অনলাইন
যুক্ত বিবৃতি
শ্রমিক নিয়োগে স্বচ্ছতা চায় মালয়েশিয়া, চলতি মাসেই চুক্তি
মিজানুর রহমান
৬ নভেম্বর ২০১৯, বুধবার, ১০:২৩ পূর্বাহ্ন
স্বচ্ছ, নিরাপদ এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিতে চায় মালয়েশিয়া। নিয়োগে যাবতীয় অনিয়ম বা অনৈতিক চর্চা ঠেকানো এবং শ্রমিকদের ওপর বয়ে যাওয়া নিপীড়ন বন্ধ করতে বদ্ধ পরিকর দেশটি। বুধবার কুয়ালালামপুরের পার্লামেন্ট ভবনে এ নিয়ে দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী এম কুলাসেগারান দীর্ঘ আলোচনা করেন সফররত বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের সঙ্গে। বৈঠকে দুই মন্ত্রী শ্রমিক নিয়োগ, কর্মসংস্থান এবং অবৈধদের প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার তাগিদ দেন। তারা শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছান। বৈঠকে মন্ত্রীদ্বয় এ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট ৬টি দফার বিষয়ে একমত হয়েছেন মর্মে একটি যুক্ত বিবৃতি সই করেন। মানবজমিন ওই বিবৃতিতে একটি কপি পেয়েছে। যেখানে বলা হয়, মন্ত্রীদ্বয় এবং দুই দেশের কর্মকর্তাদের কুয়ালালামপুরের বৈঠকে যে আলোচনা, সিদ্ধান্ত এবং ঐকমত্য হয়েছে তার ধারাবাহিকতায় চলতি নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ঢাকায় জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে ২০১৬ সালে খসড়া তৈরি করা জনশক্তি রপ্তানী সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকে প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে তা চূড়ান্তভাবে স্বাক্ষরিত হবে। বিবৃতিতে আশা করা হয়- বাংলাদেশের শ্রমিকদের ফের মালয়েশিয়ায় যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলে দেশটির শ্রমবাজারে শ্রমিক সঙ্কট কাটবে এবং সংকটের কারণে তাদের ব্যবসায় এতদিন যে প্রভাব পড়ছিলো সেটি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে। বিবৃতিতে যে ৬টি দফার বিষয়ে উভয় পক্ষ এমমত হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে- শ্রমিক নিয়োগে স্বচ্ছতা এবং নিয়োগ সংশ্লিষ্টদের কার্যকর ব্যবসায়িক চর্চায় একটি নিরাপদ অনলাইন সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করা হবে যাতে বাংলাদেশ সরকার এবং মালয়েশিয়ার সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে এবং উভয়ে পুরো প্রক্রিয়া নজরদারি করতে পারবে। অভিবাসনের খরচ কমাতে দুই দেশের এজেন্সিকে উৎসাহিত করা হবে। তাদের নিয়োগটি অবশ্যই দক্ষতা, কার্যকারিতা এবং বিশ্বস্ততার সঙ্গে করতে হবে। এজেন্সিগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে, তবে অবশ্যই তাদের ব্যয় কমাতে হবে। শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়েও বৈঠকে মন্ত্রীদ্বয় একমত হন।