বিশ্বজমিন
অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে স্ত্রীকে নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন ট্রাম্প
মানবজমিন ডেস্ক
৫ মে ২০২৪, রবিবারসাবেক পর্নো তারকা স্টর্মি ডানিয়েলের মুখ বন্ধ করতে দেয়া অর্থ বিষয়ক মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক সহযোগী হোপ হিকস আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার সময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। ২০১৬ সালে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি ছিলেন ট্রাম্পের মুখপাত্র এবং ঘনিষ্ঠ আস্থাভাজন। ব্যবসা এবং স্টর্মি ডানিয়েল সংক্রান্ত ৩৪টি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, কোনো অন্যায় করেননি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রেস সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন হোপ হিকস। একই সঙ্গে হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক ছিলেন। তিনি শুক্রবার নিউ ইয়র্কে আদালতে উপস্থিত হন সাক্ষ্য দিতে। আদালতে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, আমি খুব নার্ভাস বোধ করছি। হোয়াইট হাউস এমন কোনো পরিবেশ সৃষ্টি করেছে কিনা, যার জন্য তিনি আদালতে এসেছেন- এমন প্রশ্ন করেন ট্রাম্পের একজন আইনজীবী।
টেপের বিষয়ে ট্রাম্প কি প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে হোপ হিকস বলেন, ট্রাম্প মনে করেছিলেন ওই রেকর্ডিং দু’জনের মধ্যকার কথোপকথনের প্রকৃত চেহারা ছিল। পরে তার কাছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্ট সম্পর্কে ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া কি ছিল তা জানতে চাওয়া হয়। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ট্রাম্পের বহু নারীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে। এর মধ্যে আছেন প্লেবয় মডেল কারেন ম্যাকডোগাল এবং পর্নো তারকা স্টর্মি ডানিয়েল। হোপ হিকস বলেন, এ খবর নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন ট্রাম্প। তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন তার স্ত্রী এটাকে কেমনভাবে দেখবেন। এ জন্য হোপ হিকসকে অনুরোধ করেন, যাতে তার বাসভবনে ওইদিনের খবরের কাগজ না দেয়া হয়। তিনি আরও জানান, ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন এবং ন্যাশনাল ইনকুইরার ম্যাগাজিনের সাবেক প্রকাশক ডেভিড পিকার মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেন যে, ট্রাম্পের বিষয়ে নেতিবাচক রিপোর্টগুলো তিনি এড়িয়ে যাবেন, বিশেষ করে ট্রাম্পের প্রেমের সম্পর্কগুলো। এতে তার নির্বাচনী প্রচারণা গতি পাবে। প্লেবয় মডেল কারেন ম্যাকডোনাল্ডের কাছ থেকে ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্ক বিষয়ক কাহিনী কিনে নিতে অর্থ দিয়েছিলেন। এ সময় ডেডিভ পিকার এবং ট্রাম্পের মধ্যে একদিনের ফোনকলের কথা উল্লেখ করেন মিস হিকস। তিনি বলেন, ট্রাম্পের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ড. বেন কার্সনকে নিয়ে একটি রিপোর্টের জন্য ডেভিড পিকারকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। ট্রাম্প বলেছিলেন, এটা পুলিৎজার মূল্যায়নের।
উল্লেখ্য, এ সপ্তাহের শুরুতে আদালত তার গ্যাগ অর্ডার লঙ্ঘন করার কারণে নবম বারের মতো নির্দেশ দিয়েছে ট্রাম্পকে। তাকে প্রতিবার এই নির্দেশ লঙ্ঘনের জন্য এক হাজার করে মোট ৯ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছে। এই জরিমানা জমা দিয়েছেন বৃহস্পতিবার। শুক্রবার ছিল তা জমা দেয়ার শেষ দিন।