টানা তিন হারের পর জিতলো শেখ রাসেল

চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে যেন জিততে ভুলে গিয়েছিল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। ফর্টিস এফসির বিপক্ষে ম্যাচেও হারের চোখ রাঙানি ছিল। তবে পিছিয়ে পড়ার পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা তিন হারের পর জয় তুলে নিয়েছে দলটি। রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে গতকাল ফর্টিসের বিপক্ষে ২-১ গোলে জেতে শেখ রাসেল। দুই দলের প্রথম লেগের ম্যাচটি ছিল গোলশূন্য ড্র।  গত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারানোর পর টানা পাঁচ ম্যাচ জয়হীন ছিল শেখ রাসেল। এর মধ্যে টানা তিন ম্যাচ হারের আগের দুই ম্যাচে ড্র করেছিল ২০১২-১৩ মৌসুমের লীগ চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের ৩১তম মিনিটে একটি আক্রমণ ফিস্ট করে রুখে দেওয়ার একটু পর পরাস্ত হন মিতুল মারমা। সতীর্থের পাস ধরে বক্সের একটু উপর থেকে নেওয়া পা ওমার বাবুর শট বলের লাইনে ঝাঁপিয়ে আটকাতে পারেননি শেখ রাসেল গোলরক্ষক। 

পাঁচ মিনিট পর ঘুরে দাঁড়ায় শেখ রাসেল। কোডাই লিডার বাঁকানো ফ্রি কিকে বলের গতিবিধি বুঝেই উঠতে পারেননি গোলরক্ষক শান্ত কুমার রায়।

দূরের পোস্টে থাকা নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড গাঞ্জু আতান্দা কাজে লাগান সুযোগ। সমতা ফেরে ম্যাচে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে শেখ রাসেলের রক্ষণে চাপ দিতে থাকে ফর্টিস। তবে প্রতিপক্ষের আক্রমণ সামলে ৬৪তম মিনিটে এগিয়ে যায় শেখ রাসেলই।  গোলকরেন দীপক রায়। শেষ দিকে সমতাসূচক গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ফর্টিস। ৮১তম মিনিটে ডি বক্সের ঠিক বাইরে থেকে মামুনুল ইসলাম মামুনের গতিময় শট উড়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়েও সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন এই অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার। কয়েক জনের পা ঘুরে বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে যান মামুনুল। প্রথম প্রচেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর দেখে-শুনে শট নেন এই মিডফিল্ডার। বল মিতুলের হাতে লেগে গতি কমার পর গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করে এক ডিফেন্ডার। এর একটু পরই বাজে শেষের বাঁশি। দিনের অন্য ম্যাচে ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে শাহেদ হোসেন ও এদুয়ার্দ মোরিওর গোলে ২-০ ব্যবধানে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটিকে হারিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ এফসি। ১৪ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে পুলিশ। সমান ম্যাচে শেখ রাসেলের পয়েন্ট ১৪। ফর্টিসের পয়েন্ট ১৬। টানা তৃতীয় হারের তেতো স্বাদ পাওয়া রহমতগঞ্জ ১০ পয়েন্ট নিয়ে ১০ দলের মধ্যে আছে নবম স্থানে।