বাংলারজমিন
ঈদে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে থাকছে ২০টি ফেরি
রিপন আনসারী, মানিকগঞ্জ থেকে
২৫ মে ২০১৯, শনিবার, ৯:৪৫ পূর্বাহ্ন
ঈদ সামনে রেখে যানজট কমানো, ফেরি বাড়ানো, ঘাট মেরামত ও নাব্য সংকট নিরসনসহ নানা প্রস্তুতি চলছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষের যাতায়াতের প্রধান প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে। এ ছাড়া ঘাট এলাকায় যাত্রীদের নিরাপত্তায় কাজ করবে ৫ শতাধিক আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। ঈদের তিন দিন আগে বন্ধ থাকবে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার। ঈদ প্রস্তুতি সম্পর্কে সরজমিন পাটুরিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ রুটে ১৫টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। এ মুহূর্তে যানবাহনের চাপ তেমন নেই। যানবাহনের চাপ সামলাতে ঈদের আগে ১৫টি ফেরির সঙ্গে আরো পাঁচটি ফেরি সংযুক্ত হয়ে ২০টি ফেরি দিয়ে ঈদের ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হবে বলে জানান বিআইডাব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া পাটুরিয়ায় ৪টি ও দৌলতদিয়ায় ৬টি ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হবে। বর্তমানে নদীতে নাব্য সংকট না থাকলেও ড্রেজার দিয়ে ফেরি চলাচলে চ্যানেল ঠিক রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া যানজট কমাতে পাটুরিয়া ঘাট থেকে এক কিলোমিটার ওয়ান ওয়ে পদ্ধতি নেয়া হয়েছে। ছোট ও বড় গাড়ির জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ঘাট এলাকায়।
দেখা গেছে, স্বাভাবিক সময়ে পাটুরিয়া ঘাট দিয়ে প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চার হাজার যানবাহন পারাপার করা হয়। তবে ঈদের সময় চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুণ বেশি। যার কারণে পাটুরিয়া ঘাটে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যাত্রীরা ঘাট এলাকায় চরম ভোগান্তির শিকার হন। এ ছাড়া পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও কাজিরহাট নৌরুটে এবার ৩৩টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপারের ব্যবস্থা করেছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।
ঈদ প্রস্তুতি সম্পর্কে কথা হয় বিআইডাব্লিউটিসির আরিচা সেক্টরের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আজমত হোসেনের সঙ্গে তিনি বলেন, বরাবরের মতো এবারো ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের নির্বিঘ্নে পারাপারের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি আছে। বর্তমানে ফেরি আছে ১৫টি। এই সংখ্যা বাড়িয়ে ২০টি করা হবে। এর মধ্যে রো রো বড় ফেরি থাকবে ১১টি ও ৬টি থাকেবে ইউটিলিটি। এ ছাড়া পাটুরিয়ায় ৪টি ও দৌলতদিয়া প্রান্তে ৬টি ফেরি ঘাট প্রস্তুত রয়েছে। আশা করি ঈদে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে কোনো সমস্যার সৃষ্টি হবে না। মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস ঈদে ঘাট প্রস্তুতি সম্পর্কে বলেন, ফেরি লোড আন লোডে যেন কোনো সমস্যা না হয় সেদিকে এবার খেয়াল রাখা হবে। ঈদের আগে মূলত পাটুরিয়া ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেশি পড়ে। তাই পাটুরিয়া থেকে যানবাহন লোড নিয়ে ফেরিগুলো দৌলতদিয়া গিয়ে আবার যাতে দ্রুত ফিরে আসতে পারে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘাটগুলো যাতে কোনোভাবেই বন্ধ হয়ে না যায় সে ব্যাপারেও আমাদের দৃষ্টি থাকবে। ঘাট এলাকার রাস্তা যেন গর্ত কিংবা কোনো ধরনের সমস্যায় হয়ে বন্ধ না হয়ে যায় সে ব্যাপারে এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীন বলেন, ঈদে ঘরমুখো যাত্রী যাতে রাস্তা ঘাটে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হতে না হয় সেজন্য ৫শ’ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত রাখা হয়েছে। তারা যাত্রীদের সেবা দেয়ার পাশাপাশি টহলে থাকবেন। এদিকে, পাটুরিয়া ঘাটের লঞ্চ সুপারভাইজার পান্না লাল বলেন, আগে যেভাবে লঞ্চ চলাচলে প্রস্তুতি ছিল এবার সেই একই রকম প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি। যাতে নিরাপদ ও সুন্দরভাবে যাত্রীরা লঞ্চ পারাপার হতে পারেন। এ জন্য পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও কাজিরহাট নৌরুটে ৩৩টি লঞ্চ রয়েছে।
দেখা গেছে, স্বাভাবিক সময়ে পাটুরিয়া ঘাট দিয়ে প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চার হাজার যানবাহন পারাপার করা হয়। তবে ঈদের সময় চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুণ বেশি। যার কারণে পাটুরিয়া ঘাটে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যাত্রীরা ঘাট এলাকায় চরম ভোগান্তির শিকার হন। এ ছাড়া পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও কাজিরহাট নৌরুটে এবার ৩৩টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপারের ব্যবস্থা করেছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।
ঈদ প্রস্তুতি সম্পর্কে কথা হয় বিআইডাব্লিউটিসির আরিচা সেক্টরের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আজমত হোসেনের সঙ্গে তিনি বলেন, বরাবরের মতো এবারো ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের নির্বিঘ্নে পারাপারের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি আছে। বর্তমানে ফেরি আছে ১৫টি। এই সংখ্যা বাড়িয়ে ২০টি করা হবে। এর মধ্যে রো রো বড় ফেরি থাকবে ১১টি ও ৬টি থাকেবে ইউটিলিটি। এ ছাড়া পাটুরিয়ায় ৪টি ও দৌলতদিয়া প্রান্তে ৬টি ফেরি ঘাট প্রস্তুত রয়েছে। আশা করি ঈদে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে কোনো সমস্যার সৃষ্টি হবে না। মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস ঈদে ঘাট প্রস্তুতি সম্পর্কে বলেন, ফেরি লোড আন লোডে যেন কোনো সমস্যা না হয় সেদিকে এবার খেয়াল রাখা হবে। ঈদের আগে মূলত পাটুরিয়া ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেশি পড়ে। তাই পাটুরিয়া থেকে যানবাহন লোড নিয়ে ফেরিগুলো দৌলতদিয়া গিয়ে আবার যাতে দ্রুত ফিরে আসতে পারে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘাটগুলো যাতে কোনোভাবেই বন্ধ হয়ে না যায় সে ব্যাপারেও আমাদের দৃষ্টি থাকবে। ঘাট এলাকার রাস্তা যেন গর্ত কিংবা কোনো ধরনের সমস্যায় হয়ে বন্ধ না হয়ে যায় সে ব্যাপারে এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীন বলেন, ঈদে ঘরমুখো যাত্রী যাতে রাস্তা ঘাটে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হতে না হয় সেজন্য ৫শ’ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত রাখা হয়েছে। তারা যাত্রীদের সেবা দেয়ার পাশাপাশি টহলে থাকবেন। এদিকে, পাটুরিয়া ঘাটের লঞ্চ সুপারভাইজার পান্না লাল বলেন, আগে যেভাবে লঞ্চ চলাচলে প্রস্তুতি ছিল এবার সেই একই রকম প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি। যাতে নিরাপদ ও সুন্দরভাবে যাত্রীরা লঞ্চ পারাপার হতে পারেন। এ জন্য পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও কাজিরহাট নৌরুটে ৩৩টি লঞ্চ রয়েছে।