ষোলো আনা
আত্মপ্রত্যয়ী সংগীতা খান
কামরুজ্জামান মিলু
২৬ এপ্রিল ২০১৯, শুক্রবার, ৮:৫৮ পূর্বাহ্ন
কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ১৯৮৯ সালে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সে। সেখানে চাকরি করেন ২০ বছর। চাকরি করা অবস্থায় যুক্ত হন রেস্তোরাঁ ব্যবসায়। বন্ধু সংগীতা আহমেদের সঙ্গে ‘টাইম আউট’ রেস্টুরেন্টের পার্টনার হন। নামের মধ্যে যেমন তাদের মিল তেমনি মনের মিলে রেস্তোরাঁ ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন অনেক দূর। বলছি নারী উদ্যোক্তা সংগীতা খানের কথা।
জন্ম তার ১৯৬১ সালে। তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের করাচিতে। আদি বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ। বাবা আনোয়ারুল হক। বাংলাদেশ বস্ত্রকল কর্পোরেশনের (বিটিএমসি) অর্থ পরিচালক (ফিন্যান্স ডিরেক্টর) ছিলেন তিনি। মা বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রয়াত কবি খালেদা এদিব চৌধুরী। তার বাবা ১৯৯৪ সালে এবং মা ২০০৮ সালে গত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জনপ্রশাসন বিভাগে ১৯৮৪ সালে স্নাতক ও ১৯৮৭ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন তিনি। তিনি নারী উদ্যোক্তা হিসেবে ‘ইয়েলো ইন্সপায়ারিং ফিমেল অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কারও পেয়েছেন। বর্তমানে বনানীতে তিনি তার ‘ডিভাইন বিউটি লাউঞ্জ’ নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
মূলত ২০০৫ সালে এখানে ব্যবসায়ী হিসেবে প্রথমে যুক্ত হন। এরপর ৭-৮ বছর আগে বনানীতে আসে ‘টাইম আউট’। এ ছাড়াও এই রেস্তোরাঁর শাখা ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে। সংগীতা খান বলেন, টাইম আউটে সংগীতা আহমেদ ছাড়াও আমার আরেকজন পার্টনার আছে। তার নাম সেমি। শুরুতে বেশ কষ্ট হয়েছিল আমার। বসে থাকতাম সারাদিন গ্রাহকের জন্য। এখন আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো চলছে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়াও ২০০৯ সাল থেকে আমি রিজেন্সি ট্রাভেলস’র ডিরেক্টর পদে আছি। আর বর্তমানে বনানীর ডিভাইন বিউটি লাউঞ্জে সময় দিচ্ছি বেশি। ডিভাইনের পরিবেশটা বেশ আরামদায়ক। এই বিউটি লাউঞ্জের সেবা এবং পরিষ্কার পরিছন্নতার জন্য সবাই বেশ প্রশংসা করে। সঙ্গে এর পার্টনার হিসেবে আছেন বাপন রহমান। তিনি ৩০ বছর ধরে মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। আমরা আরো চেষ্টায় আছি কি করে আরো উন্নতি করা যায়।
সংগীতা খান বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ১৯৭৯ সালে। প্রকৌশলী এফআর খানকে বিয়ে করেন তিনি। এফআর খান দেশের আবাসন শিল্পের একজন প্রথিতযশা ব্যক্তিত্ব। তিনি আবাসন প্রতিষ্ঠান বিল্ডিং টেকনোলজি অ্যান্ড আইডিয়াস’র (বিটিআই)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তাদের দুই ছেলেমেয়ে। ২০১২ সালে সংগীতা খান যুক্ত হন বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র (বিডাব্লিউসিসিআই) সঙ্গে। বর্তমানে তিনি সংগঠনটির ট্রেজারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়াও তিনি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র (এফবিসিসিআই) সাধারণ পর্ষদ সদস্য (জেনারেল বডি মেম্বার), ইন্ডিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র (আইবিসিসিআই) পরিচালক ও জার্মান বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র (জিবিসিসিআই) সদস্য।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সংগীতা খান বলেন, সামনে ছেলেদের জন্য একটি সেলুন দেয়ার ইচ্ছা রয়েছে। আশা করছি হেয়ার স্পেশালিস্ট জাভেদ হাবিবও থাকবেন এই সেলুনে। জাভেদ হাবিবের সঙ্গে এ নিয়ে বেশ কয়েকবার মিটিংও হয়েছে আমার।