমোদনও দেয়। তারা এ পর্যন্ত ১৮০টির বেশি কনভারশন সেন্টারের অনুমোদন দিয়েছে, তবে কাজ করে মাত্র ১০ থেকে ১২টি। যানবাহন সিএনজিতে রূপান্তর করার পর প্রতি পাঁচ বছরে একবার সিলিন্ডার পুনঃপরীক্ষা (রিটেস্ট) করার বাধ্যবাধ্যকতা রয়েছে। তা করা হয় কি না, সেটি দেখার দায়িত্ব বিস্ফোরক অধিদফতরের। এদিকে বিস্ফোরক অধিদফতরের সূত্রে জানায়, প্রতিটি গ্যাস সিলিন্ডারের আয়ু ১০ থেকে ১৫ বছর হয়ে থাকে। এ মেয়াদে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। তাই আয়ু শেষ হলে সেগুলো বাতিল করা উচিত। কিন্তু বাংলাদেশে তা করা হচ্ছে না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পাঁচ বছর পর পর সিলিন্ডার রি-টেস্ট করার বিধান থাকলেও অনেক ব্যবহারকারী বিষয়টি এড়িয়ে যান। মাত্র ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকায় গ্যাস সিলিন্ডার পরীক্ষা করা যায়। বিস্ফোরক অধিদফতরে এই পরীক্ষার রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা। সারাদেশে পাঁচ লক্ষাধিক গাড়িতে সংযোজন করা সিএনজি গ্যাস সিলিন্ডারের মধ্যে মাত্র ১৫ শতাংশ গাড়ির সিলিন্ডার পরীক্ষা করা হয়েছে। সারাদেশে ৩২টি রিটেস্ট বা পুনঃপরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে বড় কয়েকটি ছাড়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের যন্ত্রপাতির সক্ষমতা ও পরীক্ষার মানের ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে।

জানা গেছে, সিলিন্ডার পুনঃপরীক্ষার সনদ ছাড়া সিএনজিচালিত গাড়িগুলোতে গ্যাস দেয়া হবে না বলে গত জুলাই মাস থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে এই সিদ্ধান্ত মানা হচ্ছে না। বিস্ফোরক পরিদফতর সারা দেশের ৬০০টি সিএনজি ফিলিং স্টেশনকে সমপ্রতি চিঠি দিয়েছে। ২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত সারা দেশে নিবন্ধিত প্রায় পাঁচ লাখ চার হাজার ৩০০ গাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়। ১৯ বছরে পুনঃপরীক্ষা করা হয়েছে মাত্র বিরানব্বই হাজার সিলিন্ডার। রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের এক কর্মকর্তা বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ এবং নিম্নমানের নকল গ্যাস সিলিন্ডারের কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। যদিও দেশে বছরে এলপিজি গ্যাসের চাহিদা রয়েছে প্রায় দেড় লাখ টন। শিল্পায়ন, আধুনিকায়নের ফলে ক্রমেই বেড়ে চলেছে এ চাহিদা।

মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডারের পাশাপাশি গাড়িতে নিম্নমানের সিলিন্ডার ব্যবহার করা হচ্ছে। ভালো একটি সিলিন্ডারের দাম ৩০ হাজার টাকার বেশি। সেখানে কম দামে ১৫-২০ হাজার টাকায় একটি সিলিন্ডার লাগানো হচ্ছে। লেগুনা ও ছোট গাড়িগুলোতে গাড়ির সিলিন্ডারের বদলে অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে যাত্রীদের জীবন।

রান্নার কাজে এলপিজির ব্যবহার শুরু হয় ২০০৫ সালে। দেশে এখন ২ কোটির বেশি এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহৃরিত হচ্ছে।

সংশ্নিষ্টরা বলছেন, অসচেতনতা, মানহীন ও ঝুঁকিপূর্ণ সিলিন্ডার এবং উপযুক্ত তদারকির অভাবে দুর্ঘটনা ঘটছে। তবুও সিলিন্ডারের ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবহার ও পরিবহন থামছে না। বিশেষ করে খুচরা পর্যায়ে সিলিন্ডার বিপণন ও বিতরণে নিয়ম মানা হচ্ছে না। এতে সিলিন্ডারের স্থায়িত্ব কমছে। ঘটছে দুর্ঘটনা। বিস্ফোরক অধিদপ্তর সূত্র জানায়, দেশে আবাসিক, শিল্প ও বাণিজ্যিক ব্যবহারে প্রায় ৯০ লাখ এলপিজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) সিলিন্ডার রয়েছে। যানবাহনে ব্যবহৃত সিএনজি (সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস) সিলিন্ডার আছে প্রায় ৪ লাখ। রিটেস্টের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত বাতিল হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার এলপিজি ও ২০০ থেকে ৩০০ সিএনজি সিলিন্ডার। তবে এ রি-টেস্ট সুবিধাও দেশে পর্যাপ্ত নয়। সারাদেশে মাত্র ১৫টি রিটেস্ট সেন্টার রয়েছে। সেন্টারের সংখ্যা বাড়ানো হলে রিটেস্টের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঝুঁকিও কমবে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পেট্রোলিয়াম এন্ড মিনারেল রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, বিশ্বে সিএনজির সিলিন্ডার বিস্ফোরন হওয়ার রেকর্ড কিন্তু খুবই কম। বরং এগুলো খুবই অধিক মানসম্পন্ন নিশ্চিত করে বানানো হয়। এমন সিলিন্ডার ব্যবহার করা হচ্ছে যেটা সিএনজির জন্য না। কারণ সিএনজি অধিক প্রেসার সহনশীল। কাজেই এমন সিলিন্ডার ব্যবহার করা হচ্ছে যেটার ওই প্রেসার নেয়ার ক্ষমতা নেই। আরেকটি বিষয় হচ্ছে সিলিন্ডারের সংযোগ মুখে খুচরা যে যন্ত্রাংশ থাকে সেই জিনিসগুলো হয়তো মানসম্পন্ন না। এগুলো দুর্বল থাকলে বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটতে পারে। যে সকল সিলিন্ডার থেকে বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটেছে সেগুলো সিএনজি সিলিন্ডার না। এগুলো অত্যন্ত নিন্মমানের। কোথা থেকে এই ধরনের সিলিন্ডার আমদানি হয় এবং কারা বানায় এ বিষয়য়ে যথেস্ট সন্দেহ রয়েছে। এই দুর্ঘটনাগুলো প্রতিরোধে আমাদের যে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন এবং বিএসটিআই রয়েছে এরা বিভিন্ন মান ঠিক করে দিয়েছে। গাড়ির ফিটনেসের মত সিলিন্ডারের ফিটনেস আলাদাভাবে পরীক্ষা করার নিয়ম রয়েছে। প্রত্যেকটি জিনিসেরই একটি রেটিং থাকে। ফলে সেটা যেখানে ব্যবহার করার কথা সেখানে না করে অন্যত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে এসকল দুর্ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে ঢামেকের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের অবৈতনিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, এই ধরনের ঘটনার কোনো মনিটরিং হয় না।

অসাবধানতাবসত এই দুর্ঘটনা বেড়েই চলছে। অল্প পয়সায় বেশি ব্যবসা করতে যায়। যার জন্য এই ঘটনাগুলো ঘটছে। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরনের বিষয়টি একটু চেকিং বা মনিটরিং করা হলে এ সকল দুর্ঘটনাগুলো কমে আসতো। প্রতি বছর যে অগ্নিদগ্ধের ঘটনা ঘটে তার মধ্যে ৫০ ভাগ শুধুমাত্র গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরনের কারনে হয়। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন বলেছেন, নিন্মমানের গ্যাস সিলিন্ডার এবং এগুলোকে সময়মত পরীক্ষা না করার কারনে এধরনের ঘটনাগুলো ঘটছে। মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার ব্যবহার করা এর অন্যতম কারণ। উন্নত দেশগুলোতে হাইড্রোজেন গ্যাস দিয়ে বেলুন ফোলানো হয়। কিন্তু আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের নিন্মমানের উপাদান ব্যবহার করে বেলুন ফোলানো হয়। কাজেই নিরাপত্তার কথা চিন্তা করলে এই ধরনের নিন্মমানের গ্যাস দিয়ে বেলুন ফোলানে বন্ধ করতে হবে। এই ধরনের সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে লাইসেন্স নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে গাড়ি বা বাসা বাড়িতে কোয়োলিটিসম্পন্ন গ্যাস নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status