বিশ্বজমিন
হংকংয়ে সহিংসতায় নিহত ১, লন্ডনে বিচারমন্ত্রী আহত, চীনের নিন্দা
মানবজমিন ডেস্ক
১৫ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, ৩:৩৫ পূর্বাহ্ন
হংকংয়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে সহিংসতা মাত্রা ছাড়িয়েছে। বৃহ¯পতিবার পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এক পর্যায়ে সংঘর্ষের কারণে মৃত্যু হয়েছে এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীর। তিনি সংঘর্ষস্থলের নিকটে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছিলেন। এছাড়া, হংকংয়ের বিচারমন্ত্রী তেরেসা চেং লন্ডনে হামলার শিকার হয়েছেন। তার ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছে চীন ও হংকং।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হংকংয়ের পক্ষে প্রচারণা চালাতে লন্ডনে সফর করেছিলেন চেং। প্রচারণার এক পর্যায়ে একদল বিক্ষোভকারী তাকে ঘিরে ধরে। তার দিকে চিৎকার করে বলতে থাকে ‘হত্যাকারী’ ও ‘লজ্জাজনক’। ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীদের চাপে মাটিতে পড়ে যান চেং। পড়ে গিয়ে হাতে চোট পেয়ছেন তিনি।
বৃটেনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, চেংকে ঘিরে ধরে হামলা চালিয়েছে চীন-বিরোধী ও হংকংয়ের স্বাধীনতাপন্থি অধিকারকর্মীরা। তারা অনলাইনে এই হামলার পরিকল্পনা করেছিল। চীনা দূতাবাস থেকে বৃটিশ পুলিশকে ঘটনাটি তদন্ত করতে এবং চীনা কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে দূতাবাস বলেছে, হংকংয়ে সহিংসতার অবসান ঘটানো ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এখন সবচেয়ে প্রধান কাজ। চীনের কেন্দ্রীয় সরকার হংকং সরকারকে জোরালোভাবে সমর্থন করে।
টানা পাঁচ মাস ধরে হংকংয়ে বিক্ষোভ জারি রয়েছে। সময় যত গড়াচ্ছে, সেখানকার পরিস্থিতি ততই সহিংস, অস্থিতিশীল ও বিরূপ আকার ধারণ করছে। গত এক সপ্তাহে একাধিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। সম্প্রতি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি ‘এক দেশ, দুই নীতি’ ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করছে। প্রসঙ্গত, গত শতকের শেষের দিকে চীনের সঙ্গে যুক্ত হয় সাবেক বৃটিশ কলোনি হংকং। তবে ‘এক দেশ, দুই নীতি’ ব্যবস্থার আওতায় বেশকিছুটা স্বায়ত্তশাসন ভোগ করে তারা। তবে হংকং সরকার শহরটি থেকে চীনের মূল ভূখণ্ডে সন্দেহভাজন আসামী প্রত্যর্পণের এক বিল পাস করার ঘোষণা দিলে গত জুন মাস থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। অবিরাম বিক্ষোভের মুখে বিলটি বাতিল ঘোষণা করা হলেও থামেনি বিক্ষোভ। ততদিনে বিক্ষোভকারীদের দাবির তালিকা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে, বৃহ¯পতিবার মাথায় ইটের আঘাত লেগে এক ৭০ বছর বয়সী রাস্তা পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। টানা পাঁচদিন ধরে শহরটির একাংশ অবরোধ করে রেখেছে বিক্ষোভকারীরা। বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অচল হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। শহরটির বিগত দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করেছে এই বিক্ষোভ। প্রায় এক দশকের মধ্যে শহরটির অর্থনীতি নিম্নমুখী হওয়ার ঝুঁকিতে আছে।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হংকংয়ের পক্ষে প্রচারণা চালাতে লন্ডনে সফর করেছিলেন চেং। প্রচারণার এক পর্যায়ে একদল বিক্ষোভকারী তাকে ঘিরে ধরে। তার দিকে চিৎকার করে বলতে থাকে ‘হত্যাকারী’ ও ‘লজ্জাজনক’। ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীদের চাপে মাটিতে পড়ে যান চেং। পড়ে গিয়ে হাতে চোট পেয়ছেন তিনি।
বৃটেনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, চেংকে ঘিরে ধরে হামলা চালিয়েছে চীন-বিরোধী ও হংকংয়ের স্বাধীনতাপন্থি অধিকারকর্মীরা। তারা অনলাইনে এই হামলার পরিকল্পনা করেছিল। চীনা দূতাবাস থেকে বৃটিশ পুলিশকে ঘটনাটি তদন্ত করতে এবং চীনা কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে দূতাবাস বলেছে, হংকংয়ে সহিংসতার অবসান ঘটানো ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এখন সবচেয়ে প্রধান কাজ। চীনের কেন্দ্রীয় সরকার হংকং সরকারকে জোরালোভাবে সমর্থন করে।
টানা পাঁচ মাস ধরে হংকংয়ে বিক্ষোভ জারি রয়েছে। সময় যত গড়াচ্ছে, সেখানকার পরিস্থিতি ততই সহিংস, অস্থিতিশীল ও বিরূপ আকার ধারণ করছে। গত এক সপ্তাহে একাধিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। সম্প্রতি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি ‘এক দেশ, দুই নীতি’ ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করছে। প্রসঙ্গত, গত শতকের শেষের দিকে চীনের সঙ্গে যুক্ত হয় সাবেক বৃটিশ কলোনি হংকং। তবে ‘এক দেশ, দুই নীতি’ ব্যবস্থার আওতায় বেশকিছুটা স্বায়ত্তশাসন ভোগ করে তারা। তবে হংকং সরকার শহরটি থেকে চীনের মূল ভূখণ্ডে সন্দেহভাজন আসামী প্রত্যর্পণের এক বিল পাস করার ঘোষণা দিলে গত জুন মাস থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। অবিরাম বিক্ষোভের মুখে বিলটি বাতিল ঘোষণা করা হলেও থামেনি বিক্ষোভ। ততদিনে বিক্ষোভকারীদের দাবির তালিকা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে, বৃহ¯পতিবার মাথায় ইটের আঘাত লেগে এক ৭০ বছর বয়সী রাস্তা পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। টানা পাঁচদিন ধরে শহরটির একাংশ অবরোধ করে রেখেছে বিক্ষোভকারীরা। বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অচল হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। শহরটির বিগত দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করেছে এই বিক্ষোভ। প্রায় এক দশকের মধ্যে শহরটির অর্থনীতি নিম্নমুখী হওয়ার ঝুঁকিতে আছে।