দেশ বিদেশ
হংকং: আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার হলো সমালোচিত প্রত্যর্পণ বিল
মানবজমিন ডেস্ক
২৪ অক্টোবর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:১৬ পূর্বাহ্ন
আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে হংকং থেকে সন্দেহভাজন আসামিদের চীনে প্রত্যর্পণ করা বিষয়ক বিল। হংকংয়ে চলমান সহিংস আন্দোলন শুরু হয়েছিল এই বিলের প্রতিবাদের হাত ধরেই। চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা লাখ লাখ হংকংবাসীর অবিরত বিক্ষোভের মুখে বিলটি বাতিল করা হয়েছে। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিলটি প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে হংকংয়ের বিধানসভা। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, বিতর্কিত ওই বিলটির প্রতিবাদের মাধ্যমেই শুরু হয় হংকংয়ে চার মাস ধরে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিলটি প্রত্যাহার করে নেয়ার দাবিতে হংকংয়ের রাস্তায় নেমে আসে প্রায় ১০ লাখ মানুষ। তখন থেকে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। সময় যত গড়িয়েছে পরিস্থিতি ততই সহিংস মোড় নিয়েছে। একসময় হংকং সরকার বিলটি অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণাও দেয়। তবে ততদিনে বিক্ষোভকারীদের দাবির তালিকা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের হামলার তদন্ত, গ্রেপ্তারকৃত বিক্ষোভকারীদের মুক্তি সহ একাধিক নতুন দাবি জানিয়েছে তারা। সেগুলো পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জারি রয়েছে। এর মধ্যে, আনুষ্ঠানিকভাবে চীনে সন্দেহভাজন অপরাধীদের প্রত্যর্পণের বিলটি বাতিল করে দিয়েছে সরকার।
প্রসঙ্গত, সাবেক বৃটিশ কলোনি হংকং গত শতকের শেষের দিকে চীনের সঙ্গে যুক্ত হয়। তবে ‘এক রাষ্ট্র, দুই নীতি’ ব্যবস্থার আওতায় চীন থেকে বেশ খানিকটা স্বায়ত্তশাসনের অধিকার রয়েছে তাদের। সমপ্রতি চীনের বিরুদ্ধে অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসনের ওপর প্রভাব বৃদ্ধির অভিযোগ তুলেছেন সমালোচকরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ওই প্রত্যর্পণ বিল পাস হলে, হংকংয়ের বিচার ব্যবস্থায় চীনের প্রভাব আরো বৃদ্ধি পাবে।
হংকংয়ে চলমান বিক্ষোভ চীনের কেন্দ্রীয় নেতাদের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। নেতারা বিক্ষোভকারীদের ‘বিপজ্জনক বিচ্ছিন্নতাবাদী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এদিকে, সব দাবি পূরণ না হওয়ায় বিক্ষোভ জারি রয়েছে। হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম জানিয়েছেন, বিল প্রত্যাহার ব্যতীত বিক্ষোভকারীদের বাকি দাবিগুলো পূরণ করা তার সক্ষমতার বাইরে। এতে বিক্ষোভ আরো সহিংস রূপ নিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বাড়িতে তৈরি বোমা বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে, চীন-সংশ্লিষ্ট দোকানপাটে ভাঙচুর চালাচ্ছে ও পুলিশের ওপর পেট্রোল বোমা হামলা চালাচ্ছে। পাল্টা জবাবে বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান প্রয়োগ, কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও রাসায়নিক পদার্থ ছুড়ছে পুলিশ। উন্মুক্ত গুলি চালানোর ঘটনাও ঘটছে।
ক্যারি লামকে সরানোর পরিকল্পনা করছে চীন
এদিকে, বিক্ষোভ সামলাতে ক্যারি লামের ব্যর্থতায় ক্ষিপ্ত চীনের কেন্দ্রীয় নেতারা। সমপ্রতি দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস এক প্রতিবেদনে সূত্রের বরাতে দাবি করেছে, লামকে হংকংয়ের প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে জোরপূর্বকভাবে সরানোর পরিকল্পনা করছে চীন সরকার। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পরিকল্পনাটির অনুমোদন দিলে তাকে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দেয়া হবে। তার জায়গায় নিয়োগ দেয়া হবে নতুন কাউকে। পরিস্থিতি শান্ত হওয়া পর্যন্ত নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিই ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন।
এ বিষয়ে বিবিসি’র পক্ষ থেকে লামের কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে, তারা দাবিটি প্রত্যাখ্যান করেন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেছে।
খবরে বলা হয়, বিতর্কিত ওই বিলটির প্রতিবাদের মাধ্যমেই শুরু হয় হংকংয়ে চার মাস ধরে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিলটি প্রত্যাহার করে নেয়ার দাবিতে হংকংয়ের রাস্তায় নেমে আসে প্রায় ১০ লাখ মানুষ। তখন থেকে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। সময় যত গড়িয়েছে পরিস্থিতি ততই সহিংস মোড় নিয়েছে। একসময় হংকং সরকার বিলটি অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণাও দেয়। তবে ততদিনে বিক্ষোভকারীদের দাবির তালিকা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের হামলার তদন্ত, গ্রেপ্তারকৃত বিক্ষোভকারীদের মুক্তি সহ একাধিক নতুন দাবি জানিয়েছে তারা। সেগুলো পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জারি রয়েছে। এর মধ্যে, আনুষ্ঠানিকভাবে চীনে সন্দেহভাজন অপরাধীদের প্রত্যর্পণের বিলটি বাতিল করে দিয়েছে সরকার।
প্রসঙ্গত, সাবেক বৃটিশ কলোনি হংকং গত শতকের শেষের দিকে চীনের সঙ্গে যুক্ত হয়। তবে ‘এক রাষ্ট্র, দুই নীতি’ ব্যবস্থার আওতায় চীন থেকে বেশ খানিকটা স্বায়ত্তশাসনের অধিকার রয়েছে তাদের। সমপ্রতি চীনের বিরুদ্ধে অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসনের ওপর প্রভাব বৃদ্ধির অভিযোগ তুলেছেন সমালোচকরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ওই প্রত্যর্পণ বিল পাস হলে, হংকংয়ের বিচার ব্যবস্থায় চীনের প্রভাব আরো বৃদ্ধি পাবে।
হংকংয়ে চলমান বিক্ষোভ চীনের কেন্দ্রীয় নেতাদের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। নেতারা বিক্ষোভকারীদের ‘বিপজ্জনক বিচ্ছিন্নতাবাদী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এদিকে, সব দাবি পূরণ না হওয়ায় বিক্ষোভ জারি রয়েছে। হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম জানিয়েছেন, বিল প্রত্যাহার ব্যতীত বিক্ষোভকারীদের বাকি দাবিগুলো পূরণ করা তার সক্ষমতার বাইরে। এতে বিক্ষোভ আরো সহিংস রূপ নিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বাড়িতে তৈরি বোমা বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে, চীন-সংশ্লিষ্ট দোকানপাটে ভাঙচুর চালাচ্ছে ও পুলিশের ওপর পেট্রোল বোমা হামলা চালাচ্ছে। পাল্টা জবাবে বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান প্রয়োগ, কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও রাসায়নিক পদার্থ ছুড়ছে পুলিশ। উন্মুক্ত গুলি চালানোর ঘটনাও ঘটছে।
ক্যারি লামকে সরানোর পরিকল্পনা করছে চীন
এদিকে, বিক্ষোভ সামলাতে ক্যারি লামের ব্যর্থতায় ক্ষিপ্ত চীনের কেন্দ্রীয় নেতারা। সমপ্রতি দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস এক প্রতিবেদনে সূত্রের বরাতে দাবি করেছে, লামকে হংকংয়ের প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে জোরপূর্বকভাবে সরানোর পরিকল্পনা করছে চীন সরকার। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পরিকল্পনাটির অনুমোদন দিলে তাকে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দেয়া হবে। তার জায়গায় নিয়োগ দেয়া হবে নতুন কাউকে। পরিস্থিতি শান্ত হওয়া পর্যন্ত নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিই ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন।
এ বিষয়ে বিবিসি’র পক্ষ থেকে লামের কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে, তারা দাবিটি প্রত্যাখ্যান করেন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেছে।