বাংলারজমিন
তিস্তায় বিলীন ২০ পরিবার
রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
২৬ জুন ২০১৯, বুধবার, ৮:৪২ পূর্বাহ্ন
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদীর করাল গ্রাসে চতুরা মৌজার কালীরমেলা এলাকায় ২০টি বসতবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে আরো শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাট-বাজার ও ফসলী জমি। গত ৩ দিনের ব্যবধানে উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চতুরা মৌজার কালীরমেলা এলাকায় সিদ্দিকুল ইসলাম (৩০), মোতালেব মিয়া (২৫), আমিনুর রহমান (৫০), আনোয়ার হোসেন (৪৫), আলফাজ উদ্দিন (৬৫), তোফাজ্জল হোসেন (৪০), জিন্নাত (৫০), রইমুদ্দিন (৪০), রহমত আলী (৫৫), সুকুমার রায় (৩০), নিবারণ রায় (৪৫), প্রদীপ রায় (৪০), নিবাস রায় (৩৫), উপেন চৌকিদার (৫০), বিনদ (৫০), সুবাস (৫০), বানেশ্বর (৪০), মানিক (৪৫), নরেন (৬০) কৃষ্ণ কুমার (৪৫), নবীন (৫০) এর বসতবাড়ী-বাগানসহ একটি মৎস্য খামার তিস্তার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে ওই গৃহহারা পরিবারগুলো বাঁধ রাস্তাসহ অন্যের জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে কালীরহাট বাজারটি, কালীরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ হংসধর, পাড়ামৌলা, তৈয়বখাঁ, ডাংরারহাট, গাবুর হেলান এলাকার শতাধিক পরিবার। ভাঙন আতঙ্কে চরম উৎকণ্ঠায় দিনযাপন করছেন তারা। এদিকে গতকাল খবর পেয়ে তিস্তা নদীভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন কুড়িগ্রাম-২ আসনের এমপি আলহাজ্ব পনির উদ্দিন আহমেদ, রাজারহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহ্রাওয়ার্দী বাপ্পি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো. মাহফুজার রহমান, উত্তরাঞ্চল রংপুরের প্রধান প্রকৌশলী যতি প্রসাদ ও কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলামসহ প্রমুখ। এ সময় তারা নদী ড্রেজিং করে ভাঙন রোধ করার আশ্বাস প্রদান করেছেন। বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তাইজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভাঙনের শিকার গৃহহারা পরিবারগুলোর জন্য সাহায্য চেয়ে প্রশাসনের নিকট আবেদন করা হয়েছে। এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহ. রাশেদুল হক প্রধান বলেন, বিদ্যানন্দে তিস্তার ভাঙন রোধকল্পে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসককে মহোদয়কে অবহিত করা হয়েছে। এই মুহূর্তে ভাঙন প্রতিরোধ করা না গেলে বিদ্যানন্দ ইউনিয়নটির মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে।