বাংলারজমিন
সহিংস হয়ে উঠেছে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে
১ মে ২০২৪, বুধবারআগামী ৮ই মে বুধবার অনুষ্ঠিত হবে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাচন। প্রার্থীদের জমজমাট প্রচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে সদর উপজেলার সকল ইউনিয়ন। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহকে উপেক্ষা করে প্রার্থী ও তাদের অনুসারীরা বিরামহীন ছুটে চলছেন ভোটারদের কাছে। ভোটারদের আকৃষ্ট করতে প্রতিনিয়ত প্রচারণায় ভিন্নতা আনার চেষ্টা চলছে। তবে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫ জনই আওয়ামী লীগ ঘরানার হওয়ায় উত্তপ্ত হয়ে উঠছে গ্রামীণ জনপদ। এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সূত্রমতে এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে চার জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে যুবলীগ বরিশাল মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক, সমাজসেবী মাহমুদুল হক খান মামুন (আনারস), বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন (মোটর সাইকেল), সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের মনিরুল ইসলাম ছবি (দোয়াত কলম), সাবেক ছাত্রনেতা মাহবুবুর রহমান মধু (ঘোড়া) ও আবদুল মালেক (কাপ- পিরিচ)। এ ছাড়া পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শহিদ মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ (উড়োজাহাজ), বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জসিমউদদীন (তালা), সাবেক ছাত্রনেতা মাহিদুর রহমান মাহাদ (বই) ও হাদিস মীর (টিউবওয়েল) এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নেহার বেগম (হাঁস), মারিয়া আক্তার (ফুটবল) ও হালিমা বেগম (কলস) নির্বাচনে ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থীর তিন জনই নিজেদের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের আশীর্বাদপুষ্ট বলে দাবি করছেন। অপর একজন নিজেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসানাত আব্দুল্লাহর সমর্থন পেয়েছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
সেদিক দিয়ে প্রচার প্রচারণায় এগিয়ে আছেন মাহমুদুল হক খান মামুন। তবে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নিজেকে এরই মধ্যে প্রমাণ করেছেন মোটরসাইকেল মার্কার এস এম জাকির হোসেন। এদের সমর্থকরা প্রায়শই মুখোমুখি অবস্থানে উত্তেজনা ছড়াচ্ছেন। সোমবার রাতে উপজেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি রাসেল মুন্সীর নেতৃত্বে চরবাড়িয়া ইউনিয়নের কাগাশুরা বাজারে মোটরসাইকেল প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় দু’জন আহত হয়েছেন বলে জানান জেলা পরিষদের সদস্য শহীদুল ইসলাম। মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন বলেন, আমার কর্মীদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। সোমবার তারা বিভিন্ন ইউনিয়নে আমার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে। আমার কর্মী-সমর্থকদের নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। মাস্তান দিয়ে আমাকে নির্বাচন থেকে সরানো যাবে না। এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (কাউনিয়া) সরোয়ার হোসেন বলেন, আহতদের অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্ন হয় এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হতে দেবো না। ২-১টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাচন এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ বলা যায়। প্রচার প্রচারণা চলছে দিন-রাত। প্রচণ্ড গরমের মাঝেও প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। নির্বাচনের আগেই স্পষ্ট হয়ে যাবে প্রতিমন্ত্রী বা জেলা সভাপতির প্রার্থী কে? তখন নির্বাচনী পরিবেশ আরও সহিংস হয়ে উঠতে পারে।