বিশ্বজমিন
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হংকংয়ে সাড়ে তিন লাখ মানুষের বিক্ষোভ
মানবজমিন ডেস্ক
২২ অক্টোবর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৮:২৮ পূর্বাহ্ন
হংকংয়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সামপ্রতিক সপ্তাহের সবচেয়ে বড় পদযাত্রা করেছে বিক্ষোভকারীরা। তাদের দমাতে রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত নীল রঙ ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ। রোববার এই ঘটনা ঘটে। সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে ও প্ল্যাকার্ড হাতে হংকংয়ের রাস্তায় নেমে এসেছিল আনুমানিক ৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষ। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কেউ কেউ পেট্রোল বোমা ছুড়েছে, পুড়িয়ে দিয়েছে ব্যারিকেড। এছাড়া, চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হিসেবে পরিচিত দোকানপাটে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছে। এ খবর দিয়েছে দ্য টাইমস। খবরে বলা হয়, হংকংয়ে এই সরকার-বিরোধী বিক্ষোভের সূত্রপাত জুন মাসে। অপরাধী সন্দেহে কোনো ব্যক্তিকে হংকং থেকে চীনের মূল ভূখণ্ডে প্রত্যর্পণ করা বিষয়ক একটি বিলের প্রস্তাব দিয়েছিল হংকং সরকার। এই বিল প্রত্যাহারের দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছিল ১০ লাখেরও বেশি মানুষ। এরপর থেকে অবিরত চলছে এই বিক্ষোভ। বিক্ষোভের মুখে বিলটি প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয় সরকার। তবে ততদিনে আরো বেশকিছু দাবি যোগ করে বিক্ষোভকারীরা। সেগুলো পূরণ করতে সরকার অস্বীকৃতি জানালে চলতে থাকে বিক্ষোভ। এদিকে, সময় যত গড়িয়েছে ততই সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এই বিক্ষোভে।
পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা বেড়েই চলেছে। বিক্ষোভটিকে নেতিবাচক হিসেবে দেখছে চীন। একাধিকবার বিক্ষোভটির বিপক্ষে বক্তব্য দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রসঙ্গত, সাবেক বৃটিশ কলোনি হংকং গত শতকের শেষ দশকে চীনের সঙ্গে যুক্ত হয়। তবে ‘এক দেশ, দুই নীতি’ পদ্ধতির আওতায় বেশ খানিকটা স্বায়ত্ত্বশাসন ভোগ করে অঞ্চলটি। তবে সমালোচকরা অভিযোগ করেছেন, দেশটির স্বায়ত্তশাসনে চীনের প্রভাব সমপ্রতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা বেড়েই চলেছে। বিক্ষোভটিকে নেতিবাচক হিসেবে দেখছে চীন। একাধিকবার বিক্ষোভটির বিপক্ষে বক্তব্য দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রসঙ্গত, সাবেক বৃটিশ কলোনি হংকং গত শতকের শেষ দশকে চীনের সঙ্গে যুক্ত হয়। তবে ‘এক দেশ, দুই নীতি’ পদ্ধতির আওতায় বেশ খানিকটা স্বায়ত্ত্বশাসন ভোগ করে অঞ্চলটি। তবে সমালোচকরা অভিযোগ করেছেন, দেশটির স্বায়ত্তশাসনে চীনের প্রভাব সমপ্রতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।