বাংলারজমিন
হাতিবান্ধায় টাকা দিয়েও বিদ্যুৎ পাননি ৩ শতাধিক গ্রাহক
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বুধবার, ৭:৪৬ পূর্বাহ্ন
বিদ্যুতের পিলার আছে কিন্তু নেই তার। পিলার দেখিয়ে লালমনিরহাটের হাতিবান্ধার জোড়াপুকুরে অবৈধ বাণিজ্য করছে বিদ্যুৎ অফিসের যোগসাজশে দালালরা। হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল পরিমাণের টাকা। ৩ বছর ধরে বিদ্যুৎ না পেয়ে ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীরা। হাতিবান্ধার জোড়াপুকুর গ্রামে অধিবাসীরা আড়াই লক্ষাধিক টাকা নিয়েও বিদ্যুৎ সংযোগ ৩ বছর ধরে নেই বিদ্যুৎ। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দালালপাড়া গ্রামের বিদ্যুৎ সংযোগের কথা বলে ৩ শতাধিক পরিবারের কাছ থেকে একটি চক্র টাকা নিয়েও এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করেনি। ফলে ওই গ্রামের মানুষ বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। বিদ্যুতের দাবিতে চলছে বিক্ষোভ ও আন্দোলন। সরজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় কৃষিকাজে পানির ব্যবহার, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাসহ দৈনন্দিন নানাকাজে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের দালালপাড়া গ্রামের মানুষদের। এখন থেকে তিন বছর আগে সংযোগের আশায় বিদ্যুৎ অফিসের কর্মচারী ও ঠিকাদারের কাছে এলাকাবাসী আবুল ফজল, মোহসিন আলী, সাবেক ইউপি সদস্য রফিুকুল মেম্বার, মো. মকবুল হোসেন চাঁদা সংগ্রহ করে ২ লাখ ৪২ হাজার টাকা দেয়। সে সময় টাকা নিয়ে গ্রামটিতে বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন করে মাত্র। এদিকে বর্তমানে তিন বছর পার হয়ে গেলেও তার লাগানো ও দেয়া হয়নি সংযোগ। এলাকার আবুল ফজল, মাহসিন আলী, সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল মেম্বার, মো. মকবুল হোসেন গ্রামবাসীর কাছ থেকে বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েও বিদ্যুৎ দেয়ার ব্যবস্থা করেনি। এতে গ্রামবাসী প্রতিবাদ করলে তাদের হুমকি দিচ্ছে। এই চার জনের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে এলাকাবাসী। দালালপাড়া এলাকার মতিয়ার রহমান, আব্দুর রশিদ, আশরাফ আলী জানান, আমরা বিদ্যুতের জন্য টাকা দিয়েছি। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও আমরা বিদ্যুৎ থেকে বঞ্চিত।
বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় এলাকাবাসী মহাবিপাকে পড়েছেন। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জীবন। গরমজনিত নানা রোগব্যধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাছাড়াও কৃষিকাজে স্যালো মেশিনে পানি উঠিয়ে চাষাবাদ করছেন। ফলে খরচ পড়ছে বেশি। বিদ্যুতের দাবিতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন। নেসকো লিমিটেড হাতীবান্ধা উপজেলার নির্বাহী প্রকৌশলী অনিত কুমার রায় জানান, টাকা নেয়ার সঙ্গে বিদ্যুতের কোনো লোকজন জড়িত নয়। তবে গ্রামবাসীর কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা উত্তোলন করেছে দালালরা বলে অভিযোগ পেয়েছে। হাতিবান্ধা ইউএনও জানান, তিনিও লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তবে আগামী ৬ মাসের মধ্যে যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ নেই সেগুলোতে সংযোগ স্থাপন করা হবে বলেও জানান তিনি। ওদিকে জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর জানান, বিদ্যুৎ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে কেউ টাকা নিলে বা কোনো অনিয়ম দুনীতির আশ্রয় নিলে নেয়া হবে ব্যবস্থা।
বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় এলাকাবাসী মহাবিপাকে পড়েছেন। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জীবন। গরমজনিত নানা রোগব্যধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাছাড়াও কৃষিকাজে স্যালো মেশিনে পানি উঠিয়ে চাষাবাদ করছেন। ফলে খরচ পড়ছে বেশি। বিদ্যুতের দাবিতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন। নেসকো লিমিটেড হাতীবান্ধা উপজেলার নির্বাহী প্রকৌশলী অনিত কুমার রায় জানান, টাকা নেয়ার সঙ্গে বিদ্যুতের কোনো লোকজন জড়িত নয়। তবে গ্রামবাসীর কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা উত্তোলন করেছে দালালরা বলে অভিযোগ পেয়েছে। হাতিবান্ধা ইউএনও জানান, তিনিও লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তবে আগামী ৬ মাসের মধ্যে যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ নেই সেগুলোতে সংযোগ স্থাপন করা হবে বলেও জানান তিনি। ওদিকে জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর জানান, বিদ্যুৎ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে কেউ টাকা নিলে বা কোনো অনিয়ম দুনীতির আশ্রয় নিলে নেয়া হবে ব্যবস্থা।