বাংলারজমিন
শরীয়তপুরে চিকিৎসা দিতে দেরি হওয়ায় ডাক্তারকে মারধর শ্রমিক নেতার
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
৫ মে ২০২৪, রবিবারশরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে দেরি করায় জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত এক চিকিৎসককে মারধর ও লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় হাসপাতালের সকল কার্যক্রম একঘণ্টা বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করেছেন চিকিৎসকরা। গতকাল বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরে হাসপাতাল চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত ছিলেন ডাক্তার সাদিয়া লিমিয়া। পাশে বসে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রস্তুত করছিলেন ডাক্তার শেহরিয়ার ইয়াসিন। এ সময় স্কুলের মারামারিতে আহত অবস্থায় অভি পাহাড় (১৫) নামে এক কিশোরকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন শরীয়তপুর শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি এলিম পাহাড়। পরে তার ছেলেকে চিকিৎসা দিতে দেরি হওয়ায় ডাক্তার শেহরিয়ার ইয়াসিনকে চড়-থাপ্পড় মেরে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন তিনি। এ নিয়ে অভিযুক্ত ওই শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক। অভিযুক্ত এলিম পাহাড় বলেন, হাসপাতালে আমার ছেলেকে নিয়ে আসার পর ২ ঘণ্টার মধ্যে কোনো ডাক্তার এসে আমার ছেলেকে দেখলেন না।
এ বিষয়ে ডাক্তার শেহরিয়ার ইয়াসিন বলেন, আমি জরুরি বিভাগে প্রশাসনিক কাজ করছিলাম। তখন জরুরি বিভাগে ডিউটিতে ছিলেন ডাক্তার লিমিয়া। এলিম পাহাড় যখন তার ছেলেকে নিয়ে আসেন তখন ডাক্তার লিমিয়া অন্য আরেকটি রোগী দেখছিলেন। একসময় ডাক্তার লিমিয়ার উপর চড়াও হন তিনি। আমি তাকে বললাম একটু অপেক্ষা করেন রোগী দেখবে। তখন তিনি বলেন- তুই আসলি না কেন? বলেই চড়-থাপ্পড় মারেন আমাকে। জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক লিমিয়া সাদিয়া বলেন, আমি রোগীটাকে দেখে হ্যান্ড গ্লাভস পরে আসতে যতটুকু সময় লাগে ওই টুকুই দেরি হয়েছিল। এতেই ওই শ্রমিক নেতা ডাক্তার শেহরিয়ার ইয়াসিনের উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন। আমি তাকে থামাতে গেলে সে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে গায়ে হাত তোলেন। পালং মডেল থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, এই ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মনে হচ্ছে ডাক্তার মিথ্যা কথা বলছেন , নিজের অভিজ্ঞতা এবং আত্মীয়স্বজনের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি ,