এক্সক্লুসিভ
হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল
কারা হেফাজতে আইনজীবী পলাশের মৃত্যু, ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট
স্টাফ রিপোর্টার
২২ আগস্ট ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৮:১৬ পূর্বাহ্ন
পঞ্চগড় জেলা কারা হেফাজতে আইনজীবী পলাশ কুমার রায়ের মৃত্যুর ঘটনা ও কারাগারের অব্যবস্থাপনা বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৫ই অক্টোবরের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব ও আইজি প্রিজনকে এই ব্যাখ্যা দিতে হবে। গতকাল বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মোহাম্মদ বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদনে পঞ্চগড়ে কারা হেফাজতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া আইনজীবী পলাশ রায় (৩৬) নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেন বলে উল্লেখ করা হয়।
রিটকারী আইনজীবী সুমন সাংবাদিকদের জানান, হাইকোর্টের নির্দেশে বিচারিক কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেটের তদন্তে আইনজীবী পলাশ কুমার রায়ের মৃত্যু আত্মহত্যা বলে তথ্য উঠে এসেছে। তিনি জানান, প্রতিবেদনে পলাশ কুমার রায় আত্মহত্যা করেছেন, এমনটি বলা হয়েছে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা লেগেছে তার ট্রিটমেন্ট (চিকিৎসা) করতে। ট্রিটমেন্টের জন্য এই কারাগার থেকে ওই কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। শুধু প্রক্রিয়া ও প্রসিডিউর মেন্টেইন করতে, দাপ্তরিক কার্যক্রম শেষ করতে ২৪ ঘণ্টা লেগেছে। আদালত বলেছেন যে, যদি ২৪ ঘণ্টার কমে তার চিকিৎসা শুরু করা যেত, আমরা জানি না সে বাঁচত কি-না, কিন্তু উচিত ছিল আগুনে পোড়ার সঙ্গে সঙ্গে যে জায়গায় চিকিৎসা করানোর দরকার ছিল, আগে চিকিৎসার পর দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন করা। তিনি বলেন, ওই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে স্বরাষ্ট সচিব ও আইজি প্রিজন্সকে এ প্রতিবেদনের রিপ্লাই দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পঞ্চগড় আদালতের ভেতরে কোনো সিসি ক্যামেরা নাই, ভেতরে ঢোকার জন্য কোনো আর্চওয়ে নাই, কারা ক্যান্টিনে গ্যাস ম্যাচ দিয়ে অবাধে আগুন ধরানো হয় এবং ধূমপান চলে। চাল-ডালের গাড়ি কারাগারের ভেতরে ঢোকার সময় হুক ঢুকিয়ে দিয়ে তা পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া সেখানে ভারপ্রাপ্ত জেলার দায়িত্ব পালন করেন।
পঞ্চগড় কারা হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক নেই। একজন ডিপ্লোমা নার্স সার্বক্ষণিক থাকেন। এ ছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি সার্জিক্যাল বিভাগের চিকিৎসকের সরঞ্জামের সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছেন। তিনি চাইলেই যে কোনো ছুরি বা কাঁচি অন্যদের হাতে তুলে দিতে পারেন।
এ সময় প্রতিবেদনে তথ্যের প্রসঙ্গ টেনে আদালত বলেন, কারাগারে চিকিৎসা ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’ এর অবস্থা হয়েছে আর-কি! যে ডাক্তার দেখানোর আগে ফরম পূরণ করতে হবে। একজন মানুষ দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর তাকে চিকিৎসা দেয়া দরকার, দাপ্তরিক কাজের জন্য কারও চিকিৎসা আটকে থাকা উচিত নয়।
এর আগে ৬ই মে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইজি প্রিজন, পঞ্চগড় কারা কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছিল। গত ৫ই মে, পঞ্চগড় জেলা কারাগারে থাকা অবস্থায় আইনজীবী পলাশ কুমার রায়কে পরিকল্পিতভাবে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তাই এ বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন তিনি।
এর আগে, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদনে পঞ্চগড়ে কারা হেফাজতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া আইনজীবী পলাশ রায় (৩৬) নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেন বলে উল্লেখ করা হয়।
রিটকারী আইনজীবী সুমন সাংবাদিকদের জানান, হাইকোর্টের নির্দেশে বিচারিক কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেটের তদন্তে আইনজীবী পলাশ কুমার রায়ের মৃত্যু আত্মহত্যা বলে তথ্য উঠে এসেছে। তিনি জানান, প্রতিবেদনে পলাশ কুমার রায় আত্মহত্যা করেছেন, এমনটি বলা হয়েছে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা লেগেছে তার ট্রিটমেন্ট (চিকিৎসা) করতে। ট্রিটমেন্টের জন্য এই কারাগার থেকে ওই কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। শুধু প্রক্রিয়া ও প্রসিডিউর মেন্টেইন করতে, দাপ্তরিক কার্যক্রম শেষ করতে ২৪ ঘণ্টা লেগেছে। আদালত বলেছেন যে, যদি ২৪ ঘণ্টার কমে তার চিকিৎসা শুরু করা যেত, আমরা জানি না সে বাঁচত কি-না, কিন্তু উচিত ছিল আগুনে পোড়ার সঙ্গে সঙ্গে যে জায়গায় চিকিৎসা করানোর দরকার ছিল, আগে চিকিৎসার পর দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন করা। তিনি বলেন, ওই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে স্বরাষ্ট সচিব ও আইজি প্রিজন্সকে এ প্রতিবেদনের রিপ্লাই দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পঞ্চগড় আদালতের ভেতরে কোনো সিসি ক্যামেরা নাই, ভেতরে ঢোকার জন্য কোনো আর্চওয়ে নাই, কারা ক্যান্টিনে গ্যাস ম্যাচ দিয়ে অবাধে আগুন ধরানো হয় এবং ধূমপান চলে। চাল-ডালের গাড়ি কারাগারের ভেতরে ঢোকার সময় হুক ঢুকিয়ে দিয়ে তা পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া সেখানে ভারপ্রাপ্ত জেলার দায়িত্ব পালন করেন।
পঞ্চগড় কারা হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক নেই। একজন ডিপ্লোমা নার্স সার্বক্ষণিক থাকেন। এ ছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি সার্জিক্যাল বিভাগের চিকিৎসকের সরঞ্জামের সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছেন। তিনি চাইলেই যে কোনো ছুরি বা কাঁচি অন্যদের হাতে তুলে দিতে পারেন।
এ সময় প্রতিবেদনে তথ্যের প্রসঙ্গ টেনে আদালত বলেন, কারাগারে চিকিৎসা ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’ এর অবস্থা হয়েছে আর-কি! যে ডাক্তার দেখানোর আগে ফরম পূরণ করতে হবে। একজন মানুষ দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর তাকে চিকিৎসা দেয়া দরকার, দাপ্তরিক কাজের জন্য কারও চিকিৎসা আটকে থাকা উচিত নয়।
এর আগে ৬ই মে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন। রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইজি প্রিজন, পঞ্চগড় কারা কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছিল। গত ৫ই মে, পঞ্চগড় জেলা কারাগারে থাকা অবস্থায় আইনজীবী পলাশ কুমার রায়কে পরিকল্পিতভাবে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তাই এ বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন তিনি।