অনলাইন
বিএমডিসি ছাড়া চিকিৎসা ভুল হয়েছে বলার অধিকার কারও নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক
(২ সপ্তাহ আগে) ১ মে ২০২৪, বুধবার, ৩:৪৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১২ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) ছাড়া অন্য কারও চিকিৎসা ভুল হয়েছে বলার অধিকার নেই মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার আমারও নেই, কারও নেই। ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার একমাত্র বিএমডিসির। ভুল চিকিৎসার অজুহাতে চিকিৎসকের ওপর যেভাবে আক্রমণ হয়, সেটা খুবই ন্যক্কারজনক।
বুধবার সকালে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সে অনুষ্ঠিত ১২তম আন্তর্জাতিক এবং দ্বিতীয় এসিএনএস-বিএসএনএস হাইব্রিড কনফারেন্স ও ক্যাডাভেরিক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকদের সুরক্ষা আইন আমি পাস করাবোই, যেভাবেই হোক। এর জন্য যত কিছু করতে হয়...কারণ আমার একটা দায়িত্ব চিকিৎসকদের সুরক্ষা দেওয়া। সেই সঙ্গে রোগীদের সুরক্ষা দেয়ার দায়িত্ব কিন্তু আমার। কোনো চিকিৎসকের অবহেলা আমি সহ্য করব না।
তিনি বলেন, যে কয়টি ঘটনা আমি মন্ত্রী হওয়ার পরে আমার নজরে এসেছে, প্রত্যেকটাতেই আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করে প্রথমেই বলেছি, অ্যারেস্ট করতে হবে। কারণ এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না যে, একজন চিকিৎসককে ভুল চিকিৎসার নাম করে এভাবে মারধর করা। বিশেষ করে আমাদের দুএকটা মেয়ের ওপরও অ্যাটাক করা হয়েছে, এটা মেনে নেওয়া যায় না।
।বাহ! ডাক্তার ভুল করলে ভুল বলা যাবে না? এটা কোন আইনে আছে? আপনার আসল চেহেরা উম্মোচন শুরু হয়ে গেছে। এরা ডাক্তার নামে কসাই।
এদেশের সবাই একেক জন বিশেষজ্ঞ, রুগীর কিছু হলে তারা আরো বড় বিশেষজ্ঞ বনে যান। মনে আছে ছেলেধরা বলে একটা মহিলাকে এদেশের মানুষ কিভাবে পিটিয়ে মেরেছিল। ডাক্তারদের অবস্থাও তাই, মনগড়া ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলে তাকে পিটাতে হবে। তখন একেক জনের বিদ্যা 10-20 বছর চিকিৎসা দেয়া ডাক্তারের চেয়ে বেশি হয়ে যায়। তারা বনে যান জাতীয় অধ্যাপক।
প্রতিটা সরকারী বেসরকারী হাস্পাতালে বিএমডিসির একটা করে ভুল ধরা কমিটি আছে তারা বিএমডিসিকে নিয়মিত রিপোর্ট করে কারা ভুল করল। তাই কি বিনাভোটের মন্ত্রী মশাই!
ঠিক ই বলেছেন কসাইকে কসাই বলা যাবে না। মানুষ কে তো মানুষ মনে হয় না আপনাদের কাছে। পিওথলির সাধারণ পাথর বের করতে গিয়ে পুরো পিওথলি কেটে ফেলে দিয়েছে সেটা কি ভুল চিকিৎসায় না? মনে করেছিলাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একজন ভালো মানুষকে মন্ত্রী বানিয়েছেন এবার হয়তো চিকিৎসা সেবার পরিবর্তন হবে এখন তাদের বক্তব্য শুনে মনে হয় আগের চেয়েও খারাপ অবস্থা দিকে যাচ্ছে মনে হচ্ছে। অসৎ লোকদের পক্ষে কথা বলছেন।
এই দেশের মানুষ এখন রিফিউজি তাই না? ভুল চিকিৎসা করবে তখন দেশের মানুষ কিছুই বলতে পারবে না, এরপর মানুষ যেন দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেই, তারপর পাশের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা রমরমা হবে তাই না এইটাই কি প্ল্যান?
আপনি বলতে চাচ্ছেন যে ডাক্তার যদি কিছু ভুল করে তবে এটি যে সত্যিই ভুল তা প্রমানের জন্য বিএমডিসি হতে সার্টিফিকেট নিতে হবে ? তার মানে ব্যাপারটা এমন যে যে খুন করেছে তাকে তার বাবার কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিতে হবে যে তার ছেলে খুন করেছে। মানে- বাবা ছেলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করলে কেউ বিচার পাবে না! মন্ত্রীমহোদয়, বক্তব্য খোলাসা করুন ।
আপনি মন্ত্রী হয়ে এমন মন্তব্য কি করে করেন? গল্ডব্লাডারে অপারেসন করতে গিয়ে একজন নামকরা ডাক্তার আমার মা'কে ভুল এনেসথেসশিয়া দেওয়ার কারণে কারর্ডিয়াক এরেস্ট হয়, ৪ দিন লাইফ সাপোরর্টে থেকে কিছুটা স্বাভাবিক হন । অন্য হাসপাতালে নিয়ে তাঁর অপারেসশন করা হয়, দেখা যায় ঐ ডাক্তার পিত্ত থলির কোন পাথর রমোভ করতে পারেন নি উল্টো অযথা একটি ষ্টান লাগিয়েছিলেন । এখন আমি কী এটাকে ডাক্তা্রের ভুল বলতে পারব না?
অপচিকিৎসা হলে আমরা বলতেও পারবোনা ?
এভাবে উষধ শিল্পের বিপণণকারি, অমনোযোগী ,উদাসীন, অযোগ্য চিকিৎসকদের প্রশ্রয় দিলেই কি বাস্তবতা বদলে যাবে? বিকল্প না লিখে খুব দামী ও দূঃপ্রাপ্য উষধ ব্যবস্থাপত্রে লিখে দিয়ে কত নাজেহাল হতে হয় রুগি ও তাদের স্বজনদের তার বিহিতও কি ঐ বিএমডিসি করবেন? দু'এক দিন মহাশয়ের মুখে নিরীহ জনগনের সেবার কথা শুনে আস্বস্ত হতে না হতেই এমন বানী বর্ষন সত্যিই অনভিপ্রেত।