এক্সক্লুসিভ
খুলনার রেলস্টেশন মাস্টার মানিক সাহার সম্পত্তির অনুসন্ধানে দুদক
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
১৮ অক্টোবর ২০১৯, শুক্রবার, ৭:৪৩ পূর্বাহ্ন
খুলনা আধুনিক রেলস্টেশনের মাস্টার মানিক চন্দ্র সাহা। তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে রয়েছে কোটি কোটি টাকার এফডিআর। পাশাপাশি খুলনা, যশোর ও নড়াইল জেলায় জমি ও বাড়িসহ ঢাকায় আছে বিলাসবহুল ভাড়া করা ফ্ল্যাট। এসব সম্পত্তির বেশির ভাগই তার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ের নামে করেছেন স্টেশন মাস্টার। এ ধরনের তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
জানা যায়, স্টেশন মাস্টারের একটি ডুপ্লেক্স বাড়িসহ ৩টি বাড়ি, সাড়ে ৭ কোটি টাকার তিনটি ব্যাংকে পৃথক এফডিআরসহ মাসিক ডিপিএস, একটি ফ্লাট এবং ১৭ একর জমি রয়েছে বলে তথ্য মেলে চলতি বছরের জুন মাসে। পরবর্তীতে বিষয়টি আমলে নিয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে। খুলনার একজন উপ-সহকারী পরিচালক এই অভিযোগগুলো তদন্ত করছেন।
আরো জানা যায়, স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সাহার অভিযোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, আয়ের সাথে সঙ্গতিহীন তার নিজ গ্রাম নড়াইল জেলায় দশ একর জমির ওপর চারতলা ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণ, খুলনার দৌলতপুর ও মুহসিন মোড়ে ২ কোটি টাকা মূল্যের ৭ একর জমি ক্রয়, সিটি ব্যাংকে তার স্ত্রীর নামে ৪ কোটি টাকা এফডিআর, নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় তার সন্তানদের নামে আড়াই কোটি টাকা মূল্যের দুই হাজার স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাট ক্রয়, ২০১৭ সালে তার স্ত্রীর নামে খুলনার মৌলভীপাড়ায় আড়াই কোটি টাকা মূল্যের বাড়ি ক্রয় করা হয়, যার ঠিকানা ১৪৩/৩। আরো অভিযোগ পাওয়া যায়, ২০১৫ সালে যশোরের বেজপাড়া এলাকায় তার স্ত্রীর নামে ৭৩/৪ ঠিকানায় তিনতলা বাড়ি ক্রয় করেন। পাশাপাশি রাজধানীর ধানমণ্ডি শাখার ওয়ান ব্যাংকে আড়াই কোটি টাকার এফডিআরও আছে স্ত্রীর নামে। শুধু স্ত্রীই নয় তার সন্তানদের নামে যশোরের শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকে ১ কোটি টাকার এফডিআরসহ প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের ডিপিএস আছে। এমনকি ঢাকার শেরে বাংলা রোডে নিজ স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা সন্তানের জন্য একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করা আছে। যার মাসিক ভাড়া ৬৫ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে স্টেশন মাস্টারের এ সকল সম্পদের বিষয়ে দুদক বিভিন্ন দপ্তরে অনুসন্ধান শুরু করেছে। খুলনা রেল স্টেশনের মাস্টার মানিক চন্দ্র সাহা বলেন, খুলনা রেল স্টেশনের কয়েকজন ব্লাকার ও একটি কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে এমন প্রচারণা করছেন। তার মেয়ের অনেক আগেই বিয়ে হয়ে গেছে এবং ছেলে লেখাপড়া করেন। তার স্ত্রী, ছেলে এবং মেয়ের নামে কোন ব্যাংক ব্যালেন্স নেই। এমনকি তাদের নামে কোনো সম্পদও নেই। শুধুমাত্র একটি টিনের ঘর আছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক নীল কমল পাল জানান, খুলনা আধুনিক রেল স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সাহার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আছে। সেগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
জানা যায়, স্টেশন মাস্টারের একটি ডুপ্লেক্স বাড়িসহ ৩টি বাড়ি, সাড়ে ৭ কোটি টাকার তিনটি ব্যাংকে পৃথক এফডিআরসহ মাসিক ডিপিএস, একটি ফ্লাট এবং ১৭ একর জমি রয়েছে বলে তথ্য মেলে চলতি বছরের জুন মাসে। পরবর্তীতে বিষয়টি আমলে নিয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে। খুলনার একজন উপ-সহকারী পরিচালক এই অভিযোগগুলো তদন্ত করছেন।
আরো জানা যায়, স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সাহার অভিযোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, আয়ের সাথে সঙ্গতিহীন তার নিজ গ্রাম নড়াইল জেলায় দশ একর জমির ওপর চারতলা ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণ, খুলনার দৌলতপুর ও মুহসিন মোড়ে ২ কোটি টাকা মূল্যের ৭ একর জমি ক্রয়, সিটি ব্যাংকে তার স্ত্রীর নামে ৪ কোটি টাকা এফডিআর, নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় তার সন্তানদের নামে আড়াই কোটি টাকা মূল্যের দুই হাজার স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাট ক্রয়, ২০১৭ সালে তার স্ত্রীর নামে খুলনার মৌলভীপাড়ায় আড়াই কোটি টাকা মূল্যের বাড়ি ক্রয় করা হয়, যার ঠিকানা ১৪৩/৩। আরো অভিযোগ পাওয়া যায়, ২০১৫ সালে যশোরের বেজপাড়া এলাকায় তার স্ত্রীর নামে ৭৩/৪ ঠিকানায় তিনতলা বাড়ি ক্রয় করেন। পাশাপাশি রাজধানীর ধানমণ্ডি শাখার ওয়ান ব্যাংকে আড়াই কোটি টাকার এফডিআরও আছে স্ত্রীর নামে। শুধু স্ত্রীই নয় তার সন্তানদের নামে যশোরের শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকে ১ কোটি টাকার এফডিআরসহ প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের ডিপিএস আছে। এমনকি ঢাকার শেরে বাংলা রোডে নিজ স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা সন্তানের জন্য একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করা আছে। যার মাসিক ভাড়া ৬৫ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে স্টেশন মাস্টারের এ সকল সম্পদের বিষয়ে দুদক বিভিন্ন দপ্তরে অনুসন্ধান শুরু করেছে। খুলনা রেল স্টেশনের মাস্টার মানিক চন্দ্র সাহা বলেন, খুলনা রেল স্টেশনের কয়েকজন ব্লাকার ও একটি কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে এমন প্রচারণা করছেন। তার মেয়ের অনেক আগেই বিয়ে হয়ে গেছে এবং ছেলে লেখাপড়া করেন। তার স্ত্রী, ছেলে এবং মেয়ের নামে কোন ব্যাংক ব্যালেন্স নেই। এমনকি তাদের নামে কোনো সম্পদও নেই। শুধুমাত্র একটি টিনের ঘর আছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক নীল কমল পাল জানান, খুলনা আধুনিক রেল স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সাহার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আছে। সেগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।