ঢাকা, ৯ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মত-মতান্তর

বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ ও সাম্প্রতিক মিয়ানমার সংকট

ইফতেখার আহমদে খান

(২ মাস আগে) ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, সোমবার, ৮:২৯ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৮:৩৭ অপরাহ্ন

mzamin

Geopolitics is the application of geography for particular Purpose in particular ways

ভূমিকা: উদ্দিষ্ট বিষয়ের মর্মমূল উপলব্ধিতে ভূ-রাজনীতি ধারণাটি সম্পূর্ণভাবে সংশ্লিষ্ট বিধায় ভূ-রাজনীতির প্রণিধানযোগ্য একাডেমিক সংজ্ঞাটি আলোচনার শুরুতে নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হলো। উপরে বর্ণিত ভূ-রাজনীতির সংজ্ঞাটি একটি আনুষ্ঠানিক সংজ্ঞা (Conventional Definition)। এর ব্যবহারিক সংজ্ঞাটি (Operation Definition) হলো- আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ভূ-রাজনীতি হলো কোনো রাষ্ট্র কর্তৃক নির্দিষ্ট উদ্দেশে বা স্বার্থে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে ভূমির কৌশলগত ব্যবহার। এই কারণেই রাখাইনসহ সংশ্লিষ্ট মায়ানমারের এলাকা বা ভূমির অবস্থানগত কারণে পুরো এলাকাটি নিয়ে অঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পরাশক্তিসমূহ পরস্পর স্বার্থ দ্বন্দ্বে আবর্তিত হয়েছে। একই ভূগোলগত অবস্থানের কারণে বাংলাদেশও সব সময় আঞ্চলিক ও পরাশক্তিসমূহের মনোযোগে থাকে। এখানে মনোযোগ মানে হলো ঝুঁকি। বাংলাদেশের দক্ষিণ দিক- একদিকে এর আশির্বাদ, অন্যদিকে অভিশাপ। এই নিবন্ধে ভূ-রাজনীতির নিরিখেই বিষয়টি বিশ্লেষিত হবে। বস্তুত মায়ানমারে সামরিক শাসন নতুন কিছু নয়। নতুনভাবে মায়ানমারের পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে থাকে ২০২০-এর সাধারণ নির্বাচনের পর থেকে।

বিজ্ঞাপন
সেই নির্বাচনে সাবেক স্টেট ৬ কাউন্সিলর অং সান সুচির নাশনাল লীগ ফর ডেমক্রেসি সেনাসমর্থিত দলকে বিপুল ভোটে পারজিত করে। সংবিধান সংশোধনের যে প্রস্তাব এনএলডি দিয়েছিল তাতে সেনাবাহিনী বিরাগভাজন হয়। ২০২১ সালে সেনাবাহিনী নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে সুচিসহ শীর্ষ এনএলডি নেতাকে যথারীতি বন্দি করে। জান্তার প্রথম আক্রমণ উত্তর শান স্টেটের কোকাং অঞ্চলের রাজধানী লোঙ্ককাইং দখল। চীনের সঙ্গে মিয়ানারের অন্যতম প্রধান পথ ছিল এটি। এই শহর দখল হওয়ার পর চীন তৎপর হয়ে সশস্ত্রগোষ্ঠীসমূহকে সমর্থন দিতে শুরু করে বলে বিষেজ্ঞগণ মনে করেন। রাখাইনে আরাকান আর্মির অভিযান শুরু  হয় ১৩ নভেম্বর ২০২৩, এর উত্তাপ এসে পড়ে বাংলাদেশ সীমান্তে। ২৯ ও ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে গোলাবর্ষণ হয়। মর্টার শেল ও গোলার অংশ বাংলাদেশে এসে পড়ে। ৩রা ফেব্রুয়ারি ২০২৪ রাতে সীমান্তে  গোলাগুলী শুরু হয়। সীমান্তের মানুষ আতঙ্কিত হয়। ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ২০২৪ গুলি ও মর্টার শেলের আঘাতে তিন বাংলাদেশি আহত হয়, কয়েকটি স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষাণা করা হয়। (তারিখগুলো বিভিন্ন পত্রিকা থেকে নেয়া)।

বিদ্রোহীগোষ্ঠীসমূহের পরিচয় এবং এবং তারা ইতিমধ্যে কী কী করেছেঃ তারা সম্মিলিতভাবে মিয়ানমারের সামরিকবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। কোনো কোনো সীমান্ত শহর দখল করে নিয়েছে। জানুয়ারিতে শহর পালেতোয়া দখল করে। মনে করা হয় সদর দপ্তর সঙ্গে নিয়ে মাতৃভূমিতে ফেরার সংগ্রাম হয়তো শিগগিরই ঘটবে। বান্দরবান লাগোয়া পালেতোয়া চিন প্রদেশের শহর হলেও মানচিত্রে দেখা যায় কাচিন অঞ্চলের গোপন ঘাঁটি থেকে রাখাইন গেরিলাদের আরাকানে ঢুকতে এটা সদর দপ্তরের মতো। মংডু, বুথিডং, রাথিডং, আকিয়াব প্রভৃতি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। যুদ্ধ শুরুতে উত্তর আরাকানে হলেও তার ফল পুরো আরাকানে প্রযোজ্য হবে। কারণ গেরিলারা চিন হয়ে ঢুকছে। তাদের লক্ষ ম্রাক- উ, আরাকানের পুরনো রাজধানী। এই সময় তাতমা-দ নামে পরিচিত মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীও পালেতোয়া হারিয়ে কঠোর নীতি বেছে নিতে পারে। আরাকান-বান্দরবনসংলগ্ন চিন প্রদেশের অবস্থা উত্তেজনাপূর্ণ। সেখানে তাতমা-দ প্রায় অস্তিত্বহীন। চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেবল নিজেদের নতুন সরকারই গড়েনি, নতুন সংবিধানও তৈরি করেছে। বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর মধ্যে রয়েছে- এথনিক আর্মড ওর্গানাইজেশন, স্থানীয় সশস্রবাহিনী, পিপিলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)। পিপিলস ডিফেন্স ফোর্স হলো সংখ্যাগুরু বামার জাতিগোষ্ঠেী নিয়ে ন্যাশনাল লীগ অব ডেমক্রেসির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্ণমন্টে গঠিত একটি বাহিনী। পালেতোয়া শহর ভারতের ত্রিমুখী মহাসরকের কেন্দ্র। এটি মিয়ানামরের সেগেইং অঞ্চল দিয়ে ভারতের মোরেহ থেকে থাইল্যান্ডের মো সেট পর্যন্ত বিস্তৃত। সুতরাং, রাখাইন, আরাকান প্রদেশ ও সেগেইং অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে আরাকান বাহিনী দিল্লির জন্য প্রধান মধ্যস্থতাকারী  হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের প্রধান প্রভাবশালী জনগোষ্ঠী বামারদের মধ্য থেকে প্রতিরোধ শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এনএলডি ও নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে প্রবাসী ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্ণমেন্ট গঠন করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে এই সরকারের সামরিক শাখা হিসাবে ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (এনডিফ) গঠিত হয়। এনডিএফ ফেডারেল সরকার ও স্বায়ত্তশাসনের জন্য বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী বিদ্রোহীদের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। উদ্দেশ্য- গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা। থ্রি লিবারেশন এলায়েন্স চীন সীমান্তে গুরুত্বপূর্ণ শহর ও সরকারি ঘাঁটি দখল করায় চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। চীন এদের সমর্থন এবং সীমান্ত অঞ্চলে তাতমোদোর সঙ্গে যুদ্ধ বিরতি কার্যকর করছে বলে জানা যায়। থ্রিব্রাদার্স এলায়েন্স তিনটি সশস্ত্রগোষ্ঠীর সমবায়ে গঠিত। এদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী গোষ্ঠী হলো- আরাকান আর্মি (এএ)। বাকি দু’টি হলো- কাচিন ইনডিপেন্ডেট আর্মি ও তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি।

চীন-ভারতের স্বার্থঃ ভারতের জন্যও আরাকানের চলতি ঘটনা বেশ উদ্বেগের। ভারতভূমির নিকটে আরাকানের রয়েছে বিরাট বিনিয়োগ প্রকল্প- কালাদান মাল্টিমডেল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট। বাংলাদেশকে এড়িয়ে জলপথে কলকাতা ও আরাকান হয়ে মিজোরামের ভেতর দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতকে সমৃদ্ধ করার উচ্চবিলাসী এই প্রকল্পে কলকাতা থেকে আইজলের দূরত্ব নেমে আসতে পারতো মাত্র ৯০০ কিলোমিটারে। এই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে জেনারেল নাইংয়ের সঙ্গে হিসাব-নিকাশের ওপর। গণচীনেরও এ বিষয়ে নীরব থাকার কথা না। আরাকান আর্মি পাঁচ বছরে তাদের সংখ্যা পাঁচ হাজার থেকে বিশ হাজার করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে বেইজিংয়ের সাহায্য-সহায়তা- সহমর্মিতার প্রতিদান নাইংকে দিতে হবে। ফলে নতুন আরাকানকে চীন-ভারত ঠান্ডাযুদ্ধের একটা নতুন ফ্রন্ট হিসেবেও দেখা যায়। আরাকান আর্মি ও থ্রিব্রাদার্স ভারতের বৃহৎ যোগাযোগ কালাদান স্থলবন্দর পালেতোয়া দখল করে। এটি চিনরাজ্য সীমান্তে অবস্থিত। এতে কালাদান নদীর দুই পাশের জনপদ, রাখাইনের ঐতিহাসিক শহর মার্ক-ইউ কার্যত তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। শিলিগুড়ি করিডরের বিকল্প হিসেবে ভারতের কালাদান প্রকল্প, তা এখন চীনসমর্থিত আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে। এর ফলে উত্তর রাখাইনে ভারত-চীনের ভূরাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নতুন রুপ নেয়ার পরিপ্রেক্ষিত সূচিত হয়েছে। আরাকানজুড়ে গেরিলাযুদ্ধ মিজোরাম, মণিপুর, পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রভাববিস্তার করবে। রাখাইনের প্রধানশক্তি আরাকান আর্মি এবং তাদের রাজনৈতিক অঙ্গ ইউনাইটেড আরাকান লীগের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে তিক্ত। মিয়ানমারে চীনের বড় পরিসরে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক স্বার্থ রয়েছে। চীন জান্তাবাহিনীকে সমর্থন দিবে তার স্বার্থে। হতে পারে চীন রাশিয়ার সঙ্গে মিলে মিয়ানমার জান্তার জন্য সামরিক ও অর্থনৈতিক সমর্থন জোগাবে। বিনিয়োগ তথা অর্থনৈতিক কারণেই চীন এখানে প্রধান কর্তা হয়ে দাঁড়াবে। এর মাধ্যমে চীন- একদিকে তার সীমান্ত এলাকাকে সুরক্ষিত ও বৃহত্তর পরিসরে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার চেষ্টা করছে। মিয়ানমার চীনের প্রধান ভূ-রাজনৈতিক সহায়ক রাষ্ট্র। শুধু রাজনৈতিক নয়, মিয়ানমার চীনের বড় অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের ক্ষেত্র। বিশষ করে দক্ষিণ রাখাইনের গভীর সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে বঙ্গপোসাগর থেকে চীনের দক্ষিণপূর্ব কুনমিং শহর পর্যন্ত বহুমুখি যোগাযোগ এবং জ্বালানী সরবরাহ চীনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আমেরিকার স্বার্থঃ  বিশ্বমোড়ল হিসেবে যথারীতি এখানেও মার্কিনিদের বিদেশনীতিগত স্বার্থ রয়েছে। বিষয়টি খুব জটিল। চীন-ভারত-রাশিয়া প্রভৃতি শক্তিসমূহের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ ও সামরিক কৌশলগত অবস্থানের নিরিখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এই অংশে তার নীতি দাঁড় করাতে হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার অনুসৃত বার্মা এক্ট-এর মাধ্যমে ন্যাশনাল ইউনিটি সরকার, পিডিএফ, চিন, কারেন, কাচিন, কায়ানগোষ্ঠীকে দিয়ে জান্তা সরকারকে চাপের মধ্যে রেখেছে।

পরিশেষঃ ২০১৭ সালের ২৫শে আগস্টের পর থেকে দশ লাখের অধিক  রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে। বাংলাদেশ অনেক চেষ্টা করেও তাদের এই পর্যন্ত ফেরত পাঠাতে পারেনি। এখন আরাকান আর্মি যখন উত্তর রাখাইন দখলের পথে তখন তা আমাদের জন্য এক নতুন বাস্তবতা হিসেবে হাজির হতে যাচ্ছে। আরাকান আর্মির আক্রমণের মুখে মিয়ানমারের সেনাসদস্য থেকে শুরু করে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য ও বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা বাংলাদেশ আশ্রয় নিয়েছে। এরমধ্যে কয়েক জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। তুমরু ও ঘুমধুম সীমান্ত নিকটবর্তী কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দা আতঙ্কে এলাকা ছেড়েছে। রাখাইন পরিস্থিতির ওপর একদিকে এই অঞ্চলে চীন-ভারতের দ্বন্দ্বের সঙ্গে বাংলাদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে জড়িত। বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়ে গেলেও চীন তাতমোদোর সঙ্গে সমান্তরাল সম্পর্ক বাজায় রাখছে। চীন-ভারত-যুক্তরাষ্ট্র এই ত্রিমাত্রিক হিসেবে বাংলাদেশের হিসাব কী হবে, বাংলাদেশ কী করবে তা একটি বড় ভাবনার বিষয়। জানা যায়, আরাকান আর্মি ইতিমধ্যে রাখাইনের রোহিঙ্গাদের সমর্থন পাচ্ছে।

একটি রাষ্ট্রের বিদেশনীতির মৌল উদ্দেশ্য হলো সেই রাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থকে এগিয়ে নেয়া বা অর্জন করা। আত্মরক্ষা বাংলাদেশের একটি অন্যতম জাতীয় স্বার্থ এবং এটা একটি একটি স্থায়ী জাতীয় স্বার্থ। যেহেতু, ‘যুদ্ধ নয়, সকলের সাথে বন্ধুত্ব’ বাংলাদেশের বিদেশনীতির মৌল দিক সেহেতু জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষেণর এই মুুহুর্তে বাংলাদেশ তার গৃহীত বিদেশনীতির মেধার প্রয়োগই একমাত্র কিংবা অন্যতম উপায়। আর যদি দেখা যায়, ওখান থেকে আরও রোহিঙ্গা পাঠানোর জন্য পুরো ব্যাপারটিই আসলে একটি কৌতুকাশ্রয়ী নাটক তবে তো! 
লেখক: উন্নয়নকর্মী
[email protected]

 

পাঠকের মতামত

খুবই বাস্তব কথা ভাই

Md Abdur Rashid
৯ মার্চ ২০২৪, শনিবার, ১১:৪১ অপরাহ্ন

মত-মতান্তর থেকে আরও পড়ুন

মত-মতান্তর সর্বাধিক পঠিত

নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সবদলই সরকার সমর্থিত / ভোটের মাঠে নেই সরকারি দলের প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো বিরোধীদল

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status