বাংলারজমিন

আমতলীতে শিক্ষার্থীদের টাকায় ভূরিভোজ

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

৯ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার, ৮:০০ পূর্বাহ্ন

বরগুনার আমতলী একে হাইস্কুল সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমাপনী পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে এক হাজার টাকা চাঁদা উত্তোলন করে প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নান সিকদারের নেতৃত্বে ভূরিভোজ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে অভিভাবকদের ম
াঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। ভূরিভোজ নিয়ে আমতলীতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, আমতলী একে পাইলট হাইস্কুল সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ বছর ১০২ জন পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষার্থীর বিদায় উপলক্ষে প্রতি পরীক্ষার্থীর কাছ হতে এক হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে ভূরিভোজের আয়োজন করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার দুপুরে সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিকসহ ২ শতাধিক লোককে ভূরিভোজ করান এ চাঁদার টাকার দিয়ে। বিদ্যালয়ের কয়েকজন অভিভাবক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন পঞ্চম শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে জোর করে এক হাজার টাকা চাঁদা উত্তোলন করেছেন প্রধান শিক্ষকসহ অপর শিক্ষকরা। অধিকাংশ গরিব পরীক্ষার্থীরা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাদেরকে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে ধার্যকৃত চাঁদার টাকা আদায় করেছেন। এ নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। বিদ্যালয়ের কয়েকজন সহকারী শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রধান শিক্ষক তার ইচ্ছানুযায়ী পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে জোর করে টাকা উত্তোলন করেছেন। এ নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ রয়েছে। তারা ভূঁরিভোজের কথা স্বীকার করে বলেন, অধিকাংশ শিক্ষক এতে রাজি ছিলেন না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নান সিকদার ২০০৯ সালে বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলন করে ভূরিভোজের আয়োজন করে আসছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নান সিকদার ভূঁরিভোজের কথা স্বীকার করে বলেন, পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন এবং তারাই খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। টাকা উত্তোলনের বিষয় প্রশ্ন করলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
আমতলী উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার (সদর ক্লাস্টার) ফাতিমা বেগম বিদায়ী অনুষ্ঠানের কথা স্বীকার করে বলেন, টাকা উত্তোলন ও খাবারের বিষয়টি আমার জানা নেই। তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এক হাজার টাকা উত্তোলন করা অন্যায়। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মজিবুর রহমানের মুঠোফোনে (০১৭৯৫০৮৬৭২৩) একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে ক্ষতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status