শেষের পাতা

নি র্বা চ নী হা ল চা ল, কিশোরগঞ্জ ৫

দুই জোটেই মনোনয়ন লড়াই

আশরাফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ থেকে

১৩ অক্টোবর ২০১৮, শনিবার, ১০:২০ পূর্বাহ্ন

বাজিতপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা এবং নিকলী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে কিশোরগঞ্জ-৫ নির্বাচনী এলাকা। হাওর-সমতলের এ আসনটি ঐতিহ্যগতভাবে আওয়ামীবিরোধী দুর্গ হিসেবে পরিচিত ।
১৯৭৩ সালের ৭ই মার্চ অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনজুর আহমদ বাচ্চুর পর ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মো. আফজাল হোসেনের হাত ধরে দ্বিতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগ এ আসনটি লাভ করে। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় মো. আফজাল হোসেন দ্বিতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আগামী নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু এবার এমপি আফজালের মনোনয়ন ঠেকাতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগের অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। তাদের মধ্যে ছয় মনোনয়ন প্রত্যাশী এক মঞ্চে সভা-সমাবেশের মাধ্যমে প্রার্থী বদলের ডাক দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের এই ছয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, সাবেক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, বাজিতপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও এ আসনে আওয়ামী লীগের দুইবারের মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মো. আলাউল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বাজিতপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শেখ নূরুন্নবী বাদল, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অজয় কর খোকন, জেলা কৃষকলীগ সহসভাপতি ফারুক আহম্মেদ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ব্যারিস্টার মো. রফিকুল ইসলাম মিল্টন এবং ব্যবসায়ী ও মুক্তিযোদ্ধা আবুল মনসুর বাদল। তাঁরা সংসদ সদস্য মো. আফজাল হোসেনের ‘অযোগ্যতার কারণে’ বিগত সাড়ে ৯ বছরে এই আসনের দুই উপজেলার মানুষ উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছেন এমনটা দাবি করে শিক্ষিত এবং নেতৃত্ব গুণাবলী সম্পন্ন পরীক্ষিত নেতাদের কাউকে মনোনয়ন দিতে দলীয় সভানেত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন। এক মঞ্চের এই ছয় মনোনয়ন প্রত্যাশীর বাইরে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য শহীদুল্লাহ মুহাম্মদ শাহ্‌ নূর এই আসনের দুই উপজেলায় গণসংযোগ ও পথসভার মাধ্যমে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।

অন্যদিকে বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত এ আসনটি ২০০৮ সালের নির্বাচনে হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় এটি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে বিএনপিতে। পাঁচটি সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিএনপি প্রার্থীরা জয়লাভ করেন। এর মধ্যে ’৭৯ সালের ৮ই জানুয়ারি, ’৯১ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি ও ’৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি এই তিনটি নির্বাচনে প্রয়াত আমির উদ্দিন আহমেদ এবং ’৯৬ সালের ১২ই জুন এবং ২০০১ সালের ১লা অক্টোবর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রয়াত মজিবুর রহমান মঞ্জু বিজয়ী হন। এ ছাড়া ’৮৬ সালের নির্বাচনে মুসলিম লীগের খালেকুজ্জামান খান হুমায়ুন এবং ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে জাসদের খন্দকার মফিজুর রহমান রোকন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাই আগামী নির্বাচনে আসনটি পুনরুদ্ধার করাই দলটির জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। আর এ লক্ষ্য নিয়ে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরাও ইতিমধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।

বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপির সহসভাপতি মুহাম্মদ সালেহুজ্জামান খান রুনু, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল, বাজিতপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র এহেসান কুফিয়া, এ আসনের তিন বারের সংসদ সদস্য প্রয়াত আমির উদ্দিন আহমেদের ছেলে জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট বদরুল মোমেন মিঠু, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শফিকুল আলম রাজন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ নাসির, নিকলী উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শিল্পপতি হাজী মো. মাসুক মিয়া, ইটালি প্রবাসী সাবেক ছাত্রনেতা বর্তমানে জেলা বিএনপির সদস্য বদরুল আলম শিপু এবং এ আসেন টানা দু’বারের সংসদ সদস্য প্রয়াত মজিবুর রহমান মঞ্জুর ছেলে মাহমুদুর রহমান উজ্জ্বল মাঠে রয়েছেন। তবে এখানে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর মধ্যে থেকেও মনোনয়ন দাবি করা হচ্ছে। মনোনয়ন প্রত্যাশীর এই তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি এএইচএম কামরুজ্জামান খান খসরু, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা ও জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মো. রমজান আলী।

আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতে, বিগত প্রায় সাড়ে ৯ বছরে সংসদ সদস্য আফজাল হোসেনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের দূরত্ব দিন দিন বেড়েছে। এ সময়ে আশানুরূপ উন্নয়ন থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন এলাকাবাসী। এছাড়াও নানা ইস্যুকে সামনে নিয়ে সংসদ সদস্য আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে এক জোট হয়ে মাঠে নেমেছেন ছয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। তাদের বক্তব্য, ‘সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন একজন ব্যবসায়ী। তিনি এলাকায় সময় দেন না। জনবিচ্ছিন্ন এই সংসদ সদস্য শুরু থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে নিজের একটি বলয় তৈরি করেছেন। দীর্ঘদিনেও নিকলী-বাজিতপুরে আওয়ামী লীগের কোনো কমিটি করতে পারেননি তিনি।’ আগামী সংসদ নির্বাচনে আফজাল হোসেনকে আবারও মনোনয়ন দেয়া হলে দলের দুই-তৃতীয়াংশ নেতাকর্মী মুখ ফিরিয়ে নিবে বলেও মন্তব্য করেছেন তারা। অন্যদিকে এমপিবিরোধী জোটের বাইরে থেকে গণসংযোগ ও পথসভায় সরব রয়েছেন তরুণ রাজনীতিক শহীদুল্লাহ মুহাম্মদ শাহ্‌ নূর। একজন শিক্ষিত, মার্জিত ও সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে ইতিমধ্যে এলাকায় সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি।
এদিকে সংসদ সদস্য মো. আফজাল হোসেন তাঁর বিরুদ্ধে আনা এমপিবিরোধী জোটের নেতাদের বক্তব্যকে অবান্তর ও পাগলের প্রলাপ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘এ সরকারের ১০ বছরে নিকলী-বাজিতপুরে যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সাধিত হয়েছে, তা বিগত ৫০ বছরেও হয়নি। রাস্তাঘাট, কৃষি, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, শিক্ষাসহ প্রায় সবক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এ ছাড়া আমি কোনো ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতিও করিনি। দুই উপজেলার মানুষ ও দলের নেতাকর্মী সবাই আমার সঙ্গে রয়েছে। তাই আমার মনোনয়ন পরিবর্তন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমার মনোনয়ন থাকবেই।’ তিনি তাঁর বিরুদ্ধে জোটকে ‘স্বার্থের জোট’ বলেও মন্তব্য করেন।

অন্যদিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে তদানিন্তন ময়মনসিংহ-৮ (বাজিতপুর-নিকলী, ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম, ভৈরব-কুলিয়ারচর) নির্বাচনী এলাকার পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য মরহুম খোরশেদ আহম্মেদ খানের পুত্র ও সাবেক গভর্নর আবদুল মোনায়েম খানের ভ্রাতুষ্পুত্র মুহাম্মদ সালেহুজ্জামান খান রুনু নির্বাচনী এলাকায় যথেষ্ট তৎপর রয়েছেন। দলীয় মনোনয়ন প্রসঙ্গে মুহাম্মদ সালেহুজ্জামান খান রুনু বলেন, জনগণের কাতারে থেকে তাদের সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করার মানসিকতা থেকেই রাজনীতিতে এসেছি এবং সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি। দলের দুঃসময়েও সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করেছি। এখন জনমানুষের প্রতিনিধি হিসেবে তাদের জন্য কাজ করতে চাই।

এ আসনের বিএনপির অন্যতম মনোনয়ন প্রত্যাশী শেখ মুজিবুর রহমান ইকবালকে ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি থেকে প্রথমে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ১৯৯৬ সালের ১২ই জুনের নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান মঞ্জু’র মতো জনপ্রিয় এমপিকে মনোনয়ন বঞ্চিত করায় ব্যাপক আন্দোলন শুরু করেন নিকলী-বাজিতপুরের মানুষ। আন্দোলনের মুখে প্রার্থী বদল করে মজিবুর রহমান মঞ্জুকে মনোনয়ন দেয়া হয়। ওই নির্বাচনের পর ২০০৮ সালের নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হন ইকবাল। ২০১৫ সালের ১৮ই মে মজিবুর রহমান মঞ্জু মারা যাওয়ার পর এ আসনে মনোনয়নের অন্যতম দাবিদার হয়ে ওঠেন শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল। মনোনয়ন প্রসঙ্গে শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল বলেন, দলের একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসেবে এলাকার মানুষের পাশে রয়েছি, আগামীতেও থাকব। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী বলেও মন্তব্য করেন।

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন বাজিতপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র এহেসান কুফিয়া। তাঁর হাত ধরে বাজিতপুর পৌরসভায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। জনপ্রিয় এই মেয়র বিগত পৌর নির্বাচনে দখলবাজির কারণে স্থানীয় সংসদ সদস্য আফজাল হোসেনের ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন আশরাফের কাছে পরাজিত হলেও নেতাকর্মীদের নিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে সোচ্চার ছিলেন। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ও পরে সরকারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় থাকার কারণে মামলা, জেল-জুলুম ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে তাকে। এরপরও তিনি দমে যাননি। দলীয় কর্মসূচি পালনে সক্রিয় থাকার পাশাপাশি আগামী সংসদ নির্বাচনে লড়তে নেতাকর্মীদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর সমর্থকরাও এই আসন থেকে এহেসান কুফিয়ার দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছেন। এ প্রসঙ্গে এহেসান কুফিয়া বলেন, জনগণের ভালোবাসাই আমার সম্পদ। তাদের এ আবেগ-ভালোবাসার প্রতি সম্মান দেখাতেই দলের হয়ে আগামী সংসদ নির্বাচনে লড়তে চাই। দল যদি নির্বাচনে যায় আমি অবশ্যই মনোনয়ন চাইব।

বিএনপির মনোনয়ন পেতে ভোটের মাঠে কাজ করছেন আরেক শক্তিশালী প্রার্থী শফিকুল আলম রাজন। তিনি নিকলী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রয়াত মতিয়র রহমান বীর বিক্রমের জামাতা। নিকলী উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি রাজন বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রামে শুরু থেকেই সক্রিয় রয়েছেন। খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনেও তার সমর্থকদের নিয়ে তিনি মিছিল-সমাবেশ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি মনোনয়ন পেতে নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। শফিকুল আলম রাজন বলেন, আমার পক্ষে বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা রয়েছেন। তারা চায় বলেই আমি আগামী নির্বাচনে দলের প্রার্থী হিসেবে লড়তে মাঠপর্যায়ে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে খালেদা জিয়ার ছবিসংবলিত পোস্টার-ব্যানার টাঙ্গিয়ে এবং এই আসনের দুই উপজেলায় ব্যাপক গণসংযোগ ও তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন ছাত্র রাজনীতিতে ‘তুখোড় বক্তা’ হিসেবে পরিচিত ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ। বিএনপির আন্দোলনে তিনি ঢাকার রাজপথে যেমন সরব ছিলেন কিশোরগঞ্জের রাজপথেও তেমনি সরব ভূমিকায় ছিলেন। এর জন্য একাধিক মামলাও হয়েছে তার নামে। সর্বশেষ খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে ঢাকায় আটক হয়ে দুই মাসেরও বেশি সময় জেল খাটেন তিনি।

সাবেক ছাত্রনেতা বদরুল আলম শিপু বলেন, শহীদ জিয়ার নীতি-আদর্শ লালন করে মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে কাজ করছি। মানুষের প্রত্যাশা পূরণের জন্য সংসদ নির্বাচন করতে চাই।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও নিকলী উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি হাজী মাসুক মিয়া জানান, এই আসনটি হলো বিএনপির ঘাঁটি। যোগ্য প্রার্থী দিলে এই আসনটি অবশ্যই আবার বিএনপির দখলে যাবে। সারা বছর এলাকার বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনে আর্থিক সহায়তা করা এবং বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কারণে দলের মনোনয়ন পেলে তিনি নিশ্চিত বিজয়ী হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status