ঢাকা, ১৯ মে ২০২৪, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

বাংলারজমিন

বাকৃবিতে ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা শিক্ষক

বাকৃবি (বিশ্ববিদ্যালয়) প্রতিনিধি
৬ মে ২০২৪, সোমবার
mzamin

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছেন ড. মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও সাবেক সহকারী প্রক্টর। গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কৃষিতত্ত্ব বিভাগীয় মাঠ ও আমবাগান এলাকা থেকে তাদের ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। পরে বিষয়টি জানানো হলে ঘটনাস্থল থেকে ওই শিক্ষার্থীকে হলে নিয়ে আসেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম।

এ সময় তৎক্ষণাত ওই শিক্ষার্থীর হলে গেলে সরজমিন দেখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম ও সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি হলে এসে ওই শিক্ষার্থীকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরবর্তীতে ওই শিক্ষকের সঙ্গে অনৈতিক মেলামেশার বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি। এ সময় প্রক্টর ও সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টার উপস্থিতিতে নিজ হাতে পুরো ঘটনার একটি স্বীকারোক্তি লিখে জমা দেন তিনি। স্বীকারোক্তিতে ওই শিক্ষার্থী জানান, ভর্তির আগেই ফেসবুকের মাধ্যমে তার সঙ্গে পরিচিত হন। ভর্তির পরে ক্লাস শুরু হলে জানতে পারেন তাদের একটি ব্যবহারিক কোর্সের শিক্ষকও তিনি। মেসেঞ্জারে ওই শিক্ষকের সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে শিক্ষকের নিজের গাড়িতে গাজীপুরের রিসোর্ট, মুক্তাগাছাসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন
অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি বলেন, ওই ছাত্রী ঘটনার ব্যাপারে নিজের স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কোনোরকম তদন্তের আগে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যাচ্ছে না। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে সকল পদক্ষেপ নেয়া হবে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলামকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দেয়া হলেও তিনি কল ধরেননি।
 

পাঠকের মতামত

হায়রে দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক তোমাদের এখন সমাজ ও দেশের মানুষ ঘৃনা করে। আজকে তোমাদের কাছে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার জন্য পাঠিয়ে গার্জিয়ানরা ভীতসন্ত্রস্ত থাকে না জানি কখন কি ঘটে। ছিঃ ঐ দুশ্চরিত্র শিক্ষকদের।

কালা
৭ মে ২০২৪, মঙ্গলবার, ১২:১০ পূর্বাহ্ন

তালি এক হাতে বাজে না স্যার। দোষ শুধু শিক্ষকের না স্যার। একটা মেয়ে রাজি না হলে একটা ছেলে কোনভাবেই রিসোর্টে বা হোটেলে নিয়ে যেতে পারে না। দু'টাকে রিমান্ডে নিলে আসল তত্ত্ব বেরিয়ে আসবে।

Ahmed
৭ মে ২০২৪, মঙ্গলবার, ১২:০৭ পূর্বাহ্ন

ব্যবহারিকের শিক্ষক ব্যবহার করেছেন। মন মানে না শিক্ষক-ছাত্রী!

কে জামান
৬ মে ২০২৪, সোমবার, ১০:১৩ অপরাহ্ন

you published the teacher's name, then why you donot publish the student's name?

Shimon
৬ মে ২০২৪, সোমবার, ৯:০৫ অপরাহ্ন

যে কোন নারীর চরিত্র সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করা আল কুরআনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। (সুরা নূর এবং সুরা নিসা দ্রষ্টব্য) বিষয়টি দেখার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।

Harun Rashid
৬ মে ২০২৪, সোমবার, ৭:৩৫ অপরাহ্ন

জনাব মো : আব্দুল খালেক সাহেব ঢালাও মন্তব্য করা ঠিক না। আপনার সন্তানকে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার উপযুক্ত করে সুযোগ পাওয়া সাপেক্ষে এই মন্তব্য করবেন।

মোহাম্মদ আব্দুল হাকি
৬ মে ২০২৪, সোমবার, ৬:০৮ অপরাহ্ন

নীতিজ্ঞান শূণ্য এ সব শিক্ষক শিক্ষার্থীর প্রতি ধিক্কার জানাই।

মোহাম্মদ হারুন আল রশ
৬ মে ২০২৪, সোমবার, ১:৪৬ অপরাহ্ন

So called smart education in smart Country

Abul Hayat
৬ মে ২০২৪, সোমবার, ১:৩০ অপরাহ্ন

বিশ্ব বিদ্যালয়ের অবস্থা কি কেউ জানেন ? না জানলে ১ সপ্তাহ ঘুরে আসুন। কিয়ামত হলেও আমার মেয়েকে ঐ বিদ্যালয় পড়াবো না।

মো : আব্দুল খালেক
৬ মে ২০২৪, সোমবার, ১২:৫৫ অপরাহ্ন

ধিক তোমায় ধিক ও আমার সুশীল নাগরিক।

কিছু বলব না
৬ মে ২০২৪, সোমবার, ১২:১৩ অপরাহ্ন

এই ঘটনায় ছাত্রীই দোষী সাব্যস্ত না হয়ে যায়। দেখা যাবে শিক্ষক বেকসুর খালাস।

Chowdhury Tayub Taza
৬ মে ২০২৪, সোমবার, ১২:১০ অপরাহ্ন

ভাবতে অবাক লাগে শিক্ষকদের বিরাট একটা অংশ লুচ্চায় পরিনত হয়েছে।

Mohammad Rafiqul Isl
৬ মে ২০২৪, সোমবার, ১২:০৩ অপরাহ্ন

ঐ ছাত্রীর ছবি কেন দেয়া হয়নি। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নারী পুরুষ সবার জন্য হারাম। উভয়‌ই সমদন্ডে দন্ডিত। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রী তো নাবালিকা নয়। ধিক্কার জানাই দুইজনকেই।

Zaman
৬ মে ২০২৪, সোমবার, ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন

নৈতিকতা প্রসংগটি বিবেচিনায় নেয়া সময়ের দাবি।

Akbar Ali
৬ মে ২০২৪, সোমবার, ৯:১৪ পূর্বাহ্ন

Development everywhere!!!

abu-mahtab
৬ মে ২০২৪, সোমবার, ১২:৫০ পূর্বাহ্ন

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status