খেলা
লতার সুরের শহরে জাগবে কি বাংলাদেশ!
ইশতিয়াক পারভেজ, নাগপুর থেকে
১২ নভেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:০৩ পূর্বাহ্ন
নাগপুরে মেট্রোরেলের লাল আলোতে বড় করে লেখা ‘লতা মঙ্গেশকর’। সেখানে রয়েছে তার নামে হাসপাতাল, এমনকি একটি মিউজিক্যাল গার্ডেনও। যা দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমায়। না, ভারতের সঙ্গীতের মহাতারকা মারাঠি কন্যার জন্ম নাগপুরে নয়। নাগপুরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল গেল রোববার ভারতের বিপক্ষে ফের জিততে জিততে হেরে গেছে। সেই হৃদয় ভাঙার রাত পোহাতেই টাইগাররা গতকাল পা রাখে ইন্দোরে। হ্যাঁ, ইন্দোরেই জন্ম সুরের রানী লতা মঙ্গেশকরের, যেখানে বাংলাদেশ দল নিয়ে এসেছে হতাশার মূর্ছনা। ভারতের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের সুযোগ পরিণত হয়েছে ফের অপেক্ষায়। তবে এখন তাদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ, নতুনভাবে ঘুড়ে দাঁড়ানোর আশা। আগামী ১৪ই নভেম্বর শুরু হচ্ছে টেস্ট সিরিজ। যার মধ্যদিয়ে নয়া অধিনায়ক মুমিনুল হকের দল প্রবেশ করবে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিানশিপের কঠিন পরীক্ষায়। তবে তার আগে দলকে সামলে উঠতে হবে। নতুন লড়াইয়ের জন্য ব্যাটিং- বোলিংয়ের তাল, লয়, ছন্দ যেন ঠিক থাকে তার জন্য নিজেদের বাঁধতে হবে একতারে। অবশ্য দলের সিনিয়র ক্রিকেটার ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ হতাশার সঙ্গে শুনিয়েছেন আশার বানীও। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথম ম্যাচ জিতেছি। অবশ্যই ভালো একটা মোমেন্টাম পেয়েছিলাম। সেখান থেকে সিরিজটা হারি, তা কিছুটা হলেও হতাশাজনক। আর তৃপ্তির জায়গা বলতে আমার মনে হয়, নাঈম ও আমিনুলের পারফরম্যান্স। আমাদের বোলিং ইউনিটের পারফরম্যান্স খুব ভালো ছিল।’
টাইগারদের হতাশ অধিনায়কের জন্য লতা মঙ্গেশকর হয়তো শোনাতেন দুই এক লাইন আশার বানী। সুরসম্রাজ্ঞী লতা কেন ক্রিকেট নিয়ে কথা বলবেন! কারণ তিনি যে গানের সঙ্গে ক্রিকেটেরও দারুণ ভক্ত। তার ক্রিকেট প্রেমের কারণে ভারতে নয়, ইংল্যান্ডের লর্ডসে বরাদ্দ রয়েছে একটি আসন। শুধু কি তাই? ভারতের সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্রসিং ধোনির অবসরের যখন দাবি উঠেছিল, ধোনিও যেন ছাড়ি ছাড়ি ভাব করছিলেন। ঠিক তখন টুইট করে লতা বলেছিলেন, ‘নমস্কার এমএস ধোনি জি, শুনতে পাচ্ছি আপনি অবসরের কথা ভাবছেন। দয়া করে এমনটা ভাববেন না। আপনাকে দেশের প্রয়োজন। আর এটা আমারও অনুরোধ যে আপনি অবসরের ভাবনাও মনে আনবেন না।’ সেই ক্রিকেট পাগল সুরের রানীর শহরে আসার আগে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ স্বীকার করে নিয়েছেন হারের দায় আসলে তাদেরই। যেখানে তরুণ নাঈম-মিঠুনরা দলকে জয়ের পথ দেখিয়েছিলেন। সেখানে অভিজ্ঞ মাহমুদুুল্লাহ, মুশফিকুর রহীমরা উপহার দিয়েছেন একরাশ হতাশা। নিজের দায় স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা জেতার পথেই ছিলাম। কিন্তু ৬-৭ বলের মধ্যে ৩-৪ উইকেট হারিয়ে ফেলি। আমার মনে হয়, এটাই ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এমন ভুল যেন ভবিষ্যতে না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।’
অন্যদিকে বারবার ভুলের জন্য নিজেদের টি-টোয়েন্টির বড় দল হিসেবে মানতেও পারছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে আসলে বড় দলগুলো খেলা শেষ করে আসে। আমাদের কীসের ঘাটতি, দৃঢ়তার কিনা, জানি না। উইকেটও ভালো ছিল। আসলে আমরা ব্যাটসম্যানরাই ব্যর্থ হয়েছি। এটা আমাদেরই ভুল। বার বার একই ভুল করে না বলেই তারা আসলে বড় দল। আমাদের এই সব নিয়ে আরো ভাবতে হবে।’ তবে টাইগার অধিনায়কের কণ্ঠেও নতুনের জয় গান। তরুণ নাঈমের ৮১ রানের ইনিংস নিয়ে তিনি বলেন, ‘এক কথায় বললে, খুবই দৃষ্টিনন্দন ছিল ওর ইনিংসটা। আমার খারাপ লাগছে ও এত সুন্দর একটা ইনিংস খেলেছে, আমরা ফিনিশ করতে পারিনি। মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা ছিল। এই কারণে আমার হতাশাটা আরো বেশি। সুন্দর একটা ইনিংস খেলেছে, খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। আমরা যদি ভালো করে শেষ করতে পারতাম তাহলে ও অনেক ক্রেডিট পেতো।’
এবার তরুণ নেতৃত্বকে এগিয়ে নিতেও মাহমুদুল্লাহ, মুশফিকদের এগিয়ে আসতে হবে কাঁধে কাঁধ রেখে। টেস্টে বাংলাদেশের নতুন অধিনায়ক মুমিনুল হককে দেখাতে হবে আগামী দিনের পথ। যেমটা ভারতের সংগীতকে পথ দেখিয়েছেন লতা মঙ্গেশকর।
টাইগারদের হতাশ অধিনায়কের জন্য লতা মঙ্গেশকর হয়তো শোনাতেন দুই এক লাইন আশার বানী। সুরসম্রাজ্ঞী লতা কেন ক্রিকেট নিয়ে কথা বলবেন! কারণ তিনি যে গানের সঙ্গে ক্রিকেটেরও দারুণ ভক্ত। তার ক্রিকেট প্রেমের কারণে ভারতে নয়, ইংল্যান্ডের লর্ডসে বরাদ্দ রয়েছে একটি আসন। শুধু কি তাই? ভারতের সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্রসিং ধোনির অবসরের যখন দাবি উঠেছিল, ধোনিও যেন ছাড়ি ছাড়ি ভাব করছিলেন। ঠিক তখন টুইট করে লতা বলেছিলেন, ‘নমস্কার এমএস ধোনি জি, শুনতে পাচ্ছি আপনি অবসরের কথা ভাবছেন। দয়া করে এমনটা ভাববেন না। আপনাকে দেশের প্রয়োজন। আর এটা আমারও অনুরোধ যে আপনি অবসরের ভাবনাও মনে আনবেন না।’ সেই ক্রিকেট পাগল সুরের রানীর শহরে আসার আগে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ স্বীকার করে নিয়েছেন হারের দায় আসলে তাদেরই। যেখানে তরুণ নাঈম-মিঠুনরা দলকে জয়ের পথ দেখিয়েছিলেন। সেখানে অভিজ্ঞ মাহমুদুুল্লাহ, মুশফিকুর রহীমরা উপহার দিয়েছেন একরাশ হতাশা। নিজের দায় স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা জেতার পথেই ছিলাম। কিন্তু ৬-৭ বলের মধ্যে ৩-৪ উইকেট হারিয়ে ফেলি। আমার মনে হয়, এটাই ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এমন ভুল যেন ভবিষ্যতে না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।’
অন্যদিকে বারবার ভুলের জন্য নিজেদের টি-টোয়েন্টির বড় দল হিসেবে মানতেও পারছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে আসলে বড় দলগুলো খেলা শেষ করে আসে। আমাদের কীসের ঘাটতি, দৃঢ়তার কিনা, জানি না। উইকেটও ভালো ছিল। আসলে আমরা ব্যাটসম্যানরাই ব্যর্থ হয়েছি। এটা আমাদেরই ভুল। বার বার একই ভুল করে না বলেই তারা আসলে বড় দল। আমাদের এই সব নিয়ে আরো ভাবতে হবে।’ তবে টাইগার অধিনায়কের কণ্ঠেও নতুনের জয় গান। তরুণ নাঈমের ৮১ রানের ইনিংস নিয়ে তিনি বলেন, ‘এক কথায় বললে, খুবই দৃষ্টিনন্দন ছিল ওর ইনিংসটা। আমার খারাপ লাগছে ও এত সুন্দর একটা ইনিংস খেলেছে, আমরা ফিনিশ করতে পারিনি। মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা ছিল। এই কারণে আমার হতাশাটা আরো বেশি। সুন্দর একটা ইনিংস খেলেছে, খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। আমরা যদি ভালো করে শেষ করতে পারতাম তাহলে ও অনেক ক্রেডিট পেতো।’
এবার তরুণ নেতৃত্বকে এগিয়ে নিতেও মাহমুদুল্লাহ, মুশফিকদের এগিয়ে আসতে হবে কাঁধে কাঁধ রেখে। টেস্টে বাংলাদেশের নতুন অধিনায়ক মুমিনুল হককে দেখাতে হবে আগামী দিনের পথ। যেমটা ভারতের সংগীতকে পথ দেখিয়েছেন লতা মঙ্গেশকর।