দেশ বিদেশ
ঢাকা ডায়ালগ
ইন্দো-প্যাসিফিকের ধারণা স্পষ্ট করার দাবি, বিআরআই নিয়ে বিতর্ক
কূটনৈতিক রিপোর্টার
১৩ নভেম্বর ২০১৯, বুধবার, ৯:২৪ পূর্বাহ্ন
ঢাকা গ্লোবাল ডায়ালগের দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় দেশী-বিদেশী প্রতিনিধিরা বলেছেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ধারণা দেশগুলোর কাছে আরও স্পষ্ট করতে হবে। মার্কিন ওই উদ্যোগের বিষয়ে এখনও অস্পষ্টতা রয়েছে তবে উদ্যোগটি অবশ্যই ইতিবাচক। বিশেষ করে উন্নয়নের প্রশ্নে। এদিকে ঢাকার ওই সংলাপে চীনের উদ্যোগ বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ- বিআরআইতে যোগদান প্রশ্নে ভারতীয় প্রতিনিধিদের মধ্যে বিতর্ক হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট শি জিং উন্নয়ন ওই উদ্যোগে দিল্লি এখনও সম্পৃক্ত হয়নি। তবে ঢাকা শুরু থেকেই বেইজিংয়ের সঙ্গে রয়েছে। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এমপি বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ধারণা পরিষ্কার নয়। মনে হচ্ছে এটি পরিবর্তনশীল। রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে চলমান ওই সংলাপে প্রতিমন্ত্রী আরও কয়েকটি দেশ এটিতে যুক্ত হবে, এর ভৌগোলিক সীমা কত দূর হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তারপরও এটির বিশাল সম্ভবনা আছে। শাহরিয়ার আলম বলেন, মানুষ চায়, তারা যেন মুক্তভাবে ভ্রমণ করতে পারে। সেক্ষেত্রে আসিয়ান একটি মডেল হতে পারে। তবে তাদের এ অবস্থায় আসতে অনেক সময় লেগেছে। এখনও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মত আসিয়ান অভিন্ন মুদ্রা চালু করতে পারেনি। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, অন্য অঞ্চলের যে সংকট তা থেকে ইন্দো-প্যাসিফিক অনেকটাই মুক্ত। সবচেয়ে বর্ধনশীল অর্থনীতি এ অঞ্চলকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে। ধারণাটি খুব ভালো। বিমসটেক, সার্কসহ অন্যান্য সংস্থাকে আরও কার্যকর করতে হবে। দক্ষিণ এশিয়া ইন্দো-প্যাসিফিক ধারণার জন্য একটি বড় শক্তি হতে পারে। তবে চীনের ফুদান ইউনিভার্সিটির প্রফেসর মিনওয়ান লিন ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। বলেন, সেখানে সমুদ্র উন্মুক্ত এবং স্বাধীন শব্দ দুটি রয়েছে। কিন্তু আমরা জানিনা এই ’উন্মুক্ত’ ও ’স্বাধীন’ শব্দটির মানে কি! ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাস অনুষ্ঠানে বলেন, আমরা এই অঞ্চলে উন্মুক্ত ও সবাই আইনের শাসন মেনে চলবে সেটি চাই। ইন্দো-প্যাসিফিককে সবার অংশগ্রহণ ভারত চায় জানিয়ে হাই কমিশনার বলেন, ’ইন্দো-প্যাসিফিক আর বিআরআই দুটি ভিন্ন কনসেপ্ট। বাংলাদেশ প্রসঙ্গে হাইকমিশনার বলেন, ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও সুখী স্থান বলেই গ্লোবাল ডায়ালগ এখানে হচ্ছে। ভারতের অর্থনীতি দ্রুত বর্ধনশীল। বিভিন্ন পরিসংখা দেখা যাচ্ছে, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। ২০৩০ সালের মধ্যে এ অঞ্চলের ২৫টি দেশের অর্থনীতি ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। বাংলাদেশ হচ্ছে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। কানেক্টিভিটি ভারতের জন্য একটি মূল বিষয় (গেম চেঞ্জার)। কারণ দুই দেশেই এক্ষেত্রে উইন উইন সাফল্য হতে পারে। উত্তর পূর্ব ভারতের সঙ্গে মূল ভারতের যোগাযোগে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ জন্য দুই দেশের মধ্যে বেশ কিছু প্রকল্প চলমান রয়েছে।
বিআরআই নিয়ে বিতর্ক: এদিকে ভারতের ক্ষমতাসীন জনতা পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতা রাম মাধব চীনের বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভের বিরোধীতা করলেও ভারতের আরেকটি বড় দল কংগ্রেসের মুখপাত্র মনিশ তেওয়ারী এই উদ্যোগের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। ’কানেক্টিং দি ইন্দো-প্যাসিফিক’ সেশনে মনিশ তেওয়ারী বলেন, ভারতে যদি চীনের একটি ট্রাক চালিয়ে আমার পরিবারের অন্নের সংস্থান হয় তবে ওই ট্রাক চালাতে আমার কোনো সমস্যা নেই। এর আগে সোমবার রাম মাধব চীনের উদ্যোগকে একটি স্নায়ু যুদ্ধের উদ্ভবের সঙ্গে তুলনা করে বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভের সমালোচনা করেন। মনিশ তেওয়ারী বলেন বাণিজ্যকে উৎসাহিত করে এমন যেকোনো পদক্ষেপ বা প্রকল্পকে ইতিবাচক দৃষ্টিকোন থেকে গ্রহণ করা উচিত। তবে তিনি স্বীকার করেন পাকিস্তানের কাশ্মিরে একটি বিতর্কিত প্রকল্পে বিনিয়োগের কারণেই বিআরআর নিয়ে ভারতের আপত্তি।
প্রেসিডেন্ট শি জিং উন্নয়ন ওই উদ্যোগে দিল্লি এখনও সম্পৃক্ত হয়নি। তবে ঢাকা শুরু থেকেই বেইজিংয়ের সঙ্গে রয়েছে। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এমপি বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ধারণা পরিষ্কার নয়। মনে হচ্ছে এটি পরিবর্তনশীল। রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে চলমান ওই সংলাপে প্রতিমন্ত্রী আরও কয়েকটি দেশ এটিতে যুক্ত হবে, এর ভৌগোলিক সীমা কত দূর হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তারপরও এটির বিশাল সম্ভবনা আছে। শাহরিয়ার আলম বলেন, মানুষ চায়, তারা যেন মুক্তভাবে ভ্রমণ করতে পারে। সেক্ষেত্রে আসিয়ান একটি মডেল হতে পারে। তবে তাদের এ অবস্থায় আসতে অনেক সময় লেগেছে। এখনও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মত আসিয়ান অভিন্ন মুদ্রা চালু করতে পারেনি। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, অন্য অঞ্চলের যে সংকট তা থেকে ইন্দো-প্যাসিফিক অনেকটাই মুক্ত। সবচেয়ে বর্ধনশীল অর্থনীতি এ অঞ্চলকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে। ধারণাটি খুব ভালো। বিমসটেক, সার্কসহ অন্যান্য সংস্থাকে আরও কার্যকর করতে হবে। দক্ষিণ এশিয়া ইন্দো-প্যাসিফিক ধারণার জন্য একটি বড় শক্তি হতে পারে। তবে চীনের ফুদান ইউনিভার্সিটির প্রফেসর মিনওয়ান লিন ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। বলেন, সেখানে সমুদ্র উন্মুক্ত এবং স্বাধীন শব্দ দুটি রয়েছে। কিন্তু আমরা জানিনা এই ’উন্মুক্ত’ ও ’স্বাধীন’ শব্দটির মানে কি! ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাস অনুষ্ঠানে বলেন, আমরা এই অঞ্চলে উন্মুক্ত ও সবাই আইনের শাসন মেনে চলবে সেটি চাই। ইন্দো-প্যাসিফিককে সবার অংশগ্রহণ ভারত চায় জানিয়ে হাই কমিশনার বলেন, ’ইন্দো-প্যাসিফিক আর বিআরআই দুটি ভিন্ন কনসেপ্ট। বাংলাদেশ প্রসঙ্গে হাইকমিশনার বলেন, ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও সুখী স্থান বলেই গ্লোবাল ডায়ালগ এখানে হচ্ছে। ভারতের অর্থনীতি দ্রুত বর্ধনশীল। বিভিন্ন পরিসংখা দেখা যাচ্ছে, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। ২০৩০ সালের মধ্যে এ অঞ্চলের ২৫টি দেশের অর্থনীতি ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। বাংলাদেশ হচ্ছে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। কানেক্টিভিটি ভারতের জন্য একটি মূল বিষয় (গেম চেঞ্জার)। কারণ দুই দেশেই এক্ষেত্রে উইন উইন সাফল্য হতে পারে। উত্তর পূর্ব ভারতের সঙ্গে মূল ভারতের যোগাযোগে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ জন্য দুই দেশের মধ্যে বেশ কিছু প্রকল্প চলমান রয়েছে।
বিআরআই নিয়ে বিতর্ক: এদিকে ভারতের ক্ষমতাসীন জনতা পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতা রাম মাধব চীনের বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভের বিরোধীতা করলেও ভারতের আরেকটি বড় দল কংগ্রেসের মুখপাত্র মনিশ তেওয়ারী এই উদ্যোগের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। ’কানেক্টিং দি ইন্দো-প্যাসিফিক’ সেশনে মনিশ তেওয়ারী বলেন, ভারতে যদি চীনের একটি ট্রাক চালিয়ে আমার পরিবারের অন্নের সংস্থান হয় তবে ওই ট্রাক চালাতে আমার কোনো সমস্যা নেই। এর আগে সোমবার রাম মাধব চীনের উদ্যোগকে একটি স্নায়ু যুদ্ধের উদ্ভবের সঙ্গে তুলনা করে বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভের সমালোচনা করেন। মনিশ তেওয়ারী বলেন বাণিজ্যকে উৎসাহিত করে এমন যেকোনো পদক্ষেপ বা প্রকল্পকে ইতিবাচক দৃষ্টিকোন থেকে গ্রহণ করা উচিত। তবে তিনি স্বীকার করেন পাকিস্তানের কাশ্মিরে একটি বিতর্কিত প্রকল্পে বিনিয়োগের কারণেই বিআরআর নিয়ে ভারতের আপত্তি।