দেশ বিদেশ
শেরপুরে মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণ, দম্পতি গ্রেপ্তার
শেরপুর প্রতিনিধি
২১ আগস্ট ২০১৯, বুধবার, ৯:০৮ পূর্বাহ্ন
শেরপুরে চতুর্থ শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে (১১) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে। এরা হচ্ছে- শহরের গৃদানারায়ণপুর এলাকার সোহানুর রহমান (৩০) ও তার স্ত্রী মৌসুমি আক্তার (২৮)। তবে ঘটনার প্রধান আসামি ধর্ষক পলাশ পোদ্দার (৩৫) পলাতক রয়েছে। পলাতক পলাশের বাড়ি জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার চাপারকোনা গ্রামে। এদিকে গতকাল দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালে ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। একই দিন বিকালে গ্রেপ্তারকৃত দম্পতিকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জানা যায়, পিতৃহীন ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর মা শেরপুর শহরের স্থানীয় একটি ক্লিনিকে সেবিকার কাজ করেন। ছাত্রীটি তার মার সঙ্গে শহরের একটি ভাড়া বাসায় থাকে। একই বাসার দোতলায় বসবাস করে সোহানুর রহমান ও মৌসুমি আক্তার দম্পতি। তারা বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত। গত রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছাত্রীর মা কাজের উদ্দেশ্যে কর্মস্থলে গেলে সোহানুর ও মৌসুমির সহযোগিতায় পলাশ পোদ্দার নামে এক ব্যক্তি ছাত্রীর বাসায় প্রবেশ করে চাকুর ভয় দেখিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। ঘটনার পরপর পলাশ কৌশলে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই ৩ জনের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এসআই আনসার আলী বলেন, ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে এজাহারনামীয় ২ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পলাতক প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।