বাংলারজমিন
যেভাবে চলছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাইওয়ে থানা
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
৫ মে ২০২৪, রবিবারদুই মাস ধরে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শূন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা। দু’দারোগাই হর্তাকর্তা এখন এই থানার। তবে বন্ধ নেই বাণিজ্য। মহাসড়কে অবাধে চলছে নিষিদ্ধ সব যানবাহন। অবশ্য যেসব গাড়ির সঙ্গে মাসিক চুক্তি নেই তাদের ধরে জরিমানা আদায়, মামলা দেয়া হচ্ছে। মহাসড়ক ছেড়ে আশাপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও বাণিজ্যের খাত বাড়াতে ঢুঁ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে থানার বর্তমান কর্তাদের বিরুদ্ধে।
থানার ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস গত ৭ই মার্চ বদলি হয়ে যান। এরপরই দায়িত্ব দেয়া হয় সাব-ইন্সপেক্টর সালাউদ্দিন মোল্লাকে। থানার স্টাফ কাঠামোতে এসআই’র দুটি পদ। সালাউদ্দিন না থাকলে ওসির কাজ চালান আরেক সাব-ইন্সপেক্টর সারোয়ার হোসেন। থানার অন্য পদেও লোকবলের সংকট রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
কুট্টাপাড়া মোড়ে হোসেন মিয়া নামে এক সিএনজি অটোরিকশা চালক জানান, এই মোড় থেকে ৫০/৬০টি সিএনজি অটোরিকশা চান্দুরা পর্যন্ত চলাচল করে। তারা মাসে ৩ হাজার টাকা করে থানায় দেয়। আরেকজন অটোরিকশা চালক সায়েম জানান, যেসব সিএনজি’র মান্থলি রয়েছে সেগুলোর ভাড়া বেশি। ৫শ’ টাকার স্থলে ৬শ’ টাকা ভাড়া দিতে হয় গাড়ির মালিককে। গাড়ির মালিক থানার সঙ্গে চুক্তি করেন।
মার্চ মাসে এই থানায় হওয়া মামলার হিসেবে দেখা গেছে সর্বোচ্চ ১৪৩টি মামলা হয়েছে ইজিবাইকের বিরুদ্ধে। ৮৩টি মামলা হয়েছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৬টি মোটরসাইকেল এবং ১টি বাস ও ট্রাকের বিরুদ্ধে। তবে ওসির দায়িত্বে থাকা সাব-ইন্সপেক্টর সালাউদ্দিন মোল্লা জানান, এসপি অফিস থেকে তাদের প্রতিদিন ৭০টি মামলা দেয়ার নির্দেশ আছে। কিন্তু আমরা পারতেছি না। ৩০টার মতো মামলা দিতে পারছি। সিএনজি অটোরিকশা থেকে মান্থলি নেয়ার বিষয়টি সত্যি নয়। কতো সিএনজি চলে জানা নেই। এই জেলায় সিএনজি’র সংখ্যা অন্য জেলা থেকে বেশি। মহাসড়কের জায়গায় অবৈধ দোকানপাট থাকলে সেগুলো আমরা উচ্ছেদ করতে পারি। আইনে সেই ক্ষমতা আছে। আমরা কারও কাছে চাঁদা চাই না।