বাংলারজমিন
মানিকগঞ্জে এএসআই’র বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ থেকে
৬ মে ২০২৪, সোমবারস্বামী পরিত্যক্ত এক নারীকে (৩৩) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভুয়া কাবিননামায় স্বাক্ষর নিয়ে স্ত্রী পরিচয়ে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে মানিকগঞ্জের পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শকের (এএসআই) আকবর আলী খন্দকারের বিরুদ্ধে। বর্তমানে তিনি হরিরামপুর থানায় কর্মরত আছেন। ওই নারী স্ত্রীর মর্যাদা পেতে ইতিপূর্বে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি পিবিআইবি তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরজাহান লাবনী। মানিকগঞ্জ সদর থানায় কর্মরত থাকাকালীন সময় এএসআই আকবর আলী সদর উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে বসবাসরত ওই নারীর সঙ্গে স্ত্রী পরিচয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তাছাড়া বিভিন্ন মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ ওই ভুক্তভোগী নারীর। ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, এএসআই আকবর আলী তাকে স্ত্রী হিসেবে পরিবারের সঙ্গে পরিচয় এবং সামাজিক মর্যাদা দিতে অস্বীকার করায় ২০২৩ সালের ২৬শে ডিসেম্বর পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে কোনো সুরাহা না পাওয়ায় চলতি বছরের ২৮শে জানুয়ারি মানিকগঞ্জ জেলা লিগ্যাল এইডে অভিযোগ করেন তিনি। ওই নারীর দায়ের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার সিনিয়র সহকারী জজ সুবর্ণা সেঁজুতি গত ১১ই ফেব্রুয়ারি তারিখে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য উভয়পক্ষকে নোটিশ প্রদান করলে, উভয়পক্ষ হাজির হন।
পরবর্তীতে আপস উদ্যোগ নেয়া হয়। সে লক্ষ্যে গত ১২ই মার্চ ও ২৫শে মার্চ উভয়পক্ষকে হাজির করা হলেও কোনো সমঝোতা হয়নি।
এরপর গত বছরের ১৪ই নভেম্বর রাত ৯টার দিকে ভুক্তভোগী নারীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে এক ব্যক্তিকে কাজী পরিচয় দিয়ে নিয়ে আসেন এএসআই আকবর। তখন ৫ লাখ টাকা কাবিন করে কাবিননামায় স্বাক্ষর নেয়। তবে চাকরির ক্ষতি হবে বলে আপাতত বিয়ের কথা গোপন রাখার কথাও জানান তিনি। এরপর থেকে নিয়মিত ভুক্তভোগীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস ও শারীরিক সম্পর্ক করেন তারা। পরবর্তীতে ৩০শে নভেম্বর তার স্ত্রী হিসেবে পরিবারের সঙ্গে পরিচয় করাতে এবং সামাজিক মর্যাদা দিতে বললে আকবর আলী ওই নারীকে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিতে অস্বীকার করেন এবং বিয়ের কথা অস্বীকার করেন। এরপর থেকে ভুক্তভোগীর সঙ্গে যোগাযোগও বন্ধ করে দেন আকবর আলী।
ভুক্তভোগী নারী সাংবাদিকদের জানান, স্ত্রী হিসেবে সামাজিক স্বীকৃতি চাইলে সে এখন আমাদের বিয়ের কথা অস্বীকার করে বলে, ‘তুমি আমার স্ত্রী না। ভুয়া কাবিনে আমার স্বাক্ষর নিয়েছে’। আমি অভিযোগ-মামলা করার পর থেকে সে আমাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিচ্ছেন। আমি আকবর আলী খন্দকারের কাছে স্ত্রীর স্বীকৃতি ও মর্যাদা চাই। এ বিষয়ে হরিরামপুর থানার এএসআই আকবর আলী খন্দকারের বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল হলেও ফোন রিসিভ করেননি। মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরজাহান লাবনী বলেন, বিষয়টি পিবিআই তদন্ত করছে। তাদের প্রতিবেদনে আদালত ব্যবস্থা নেবেন। আর আমাদের দপ্তরে যে অভিযোগ সেটিওর আমরা বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেবো বলে জানান।
Maser raja hilish ar desher raja police...