বিনোদন
মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণ
নিজস্ব একটা স্টাইল দাঁড় করিয়েছিলেন মান্না
স্টাফ রিপোর্টার
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রবিবার, ৮:২৬ পূর্বাহ্ন
ক্যারিয়ারে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ২০০৮ সালের এই দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন চিত্রনায়ক মান্না। জীবদ্দশায় অনেক সুপারহিট চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন তিনি। আজ নায়ক মান্নার ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী। মরহুম মান্নার সহধর্মিণী শেলী মান্না জানান, এ উপলক্ষে আজ বাদ আসর উত্তরায় আমাদের বাসভবন ‘কৃতাঞ্জলী’তে স্মরণসভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। স্মরণসভায় চলচ্চিত্র অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা স্মৃতিচারণ করবেন। এছাড়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির উদ্যোগে বাদ আসর এফডিসিতে স্মরণসভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হবে। উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে জন্ম নেয়া নায়ক মান্নার আসল নাম এস এম আসলাম তালুকদার। ছোটবেলা থেকে সিনেমার প্রতি তার ছিল প্রচণ্ড ঝোঁক। কলেজে পড়ার সময় প্রচুর সিনেমা দেখতেন। নায়ক রাজ্জাকের সিনেমা হলে তো কথাই নেই। স্বপ্ন দেখতেন তিনিও অভিনয় করবেন। একদিন বলাকা প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা দেখতে গিয়ে চোখে পড়ে ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ বিজ্ঞাপন। তারপর টিভি আর পত্রিকায় দেখে বন্ধুদের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি ইন্টারভিউ দেন। সুযোগও পেয়ে যান তিনি। ১৯৮৪ সালে ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ কার্যক্রমের মাধ্যমে চলচ্চিত্র অঙ্গনে পা রাখেন মান্না। টাঙ্গাইলের এস এম আসলাম তালুকদার নামের সেই ছেলেটি হয়তো তখনো জানতেন না যে তিনিই একদিন হয়ে উঠবেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের নির্ভরযোগ্য জনপ্রিয় নায়ক। অভিনয়, সংলাপ বলার ধরন দিয়ে নিজস্ব একটা স্টাইল দাঁড় করিয়েছিলেন মান্না। তার অভিনীত এমন কিছু ছবি আছে যে কারণে তিনি চিরদিনের জন্য দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। মান্না অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি হচ্ছে- ‘সিপাহী’, ‘যন্ত্রণা’, ‘পাগলী’, ‘ত্রাস’, ‘লাল বাদশা’, ‘আম্মাজান’, ‘আব্বাজান’, ‘রুটি’, ‘অন্ধ আইন’, ‘স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘অবুঝ শিশু’, ‘মায়ের মর্যাদা’, ‘হৃদয় থেকে পাওয়া’ ইত্যাদি।