বিশ্বজমিন
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহার শুরু
মানবজমিন ডেস্ক
৫ নভেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ১২:০৯ অপরাহ্ন
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে যাওয়ার ব্যাপারে জাতিসংঘকে নোটিশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দুই বছর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প চুক্তিটি থেকে সরে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। অবশেষে ওই ঘোষণা কার্যকর হতে চলেছে। সোমবার এক টুইটে একথা নিশ্চিত করেছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। ট্রাম্পের দাবি, এই চুক্তিতে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। এ খবর দিয়েছে দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস।
পম্পেও সোমবার এক টুইটে জানান, প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে আজ। সব ধরনের বিষাক্ত গ্যাস নির্গমন কমানো, স্থিতিস্থাপকতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিশ্বনেতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত। আমাদের অর্থনীতি বৃদ্ধি ও সকল নাগরিকের জন্য জ্বালানি নিশ্চিত করতে পেরে আমরা গর্বিত।
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুসার, বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিশ্বনেতারা। ২০১৭ সালে চুক্তিটি থেকে সরে যাবার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। তবে ঘোষণাও পরও চুক্তির আলোচনায় অংশ নিতে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার থেকে তাদের আনুষ্ঠানিক প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে আরো একবছর লাগবে। বৈশ্বিক জলবায়ু চুক্তিটি থেকে সরে যাওয়া প্রথম দেশ যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৬ সাল থেকে কার্যকর হয় চুক্তিটি। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসন চুক্তিটিকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন।
এদিকে, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্তে ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা ও পরিবেশকর্মীরা। নিউ ইয়র্কের সাবেক মেয়র ও সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গের মালিক মাইক্যাল ব্লুমবার্গ বলেছেন, এই চুক্তি থেকে সরে যাওয়া হচ্ছে নেতৃত্ব পরিত্যাগ করা। বেশিরভাগ আমেরিকান এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহার সত্ত্বেও ব্লুমবার্গ প্যারিস চুক্তির শর্ত মেনে একাধিক মার্কিন অঙ্গরাজ্য ও শহরের কার্বন নিঃসরণ কমাতে কাজ করছেন।
বেসরকারি সংস্থা পরিবেশ প্রতিরক্ষা তহবিলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট নাথানিয়েল কেওহানে বলেন, প্যারিস চুক্তিটি সম্ভব হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বের কারণে। সেখান থেকে সরে এসে যুক্তরাষ্ট্র তাদের মিত্রদের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ময়দানে ছেড়ে চলে আসছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ১৮৭টি দেশ প্যারিস জলবায়ু চুক্তি মানার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ইউরোপের একাধিক দেশ কার্বন নিঃসরণ কমানো নিয়ে কাজ করছে। ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স।
পম্পেও সোমবার এক টুইটে জানান, প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে আজ। সব ধরনের বিষাক্ত গ্যাস নির্গমন কমানো, স্থিতিস্থাপকতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিশ্বনেতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত। আমাদের অর্থনীতি বৃদ্ধি ও সকল নাগরিকের জন্য জ্বালানি নিশ্চিত করতে পেরে আমরা গর্বিত।
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুসার, বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিশ্বনেতারা। ২০১৭ সালে চুক্তিটি থেকে সরে যাবার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। তবে ঘোষণাও পরও চুক্তির আলোচনায় অংশ নিতে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার থেকে তাদের আনুষ্ঠানিক প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে আরো একবছর লাগবে। বৈশ্বিক জলবায়ু চুক্তিটি থেকে সরে যাওয়া প্রথম দেশ যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৬ সাল থেকে কার্যকর হয় চুক্তিটি। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসন চুক্তিটিকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন।
এদিকে, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্তে ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা ও পরিবেশকর্মীরা। নিউ ইয়র্কের সাবেক মেয়র ও সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গের মালিক মাইক্যাল ব্লুমবার্গ বলেছেন, এই চুক্তি থেকে সরে যাওয়া হচ্ছে নেতৃত্ব পরিত্যাগ করা। বেশিরভাগ আমেরিকান এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহার সত্ত্বেও ব্লুমবার্গ প্যারিস চুক্তির শর্ত মেনে একাধিক মার্কিন অঙ্গরাজ্য ও শহরের কার্বন নিঃসরণ কমাতে কাজ করছেন।
বেসরকারি সংস্থা পরিবেশ প্রতিরক্ষা তহবিলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট নাথানিয়েল কেওহানে বলেন, প্যারিস চুক্তিটি সম্ভব হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বের কারণে। সেখান থেকে সরে এসে যুক্তরাষ্ট্র তাদের মিত্রদের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ময়দানে ছেড়ে চলে আসছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ১৮৭টি দেশ প্যারিস জলবায়ু চুক্তি মানার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ইউরোপের একাধিক দেশ কার্বন নিঃসরণ কমানো নিয়ে কাজ করছে। ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স।